
২০২৫ বিদায় নিতে এখনও কিছুটা সময় বাকি থাকলেও, ২০২৬ সালের জ্যোতিষ গণনা নিয়ে এখনই শোরগোল শুরু হয়েছে জ্যোতিষমহলে। গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান অনুযায়ী, আগামী বছর বেশ কিছু শুভ ও অশুভ যোগ তৈরি হতে চলেছে। তবে এর মধ্যে সবথেকে ভয়ংকর ও অশুভ বলে বিবেচিত হচ্ছে ‘গ্রহণ যোগ’। জ্যোতিষশাস্ত্রে এই যোগকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়, যা নির্দিষ্ট কিছু রাশির জীবনে চরম বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
কী এই গ্রহণ যোগ?
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যখন সূর্য বা চন্দ্রের সঙ্গে রাহু অথবা কেতুর অবস্থান একই রাশিতে হয় কিংবা তারা খুব কাছাকাছি চলে আসে, তখন তাকে ‘গ্রহণ যোগ’ বলা হয়। ২০২৬ সালে সূর্য ও রাহুর মিলনে এই অশুভ যোগের সৃষ্টি হতে চলেছে।
দৃক পঞ্চাঙ্গের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৬ সালের শুরুতে গ্রহরাজ সূর্য শনির রাশি কুম্ভে প্রবেশ করবেন। সেখানে আগে থেকেই রাহু অবস্থান করবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ তারিখে সূর্যের এই প্রবেশের ফলে দুই গ্রহের অশুভ যূতি তৈরি হবে, যা স্থায়ী হবে ১৫ মার্চ ২০২৬ পর্যন্ত। মাত্র এক মাসের এই যোগ কয়েকটি রাশির জন্য ‘কাল’ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
সতর্ক থাকতে হবে যে তিন রাশিকে:
জ্যোতিষবিদদের মতে, এই গ্রহণ যোগের প্রভাবে বিশেষ করে তিনটি রাশির জাতক-জাতিকা চরম সংকটের মুখে পড়তে পারেন:
মীন রাশি: ২০২৬-এর এই সময়কাল মীন রাশির জাতকদের জন্য পাহাড় প্রমাণ কষ্ট নিয়ে আসতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। নতুন কোনও প্রজেক্ট বা ব্যবসায় বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী, কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি আটকে যাওয়া বা বিলম্বিত হওয়ার যোগ দেখা যাচ্ছে।
কন্যা রাশি: কন্যা রাশির জাতকদের জন্য এই সময়টি বড় চ্যালেঞ্জের। বিশেষ করে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। হঠকারী কোনও সিদ্ধান্তে বড় লোকসান হতে পারে। চাকরিতে নতুন সুযোগ এলেও তা আশানুরূপ ফল দেবে না। পাশাপাশি শারীরিক অসুস্থতাও ভোগাতে পারে।
কর্কট রাশি: কর্কট রাশির জাতকদের জন্য ২০২৬ সালের এই সময়টি অস্থিরতার। বিনিয়োগ এবং ব্যবসায় ঝুঁকি বাড়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। হঠাৎ করে বড় কোনো খরচ সামনে চলে আসায় সঞ্চয়ে টান পড়বে। পুরনো ঋণের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় মানসিক দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে।
জ্যোতিষবিদরা পরামর্শ দিচ্ছেন, এই অশুভ যোগ চলাকালীন বড় কোনো আর্থিক ঝুঁকি না নিতে এবং মাথা ঠাণ্ডা রেখে সিদ্ধান্ত নিতে। ২০২৬ সালের এই বিশেষ সময়টিতে সতর্কতা অবলম্বনেই মিলতে পারে প্রতিকার।
( এই প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্য জ্যোতিষ শাস্ত্রের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে লেখা। টিভি৯ বাংলা এর সত্যতা নিশ্চিত করে না।)