
জন্মগত নাম ছিল অন্য, কিন্তু জনপ্রিয়তা পেলেন অন্য নামে। বাংলার বহু তারকারাই কেরিয়ারে উন্নতি আনতে নাম বদলেছেন। কখনও নিজের ইচ্ছাতেই, কখনও পরিচালক বা প্রযোজকের কথা। এই যেমন, কিশোর কুমার গঙ্গোপাধ্য়ায়। যাঁর আসল নাম আভাস কুমার গঙ্গোপাধ্য়ায়। তবে শুধুই কিশোর কুমার নয়, নাম বদলেছিলেন মান্না দেও। তাঁর আসল নাম প্রবোধ চন্দ্র দে।

কিশোর কুমারের দাদা অশোক কুমারও সিনেমায় আসার পর নাম বদলে ছিলেন। তাঁর আসল নাম ছিল কুমুদলাল গঙ্গোপাধ্যায়। অন্যদিকে মহানায়ক উত্তম কুমারের আসল নাম ছিল অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়।

ঠিক এমনই বাপি লাহিড়ির আসল নাম ছিল অলোকেশ লাহিড়ি। অন্যদিকে, কেদারনাথ ভট্টাচার্য নয়, কুমার শানু হয়েই গোটা দুনিয়া জনপ্রিয় হলেন কলকাতার ছেলে।

এই যেমন সুপ্রিয় বড়াল থেকে বাবুল সুপ্রিয় হলেন গায়ক। বলিউড, টলিউড তাঁর হাতের মুঠোয়। ঠিক তেমনি গায়ক শান। তাঁর আসল নাম শান্তনু মুখোপাধ্যায়।

সিনেমায় আসার পর নাম বদলে ফেলেন অভিনেতা ভিক্টর। তাঁর আসল নাম ছিল পার্থসারথী বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে অনুপ কুমারের নাম ছিল সত্যেন দাস।

নাম বদলেছিলেন কিংবদন্তি অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর আসল নাম ছিল সাম্যময়। রবি ঘোষের আসল নাম রবি নয়। তাঁর নাম রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।

বলিউডে পা দিয়েই সবাইকে তাক লাগিয়ে দিলেন ডিস্কো ডান্সার। মহাগুরু নামে খ্যাত মিঠুন চক্রবর্তীর আসল নাম কিন্তু একেবারেই আলাদা। কলকাতার তাঁকে সবাই গৌরাঙ্গ বলেই চিনতেন প্রথমে। অন্যদিকে অভিনেতা চিরঞ্জিতের আসল নাম দীপক।

টলিউডের নতুন ফেলুদা টোটার আসল নাম কিন্তু অনেকেই জানেন না। টোটার আসল নাম হল পুষ্পরাগ রায়চৌধুরী। অন্যদিকে যিশু সেনগুপ্তর আসল নাম বিশ্বরূপ।

দেবের আসল নাম দীপক। আর জিৎ হলেন জিতেন্দ্র। টলিউডের এই দুই সুপারস্টারের কপাল খুলেছিল নাম বদলেই।

মহানায়িকা সুচিত্রা সেন ছিলেন রমা দাশগুপ্ত। তবে সুপ্রিয়া চৌধুরীর আসল নাম অনেকেরই অজানা। সুপ্রিয়ার আসল নাম ছিল কৃষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মাধবী মুখোপাধ্য়ায়ের আসল নাম মাধবী নয়। বরং মাধুরী। অন্যদিকে মৌসুমী চট্টোপাধ্য়ায়ের আসল নাম ইন্দ্রা।

মহুয়া রায়চৌধুরীর আসল নাম ছিল শিপ্রা আর অন্যদিকে দেবশ্রী রায়ের আসল নাম ছিল চুমকি।

রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের আসল নাম ছিল ঝুমঝুম। তো অন্যদিকে কোয়েল মল্লিকের আসল নাম ছিল রুক্মিণী।