Sital Sasthi 2024: সরস্বতী পুজোর পরের দিন শীতলষষ্ঠী ও গোটাসেদ্ধ কেন পালিত হয়?

Bengali Vrat and Rules: হিন্দু ধর্মে ও বাঙালিদের মধ্য়ে ষষ্ঠীদেবীর গুরুত্ব প্রবল। ষষ্ঠীদেবী বা ষষ্ঠীঠাকুর হলেন বঙ্গীয় ও বাহির বঙ্গীয় সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক পৌরাণিক দেবী। সাধারণত গ্রামবাংলা সন্তানদাত্রী ও তাহার রক্ষাকর্ত্রী দেবী হিসেবে মানা হয়। মনে করা হয়, তাঁর কৃপায় নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান লাভ হয়। আর তিনিই হলেন সন্তানের রক্ষাকর্ত্রী।

Feb 15, 2024 | 7:30 AM

1 / 8
বাংলা ক্য়ালেন্ডার মতে, মাঘ মাসের শ্রীপঞ্চমীর পরদিন শুক্লাষষ্ঠী তিথিতে ষষ্ঠী দেবীর পূজা হিসাবে পালন করা হয়। সরস্বতী পুজোর পরের দিন ষষ্ঠীর তিথি থাকতে থাকতে এই ষষ্ঠী ব্রত পালন করা হয়। এদিন আরও একটি রীতি মেনে চলা হয়, তা হল গোটাসেদ্ধ।

বাংলা ক্য়ালেন্ডার মতে, মাঘ মাসের শ্রীপঞ্চমীর পরদিন শুক্লাষষ্ঠী তিথিতে ষষ্ঠী দেবীর পূজা হিসাবে পালন করা হয়। সরস্বতী পুজোর পরের দিন ষষ্ঠীর তিথি থাকতে থাকতে এই ষষ্ঠী ব্রত পালন করা হয়। এদিন আরও একটি রীতি মেনে চলা হয়, তা হল গোটাসেদ্ধ।

2 / 8
হিন্দু ধর্মে ও বাঙালিদের মধ্য়ে ষষ্ঠীদেবীর গুরুত্ব প্রবল। ষষ্ঠীদেবী বা ষষ্ঠীঠাকুর হলেন বঙ্গীয় ও বাহির বঙ্গীয় সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক পৌরাণিক দেবী। সাধারণত গ্রামবাংলা সন্তানদাত্রী ও তাহার রক্ষাকর্ত্রী দেবী হিসেবে মানা হয়। মনে করা হয়, তাঁর কৃপায় নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান লাভ হয়। আর তিনিই হলেন সন্তানের রক্ষাকর্ত্রী।

হিন্দু ধর্মে ও বাঙালিদের মধ্য়ে ষষ্ঠীদেবীর গুরুত্ব প্রবল। ষষ্ঠীদেবী বা ষষ্ঠীঠাকুর হলেন বঙ্গীয় ও বাহির বঙ্গীয় সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক পৌরাণিক দেবী। সাধারণত গ্রামবাংলা সন্তানদাত্রী ও তাহার রক্ষাকর্ত্রী দেবী হিসেবে মানা হয়। মনে করা হয়, তাঁর কৃপায় নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান লাভ হয়। আর তিনিই হলেন সন্তানের রক্ষাকর্ত্রী।

3 / 8
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে, দেবীর ভক্ত রাজা প্রিয়ব্রতের কথা। তিনি ষষ্ঠী পুজো করে মৃত সন্তানদের জীবিত অবস্থায় ফিরে পেয়েছিলেন। আর সেই থেকেই নাকি হিন্দু সমাজে প্রতি মাসের শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে ষষ্ঠীপুজো প্রচলিত হয়ে আসছে।

ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ মতে, দেবীর ভক্ত রাজা প্রিয়ব্রতের কথা। তিনি ষষ্ঠী পুজো করে মৃত সন্তানদের জীবিত অবস্থায় ফিরে পেয়েছিলেন। আর সেই থেকেই নাকি হিন্দু সমাজে প্রতি মাসের শুক্লা ষষ্ঠী তিথিতে ষষ্ঠীপুজো প্রচলিত হয়ে আসছে।

