কীভাবে বুঝবেন শনিদেবের কুনজরে রয়েছেন? জেনে নিন লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায়

অনেকেই শনিদেবের নাম শুনে ভয় পান, কিন্তু মনে রাখবেন, শনিদেব কেবল কর্মফল দাতা; তিনি অসৎ কর্মের শাস্তি প্রদান করেন। যদি দেখেন আপনার হাতের মুঠোয় থাকা কাজ হঠাৎই বিগড়ে যাচ্ছে কিংবা অকারণে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে হতে পারে আপনি শনির বক্রদৃষ্টির শিকার। আসুন জেনে নেওয়া যাক শনিদেবের রুষ্ট হওয়ার লক্ষণগুলি কী এবং তাঁকে প্রসন্ন করার সহজ ও কার্যকরী উপায়।

কীভাবে বুঝবেন শনিদেবের কুনজরে রয়েছেন? জেনে নিন লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায়

|

Dec 22, 2025 | 8:27 PM

হিন্দু ধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্রে শনি গ্রহের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। নবগ্রহের মধ্যে শনির গতি সবথেকে মন্থর, আর সেই কারণেই ব্যক্তির ওপর এর প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়। অনেকেই শনিদেবের নাম শুনে ভয় পান, কিন্তু মনে রাখবেন, শনিদেব কেবল কর্মফল দাতা; তিনি অসৎ কর্মের শাস্তি প্রদান করেন। যদি দেখেন আপনার হাতের মুঠোয় থাকা কাজ হঠাৎই বিগড়ে যাচ্ছে কিংবা অকারণে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে হতে পারে আপনি শনির বক্রদৃষ্টির শিকার। আসুন জেনে নেওয়া যাক শনিদেবের রুষ্ট হওয়ার লক্ষণগুলি কী এবং তাঁকে প্রসন্ন করার সহজ ও কার্যকরী উপায়।

শনির কুদৃষ্টি বা কুনজর কী?

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, যখন কোষ্ঠীতে শনি দুর্বল অবস্থানে থাকেন, পাপ গ্রহ দ্বারা পীড়িত হন কিংবা জাতক-জাতিকার ওপর শনির সাড়ে সাতি বা ধাইয়া চলে, তখন ব্যক্তিকে মানসিক, আর্থিক ও শারীরিক কষ্ট ভোগ করতে হয়। সাধারণ ভাষায় একেই শনিদেবের কুদৃষ্টি বা কুনজর বলা হয়।

শনির অশুভ প্রভাবের প্রধান লক্ষণসমূহ

জ্যোতিষীদের মতে, শনির অশুভ দশা শুরু হলে জীবনে বিশেষ কিছু লক্ষণ প্রকট হয়ে ওঠে:

অকারণে খরচ বেড়ে যাওয়া, ব্যবসায় হঠাৎ বড়সড় লোকসান কিংবা ঋণের জালে জড়িয়ে পড়া শনির অশুভ প্রভাবের অন্যতম বড় লক্ষণ।

হাড়ভাঙা পরিশ্রম করা সত্ত্বেও শেষ মুহূর্তে কাজ আটকে যাওয়া বা বারংবার ব্যর্থতা আসা।

হাড়ের সংযোগস্থলে (জয়েন্ট) ব্যথা, বিশেষত পায়ে যন্ত্রণা বা হাড় সংক্রান্ত রোগ হঠাৎ ভোগাতে শুরু করে।

পরিবারে বিনা কারণে ঝগড়া-বিবাদ, সমাজে মান-সম্মান হানি বা আইনি ঝামেলায় (কোর্ট-কাছারি) জড়িয়ে পড়া।

যদি হঠাৎ মন অনৈতিক কাজের দিকে ঝুঁকতে থাকে বা অতিরিক্ত অলসতা ও ক্লান্তি অনুভব করেন, তবে এটি শনির নেতিবাচক প্রভাব হতে পারে।

শনির রুষ্ট দৃষ্টি থেকে বাঁচতে এবং জীবনকে মসৃণ করতে জ্যোতিষশাস্ত্রে কিছু বিশেষ উপায়ের উল্লেখ রয়েছে:

১. শনি মন্দিরে দীপদান: প্রতি শনিবার সন্ধ্যায় অশ্বত্থ গাছের নিচে সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালান। খেয়াল রাখবেন, প্রদীপে যেন সামান্য কালো তিল অবশ্যই থাকে।

২. হনুমান চালিশা পাঠ: শনিদেব পবনপুত্র হনুমানজির পরম ভক্ত। তাই শনিবার ভক্তিভরে হনুমান চালিশা বা সুন্দরকান্ড পাঠ করলে শনির সাড়ে সাতি ও ধাইয়ার প্রকোপ অনেকটাই কমে যায়।

৩. ছায়া দান: এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপায়। শনিবার একটি বাটিতে সরষের তেল নিয়ে তাতে নিজের প্রতিবিম্ব বা মুখ দেখুন। এরপর সেই তেল কোনও দুঃস্থ ব্যক্তিকে দান করে দিন অথবা শনি মন্দিরে রেখে আসুন।