
ভগবান বিষ্ণুর উপাসনায় শালিগ্রাম ব্যবহার না করলে তা অসম্পূর্ণ থাকে। অতি প্রাচীনকাল থেকেই বিষ্ণুর আরাধনা করা হয় শালিগ্রাম ব্যবহার করে। বৃক্ষপুজো, তুলসী পুজো, শিবলিঙ্গ পুজো রীতি যেমন দেশে অতি প্রাচীন, তেমনি শালিগ্রামকে বিশেষ নিয়ম মেনে পুজো করা উচিত।

শালিগ্রামকে ভগবান বিষ্ণুর রূপ বলে মনে করা হয়। বিষ্ণু পুরাণ অনুসারে, নিজের বাড়িতে শালিগ্রাম স্থাপন করলে প্রতিদিন সেই পবিত্র শিলাকে স্নান করিয়ে পুজো করা উচিত। এর মাধ্যমে ভগবান বিষ্ণুর পাশাপাশি দেবী লক্ষ্মীরও আশীর্বাদ পাওয়া যায়। তবে সকলেই এই পবিত্র শিলা ঘরে রাখতে পারেন না, আবার এই শিলা থাকলে পুজো করারও রয়েছে বিশেষ রীতি ও নিয়ম।

হিন্দুধর্ম মতে, কালো রঙের একটি চকচকে ডিম্বাকৃতি পাথরে স্বয়ং বিষ্ণুর অধিষ্ঠান করেন। যার কারণে লক্ষ্মী আরাধনা করলে ওই পাথরকে গুরুত্ব দেওয়া হয় সমানভাবে। লক্ষ্মীর অত্যন্ত প্রিয় ও পবিত্র এই শিলা তুলসির কাঠের তৈরি পাত্রে রেখে পুজো করার রীতি রয়েছে।

হিন্দুদের মতে, সাধারণত ব্রাহ্মণদের পরিবারে মধ্যেই স্থাপন করা হয়। তবে ঠাকুরঘরে শালিগ্রাম থাকলে সবার আগে জেনে রাখা উচিত শালিগ্রামের পুজো করা নিয়ম। তাই শালিগ্রাম স্থাপনের আগে কোন কোন নিয়মগুলি মেনে চলা উচিত, তা জেনে নিন...

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে শালিগ্রাম ঘরে বসানোর আগে মনে রাখবেন সবসময় সেটি কিনে ঘরে স্থাপন করুন। কারওর কাছ থেকে উপহার পেতে ঠাকুরঘরে রাখবেন না।

জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, বাড়িতে সবসময় একটি মাত্র শালিগ্রাম থাকাই উচিত। বাড়িতে একাধিক শালিগ্রাম থাকলে ক্ষমা চেয়ে নদীতে ফেলে দিতে পারেন।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে শালিগ্রামের পুজো করার সময় অক্ষত ব্যবহার করবেন না। যদি অক্ষত দিতে চান তবে সর্বদা হলুদ রঙের অক্ষত ব্যবহার করুন।

ঘরে থাকলে নিয়মিত শালগ্রাম শিলা পুজো করার নিয়ম। কোনও কারণে শালগ্রাম শিলা করা না হলে ভগবান বিষ্ণুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে জলে ফেলে দিতে হবে। বিশেষ করে শালগ্রাম শিলাকে সবসময় তুলসী গাছের কাছে রাখার নিয়ম। এর ফলে দেবী লক্ষ্মী অত্যন্ত তুষ্ট হন। প্রতিদিন পঞ্চামৃত দিয়ে স্নান করানো নিয়ম। বাড়িতে সুখ ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়।