যে ‘বেসুরো’ নেতাদের সুর বাঁধতে হিমশিম খাচ্ছে তৃণমূল
ঋদ্ধীশ দত্ত |
Dec 15, 2020 | 11:07 PM
দলের বিরুদ্ধেই উষ্মা প্রকাশ করে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। আর সময় যত গড়াচ্ছে, এই তালিকা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা সামনে থেকে করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তাতে লাভ আদৌ কিছু হবে?
1 / 10
একুশের বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের মাথাব্যথাও ততই বাড়ছে। এই মাথাব্যথার কারণ এক বা দু’জন নন। দলের একাধিক 'বিশ্বস্ত' মন্ত্রী-বিধায়ক ও কাউন্সিলররা উল্টো সুর গাওয়া শুরু করেছেন। সহজ কথায় বলতে গেলে, দলের বিরুদ্ধেই উষ্মা প্রকাশ করে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। আর সময় যত গড়াচ্ছে, এই তালিকা দীর্ঘায়িত হচ্ছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা সামনে থেকে করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তাতে লাভ আদৌ কিছু হবে কিনা সেটা সময়ই বলবে। তবে 'বিদ্রোহের সুর' তোলা নেতা-নেত্রীদের সংখ্যা বর্তমানে কম নয়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেই বেসুরো নেতাদের তালিকা, যাদের সুরে বাঁধতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে।
2 / 10
১. শুভেন্দু অধিকারী, প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী: বেসুরো হয়েছিলেন অনেকদিন আগেই। এরপর মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। চলতি সপ্তাহেই দলের সঙ্গে পাট চুকিয়ে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন, এমন জল্পনা তীব্র হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সরাসরি দলের বিরুদ্ধে অবশ্য মুখ খোলেননি কখনই। তবে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর ‘গেছে যে দিন, তা চিরতরেই চলে গেছে’। এটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন। সৌগত রায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর মিলেও তাঁর মন পরিবর্তন করতে পারেননি।
3 / 10
ফাইল চিত্র।
4 / 10
৩. শীলভদ্র দত্ত, তৃণমূল বিধায়ক: বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানেই জানিয়েছিলেন। আর নির্বাচনে লড়বেন না তৃণমূলের হয়ে। মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ ব্যারাকপুরের এই তৃণমূল বিধায়কেরও মানভঞ্জনের চেষ্টা করেছিল শাসক শিবির। তবে লাভ হয়নি। বিক্ষুব্ধদের তালিকাতেই রয়েছেন তিনি।
5 / 10
জিতেন্দ্র তিওয়ারি, ফাইল চিত্র
6 / 10
৫. বৈশালী ডালমিয়া, বিধায়ক: সম্প্রতি দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বালির বিধায়ক বৈশালীও। তাঁর এলাকার পিকে-র সংগঠনের লোকেরা এসে বৈঠক করলেও তিনি কিছু জানতে পারছেন না। দলের একাংশই দুর্ব্যবহার করছেন। এহেন অভিযোগ তুলে বৈশালীও ‘বেসুরো’ কথা বলছেন ইদানীং।
7 / 10
৬. অতীন ঘোষ, কলকাতার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র: শুভেন্দু দল ছাড়তে পারেন, এহেন টানাপোড়েনের মধ্যেই গত সপ্তাহে বিস্ফোরক কিছু মন্তব্য করে বসেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য। রাজনৈতিক জীবনে বঞ্চিত ও কোণঠাসা হয়েছেন বলে মুখ খোলেন সংবাদ মাধ্যমে। এমনকী, শুভেন্দু অধিকারীর মতো ‘জননেতা’ দল ছাড়লে তৃণমূলের ক্ষতি হবে বলেও জানান। তাঁর এই মন্তব্যও অস্বস্তিতে রেখেছে তৃণমূলকে।
8 / 10
৭. খোকন দাস, পূর্ব বর্ধমান তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক: সোমবার প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। অভিযোগ করেছেন, দলে তোলাবাজি চলছে।
9 / 10
৮. বাণী সিংহ রায়, হাওড়ার প্রবীণ তৃণমূল নেতা: হাওড়ার এই প্রবীণ তৃণমূল নেতা সরাসরি দলের উদ্দেশে প্রশ্ন দেগেছেন, শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়তে পারেন এমন পরিস্থিতি কেন তৈরি হল? কেই বা এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। তাঁর কথায়, সবাই আর মাথা হেঁট করে থাকবে না। যারা কাজ করতে এসেছে তাদের পাঁচ বছর অন্তর মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। শুভেন্দু হয়তো সেই কারণের দলের কাজকর্মের প্রতিবাদ করেছিল।
10 / 10
৯. নীলরতন আঢ্য, বহরমপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান: বেসুরো হওয়ার তালিকায় দলের ছোট মাপের নেতারাও রয়েছেন। নীলরতন আঢ্য দলের সভাপতি আবু তাহের খানের বিরুদ্ধে ক্ষোভউগরে দিয়ে দাবি করেছেন, তাঁকে দলের বৈঠকে ডাকা হচ্ছে না। কাউকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।