4 / 8
সনাতন হিন্দু শাস্ত্রানুসারে হিন্দু বর্ষপঞ্জীর প্রতিমাসের শুক্লাষষ্ঠী তিথিতে বিভিন্ন নামে ষষ্ঠীদেবী পূজিতা হন। যেমন জৈষ্ঠ মাসে অরণ্যষষ্ঠী, শ্রাবণ মাসে লুণ্ঠনষষ্ঠী ,ভাদ্র মাসে মন্থনষষ্ঠী, আশ্বিন মাসে দুর্গাষষ্ঠী বা বোধনষষ্ঠী, অগ্রহায়ণ মাসে মূলাষষ্ঠী, পৌষ মাসে পাটাইষষ্ঠী, মাঘ মাসে শীতলষষ্ঠী, চৈত্র মাসে অশোকষষ্ঠী এবং নীলষষ্ঠী। এছাড়া, শিশুর জন্মের পর 'সূতিকাষষ্ঠী , ষষ্ঠ দিনে 'ঘাটষষ্ঠী', একুশদিনে 'একুশে' ও শিশুর বারো বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি জন্মতিথিতে 'জলষষ্ঠী' দেবীর পুজো হয়ে থাকে।

সনাতন হিন্দু শাস্ত্রানুসারে হিন্দু বর্ষপঞ্জীর প্রতিমাসের শুক্লাষষ্ঠী তিথিতে বিভিন্ন নামে ষষ্ঠীদেবী পূজিতা হন। যেমন জৈষ্ঠ মাসে অরণ্যষষ্ঠী, শ্রাবণ মাসে লুণ্ঠনষষ্ঠী ,ভাদ্র মাসে মন্থনষষ্ঠী, আশ্বিন মাসে দুর্গাষষ্ঠী বা বোধনষষ্ঠী, অগ্রহায়ণ মাসে মূলাষষ্ঠী, পৌষ মাসে পাটাইষষ্ঠী, মাঘ মাসে শীতলষষ্ঠী, চৈত্র মাসে অশোকষষ্ঠী এবং নীলষষ্ঠী। এছাড়া, শিশুর জন্মের পর 'সূতিকাষষ্ঠী , ষষ্ঠ দিনে 'ঘাটষষ্ঠী', একুশদিনে 'একুশে' ও শিশুর বারো বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি জন্মতিথিতে 'জলষষ্ঠী' দেবীর পুজো হয়ে থাকে।

5 / 8
 ষষ্ঠীর পুজোয় ফল, হলুদ,  সন্দেশ প্রভৃতি দিতে হয়। পূজার দিন রান্নাঘরে কোনও আগুন না আভেন জ্বালানো উচিত নয়। তাই তার আগের দিন বিভিন্ন আনাজ গোটা গোটা কেটে সিদ্ধ করে রাখতে হয়। এমনকি ভাতও করে তাতে জল ঢেলে রাখতে হয়। সেই ঠাণ্ডা ভাত ও তরিতরকারি পরদিন পরিবারের সকলে মিলে খেতে হয়। পূজার দিন গরম খাবার কখনও মুখ তুলতে নেই। পুজো শেষে সন্তানের মঙ্গল কামনায় খালি সুতো নিয়ে হলুদ ও দইয়ে চুবিয়ে সেই সুতো ছেলেদের হাতে বেঁধে দিতে হয়।

ষষ্ঠীর পুজোয় ফল, হলুদ, সন্দেশ প্রভৃতি দিতে হয়। পূজার দিন রান্নাঘরে কোনও আগুন না আভেন জ্বালানো উচিত নয়। তাই তার আগের দিন বিভিন্ন আনাজ গোটা গোটা কেটে সিদ্ধ করে রাখতে হয়। এমনকি ভাতও করে তাতে জল ঢেলে রাখতে হয়। সেই ঠাণ্ডা ভাত ও তরিতরকারি পরদিন পরিবারের সকলে মিলে খেতে হয়। পূজার দিন গরম খাবার কখনও মুখ তুলতে নেই। পুজো শেষে সন্তানের মঙ্গল কামনায় খালি সুতো নিয়ে হলুদ ও দইয়ে চুবিয়ে সেই সুতো ছেলেদের হাতে বেঁধে দিতে হয়।

