যুদ্ধ, প্রাকৃতি দুর্যোগ, ভূমিকম্পে কাঁপবে গোটা বিশ্ব , ২০২৬ -এ কোন মহাপ্রলয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন বাবা ভাঙ্গা?

চেরনোবিল বিপর্যয় থেকে শুরু করে ৯/১১ হামলা—তাঁর বহু কথাই নাকি মিলে গেছে হুবহু। এবার ২০২৬ সাল নিয়ে তাঁর ভবিষ্যৎবাণী নতুন করে ভীতির সঞ্চার করেছে। কী ঘটতে চলেছে আগামী বছরে? চলুন দেখে নেওয়া যাক বাবা ভাঙ্গার সেই হাড়হিম করা ৪ টি ভবিষ্যৎবাণী।

যুদ্ধ, প্রাকৃতি দুর্যোগ, ভূমিকম্পে কাঁপবে গোটা বিশ্ব , ২০২৬ -এ কোন মহাপ্রলয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন বাবা ভাঙ্গা?

|

Dec 19, 2025 | 2:11 PM

বুলগেরিয়ার অন্ধ সাধিকা বাবা ভাঙ্গা। ১৯১১ সালে জন্ম নেওয়া এই রহস্যময়ী নারী ১৯৯৬ সালে মারা গেলেও, তাঁর রেখে যাওয়া ভবিষ্যৎবাণী আজও বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। চেরনোবিল বিপর্যয় থেকে শুরু করে ৯/১১ হামলা—তাঁর বহু কথাই নাকি মিলে গেছে হুবহু। এবার ২০২৬ সাল নিয়ে তাঁর ভবিষ্যৎবাণী নতুন করে ভীতির সঞ্চার করেছে। কী ঘটতে চলেছে আগামী বছরে? চলুন দেখে নেওয়া যাক বাবা ভাঙ্গার সেই হাড়হিম করা ৪ টি ভবিষ্যৎবাণী।

১. বিশ্বের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যৎবাণী আগুনে ঘি ঢালছে। তিনি সতর্ক করেছিলেন যে, ২০২৬ সালে ইউরোপ এবং বিশ্বের পরাশক্তিগুলোর মধ্যে এক ভয়াবহ সংঘাত শুরু হতে পারে। বিশেষ করে, রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছাবে। তাঁর মতে, এই সংঘাতের ফলে ইউরোপ প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়তে পারে এবং বিশ্বজুড়ে এক গভীর সংকট তৈরি হবে।

২. প্রযুক্তির আশীর্বাদ কি অভিশাপে পরিণত হবে? বাবা ভাঙ্গা ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন যে, ২০২৬ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ (AI) মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। মেশিন বা রোবটরা নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করবে, যা মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

৩.প্রকৃতিও নাকি বিরূপ হবে ২০২৬-এ। বাবা ভাঙ্গার মতে, আগামী বছর ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাক্ষী হবে বিশ্ব। ভূমিকম্প, বন্যা এবং সুনামির মতো ঘটনায় পৃথিবীর প্রায় ৭-৮ শতাংশ স্থলভাগ ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে ইউরোপ এবং এশিয়ার কিছু অংশ এই বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

৪. সব খবরই যে খারাপ, তা নয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য ২০২৬ সালটি হতে পারে এক বৈপ্লবিক বছর। বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যৎবাণী অনুযায়ী, এই বছরেই বিজ্ঞানীরা ল্যাবে কৃত্রিমভাবে মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ (Synthetic Organs) তৈরিতে সক্ষম হবেন। এর ফলে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জটিলতা কমবে এবং বহু মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে।

বাবা ভাঙ্গার এসব ভবিষ্যৎবাণী কতটা সত্য হবে, তা সময়ই বলে দেবে। বিজ্ঞানমনস্ক মানুষেরা একে নিছকই কুসংস্কার বলে উড়িয়ে দিলেও, তাঁর ভক্তরা কিন্তু দিন গুনছেন এক অস্থির সময়ের। সত্যিই কি ২০২৬ সালে পৃথিবী এক নতুন যুগের সূচনা দেখবে, নাকি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাবে? উত্তর মিলবে খুব শীঘ্রই।