
বাড়ির মধ্যে সবচেয়ে ব্য়স্ততম জায়গা হল রান্নাঘর। প্রতিদিন বাড়ির সদস্যদের জন্য রান্নাবান্না থেকে শুরু করে দুষ্টু খিদে মেটাতে সকলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। ঘরের সব সমস্যা সমাধানের জায়গাও হল রান্না ঘরে। এমনচাই বলছে বাস্তুশাস্ত্র। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, রান্নাঘরের নানা সমস্যাগুলি শুধু রান্নাতেই নয়, জীবনের নানা সমস্যার চাবিকাঠি রয়েছে এই হেঁসেলেই। জ্যোতিষাশাস্ত্র মতে, এমন কিছু সমস্যার প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে. যেগুলি জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্য় বজায় রাখতে সাহায্য করে। জীবনকে আরও সাধারণ করে তুলতে জ্যোতিষশাস্ত্র এই প্রতিকারগুলি মেনে চলতে পারেন। বেশি পরিশ্রমের দরকার পড়বে না। কারণ হেঁসেলেই রয়েছে সেই সব জিনিসপত্র। রান্নাঘরের থাকা বিভিন্ন মশলা গিয়ে অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
দারুচিনি
দারুচিনি সাধারণত মাংস, পায়েস থেকে শুরু করে নানা সুস্বাদু রান্নার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিন্তু জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, দারুচিনির কিছু প্রতিকার ব্যবহার করে নিজের দিকে সৌভাগ্য আকর্ষণ করতে পারেন। এর জন্য একটি কাগজে দারুচিনি গুঁড়ো মুড়ে আপনার পার্সে বা নিরাপদে রেখে দিতে পারেন। ঠাকুরঘরে দারচিনির পাউডার রেখে দিতে পারেন। এরপরে, এই পাউডারটি প্রতি দিন পরিবর্তন করা উচিত। অর্থ সংক্রান্ত সমস্যা দূর হয়।
হলুদ
হলুদ শুধু রান্নায় স্বাদই এনে দেয়, তা নয়, রান্নাঘরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পুজোতেও হলুদের ব্যবহার করা হয়। যদি বিবাহিত জীবনে সমস্যা দেখা যায়, তবে বৃহস্পতিবার ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশ্যে হলুদের তিলক লাগাতে পারেন। কপালেও হলুদের তিলক লাগান। এর সঙ্গে দেবী পার্বতী ও ভগবান গণেশকেও হলুদ নিবেদন করুন। তাতে শীঘ্রই বিবাহের সম্ভাবনা তৈরি হতে শুরু করবে।
লবঙ্গ
লবঙ্গও হল জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে রান্নাঘরে একটি গুরুত্বপূর্ণ মশলা। লবঙ্গের প্রতিকার মেনে চললে সংসার থেকে নেগিটিভ শক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। মঙ্গল ও রবিবার ৫টি লবঙ্গ জ্বালিয়ে তার ধোঁয়া সারা ঘরে ছড়িয়ে দিন। তাতেও বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।