ছিপছিপে রোগা হতে কে না চায়! কিন্তু সেই ডায়েট আর নিয়মিত শরীরচর্চা করতে অনেকেরই গায়ে জ্বর চলে আসে। ফলে শরীরের আনাচেকানাচে অতিরিক্ত চর্বি জমতেই থাকে। কিন্তু এই চর্বি জমার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে নানা সমস্যা। মনে রাখা উচিত, ওজন কমানোর কোনও শর্টকাট নেই।
স্থূলতা শরীরকে রোগের বাসা বাধে। কিন্তু মনে মনে যদি রোগা হওয়ার বাসনা থাকে, তাহলে আজ থেকেই ডায়েট ও শারীরিক পরিশ্রম করার মানসিকতা তৈরি করুন। অনেকেই চর্বি ঝরাতে ও গা থেকে ঘাম ঝরাতে জিমে অনেকটা সময় কাটান।
কিন্তু এতকিছু করারও যদি মনোবাসনা না থাকে, তাহলে এসব কোনও কিছু করার দরকার নেই। ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন রুটিন মেনে বেশ কিছু কাজ করলেই হবে। কী কী করবেন, তা জেনে নিয়ে আজ থেকেই প্ল্যান শুরু করুন।
নেচারের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা ওজন কমানোর জন্য যথেষ্ট। স্থূলতা কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায়। সঙ্গে রাখুন জলের বোতল। হাইড্রেশন রাখা অত্যন্ত জরুরি।
ডায়েট ফলো করুন, কিন্তু খিদে পেলে খালি পেটে একেবারেই থাকবেন না। তাতে শরীরের আরও বেশি করে চর্বি জমতে শুরু করে। তবে মাঝে মাঝে কয়েকঘণ্টার জন্য উপবাস পালন করতে পারেন।
বর্তমানে উপোস রাখা ওজন কমানো জন্য নয়া ট্রেন্ড, কিন্তু সবার জন্য এক কৌশল হতে পারে না। তাই ফাস্টিং ডায়েট শুরু করার আগে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করতে পারেন। আপনার খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন
তবে স্থূলতা কমানোর জন্য আলাদা করে কোনও বিশেষ খাবার নেই। তবে যে যে খাবারে মেটাবলিজম বাড়িয়ে তোলে, সেই সব খাবার ওজনা কমানোর জন্য সাহায্য করে।
হঠাৎ স্থূলতা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে পর্যাপ্ত ঘন্টা ঘুম না হওয়া। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে ঘুম ও স্থূলতার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। তাই ওজন কমাতে প্রতিদিন ন্যূনতম ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমনো খুবই জরুরি।