বাঙালির সব খেলার সেরা ফুটবল। আর ফুটবল মানেই আলাদা করে বলতে হয় মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের কথা। এই দুই ক্লাবের ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিশ্বের অন্যতম সেরা। কলকাতা ডার্বি এশিয়া এবং সারা বিশ্বেই পরিচিত। এর প্রধান কারণ দুই ক্লাবের বিপুল সমর্থন। (ছবি: নিজস্ব)
বাঙালি প্রবাসে থাকলেও ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানকে ভোলে না। নজর রাখে খেলার সব ফলে। অস্ট্রেলিয়ায় থাকা বাঙালিদের মধ্যে এই দুই ক্লাবকে জিইয়ে রাখার লক্ষ্যে আইএফএ শিল্ড। (ছবি: নিজস্ব)
অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয়দের মধ্যেও এই দুই ক্লাবের ঐতিহ্য বোঝানোও লক্ষ্য বাঙালি ফুটবল কমিনিউটি ক্লাব বঙ্গদূত-এর। গত বছরই শুরু করে আইএফএ শিল্ড। এ বার আটটি দল অংশ নেয়। (ছবি: নিজস্ব)
পুরুষ, মহিলা এবং বাচ্চাদেরও টুর্নামেন্ট হয়। যাতে ছোট থেকেই ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের আবেগ বুঝতে পারে ওরা। পুরুষদের সেমিফাইনালে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গল এক (বাইচুং ভুটিয়া একাদশ), মোহনবাগান এক (চুনী গোস্বামী একাদশ), ইস্টবেঙ্গল টু (কৃষাণু দে একাদশ) এবং মোহনবাগান টু (সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় একাদশ)। (ছবি: নিজস্ব)
অস্ট্রেলিয়া বাংলা ফুটবল ক্লাব, বঙ্গদূত এই টুর্নামেন্টের আয়োজক। আজ পুরুষদের ফুটবল ফাইনালে মুখোমুখি হয় বাইচুং ভুটিয়া একাদশ ও চুনী গোস্বামী একাদশ। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। অবশেষে ১-০ ব্যবধানে জিতে চ্যাম্পিয়ন বাইচুং ভুটিয়া একাদশ। (ছবি: নিজস্ব)
এ বছর মেয়েদের ফুটবল বিশ্বকাপ হয়েছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। সে সময় অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিলেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে। বঙ্গদূত-এর সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করেন। অস্ট্রেলিয়ায় এমন একটা টুর্নামেন্টের বিষয়ে আপ্লুত মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার তথা এআইএফএফ প্রধান। (ছবি: নিজস্ব)
সারা বছর অস্ট্রেলিয়ানদের সঙ্গেও নানা টুর্নামেন্টে অংশ নেয় বঙ্গদূত। শিল্ড ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রীড়ামন্ত্রী জুলিয়া ফিন। এ ছাড়াও ছিলেন ডেপুটি মেয়র এবং আরও অনেক বিশিষ্ট জন। (ছবি: নিজস্ব)
ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান খেলবে আর দর্শক থাকবে না, এ আবার হয় নাকি! স্থানীয়দের মধ্যে এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে ব্যপক উন্মাদনা। প্রতি ম্যাচেই অনেকে উপস্থিত থেকেছেন। ফাইনালেও ৩০০-র বেশি দর্শক উপস্থিত ছিলেন। (ছবি: নিজস্ব)