6 / 8
শীতল ষষ্ঠী সকলের জন্য প্রযোজ্য় নয়, বা বাধ্য়তামূলক নয়। যারা পালন করেন, তাঁরা সরস্বতী পুজোর পরের দিন বাড়িতে কোনও রান্না করেন না। শীতল ষষ্ঠীর দিনে বাড়িতে উনুন বা আভেন না জ্বালানোর প্রথা রয়েছে।  নিয়ম মেনে আগের দিন রান্না করে ষষ্ঠীর দিন সবকিছু ঠান্ডা খাবার খেতে হয়।

শীতল ষষ্ঠী সকলের জন্য প্রযোজ্য় নয়, বা বাধ্য়তামূলক নয়। যারা পালন করেন, তাঁরা সরস্বতী পুজোর পরের দিন বাড়িতে কোনও রান্না করেন না। শীতল ষষ্ঠীর দিনে বাড়িতে উনুন বা আভেন না জ্বালানোর প্রথা রয়েছে। নিয়ম মেনে আগের দিন রান্না করে ষষ্ঠীর দিন সবকিছু ঠান্ডা খাবার খেতে হয়।

7 / 8
শীতলষষ্ঠী ব্রত পালনের জন্য বাটনা বাটার শিল, বাঁশপাতা, জোড়া কলা, ২১টি সজনে ফুল, তালপাতার পাখা ও আল্পনার জন্য আতপ চালের পিটুলি। পুজোর সময় উঠোনে বাটনা বাটার শিলের উপর পিটুলি দিয়ে ষষ্ঠীমূর্তির আল্পনা এঁকে নোড়ার কোলে বাঁশপাতা, জোড়া কলা ও সজনে ফুল রাখতে হয়। এরপরে তালপাতার পাখা দিয়ে শিলটিকে বাতাস করতে হয়। তারপর আগে থেকে রান্না করা খাবার খেয়ে পুজো সম্পন্ন করা হয়।

শীতলষষ্ঠী ব্রত পালনের জন্য বাটনা বাটার শিল, বাঁশপাতা, জোড়া কলা, ২১টি সজনে ফুল, তালপাতার পাখা ও আল্পনার জন্য আতপ চালের পিটুলি। পুজোর সময় উঠোনে বাটনা বাটার শিলের উপর পিটুলি দিয়ে ষষ্ঠীমূর্তির আল্পনা এঁকে নোড়ার কোলে বাঁশপাতা, জোড়া কলা ও সজনে ফুল রাখতে হয়। এরপরে তালপাতার পাখা দিয়ে শিলটিকে বাতাস করতে হয়। তারপর আগে থেকে রান্না করা খাবার খেয়ে পুজো সম্পন্ন করা হয়।

8 / 8
বাংলার বেশ কিছু এলাকায় মরশুমি শাকসবজি দিয়ে আগের দিন তৈরি করা হয় পাঁচ মিশেলি বিশেষ তরকারি। শুধু তাই নয়, ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শরীরে জীবাণুর বাসা বাঁধতে শুরু করে, বসন্ত রোগের প্রভাব বেশি থাকে, তাই রোগ থেকে দূরে থাকতে এই টাটকা ও মরসুমি শাক-সবজি দিয়ে গোটাসেদ্ধ বানানো হয়।

বাংলার বেশ কিছু এলাকায় মরশুমি শাকসবজি দিয়ে আগের দিন তৈরি করা হয় পাঁচ মিশেলি বিশেষ তরকারি। শুধু তাই নয়, ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে শরীরে জীবাণুর বাসা বাঁধতে শুরু করে, বসন্ত রোগের প্রভাব বেশি থাকে, তাই রোগ থেকে দূরে থাকতে এই টাটকা ও মরসুমি শাক-সবজি দিয়ে গোটাসেদ্ধ বানানো হয়।