কেন এক গোত্রে বিয়ে করতে নেই? জানুন এর পেছনের ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক কারণ

'গোত্র' শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো বংশ বা কূল। প্রাচীনকালে ঋষি-মুনিদের বংশধরদের বিভিন্ন গোত্রে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতিটি গোত্রের একজন মূল ঋষি থাকেন, যার নামানুসারে সেই গোত্রের পরিচয় হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কাশ্যপ গোত্র, ভরদ্বাজ গোত্র বা গৌতম গোত্র। একই গোত্রের মানুষদের একই পূর্বপুরুষের বংশধর বলে মনে করা হয়। তাই বলা হয় যে, তাঁদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক বিদ্যমান।

কেন এক গোত্রে বিয়ে করতে নেই? জানুন এর পেছনের ধর্মীয় ও বৈজ্ঞানিক কারণ

|

Dec 23, 2025 | 1:40 PM

হিন্দু ধর্মে বিবাহকে ‘ষোড়শ সংস্কার’-এর অন্যতম একটি বলে মনে করা হয়। বিবাহের মাধ্যমেই শুরু হয় মানুষের গৃহস্থ জীবন। হিন্দু বিবাহ পদ্ধতিতে রয়েছে নানা নিয়ম ও আচার-অনুষ্ঠান, যার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল ‘গোত্র’। হিন্দু ধর্মে কখনই একই গোত্রের নারী ও পুরুষের মধ্যে বিবাহ সম্পন্ন হয় না। কিন্তু কেন মানা হয় এই নিয়ম? আসুন, বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

গোত্র আসলে কী?
‘গোত্র’ শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো বংশ বা কূল। প্রাচীনকালে ঋষি-মুনিদের বংশধরদের বিভিন্ন গোত্রে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতিটি গোত্রের একজন মূল ঋষি থাকেন, যার নামানুসারে সেই গোত্রের পরিচয় হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কাশ্যপ গোত্র, ভরদ্বাজ গোত্র বা গৌতম গোত্র। একই গোত্রের মানুষদের একই পূর্বপুরুষের বংশধর বলে মনে করা হয়। তাই বলা হয় যে, তাঁদের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক বিদ্যমান।

একই গোত্রে বিবাহ না করার পেছনে সুনির্দিষ্ট ধর্মীয় কারণ রয়েছে। হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী, একই গোত্রের নারী ও পুরুষ একে অপরের ভাই-বোন সম্পর্কীয় হন। কারণ, তাঁদের একই ঋষির বংশধর বলে মনে করা হয়। এমতাবস্থায়, সগোত্রে বিবাহ ঋষি পরম্পরার লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হয়।

প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, একই গোত্রে বিবাহ করলে ‘বিবাহ দোষ’ দেখা দেয়, যার ফলে বর-কনের জীবনে নানা সমস্যা নেমে আসে। শুধু তাই নয়, মনে করা হয় যে সগোত্রে বিবাহের ফলে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করে, তার মধ্যে শারীরিক ও মানসিক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। বিজ্ঞানও এই বিষয়টিকে সমর্থন করেছে। বিজ্ঞানের মতে, যদি একই গোত্রে বিবাহ করা হয় তবে নানা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে, একই গোত্রে বা কূলে বিবাহ করলে সন্তানের মধ্যে জিনগত বা বংশগত ত্রুটি (Genetic Defects) দেখা দিতে পারে। এমন দম্পতির সন্তানের মধ্যে জিনগত বৈচিত্র্য বা নতুনত্ব খুব একটা দেখা যায় না।

( এই প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্য ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাধারণ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে লেখা। টিভি৯ বাংলা এর সত্যতা নিশ্চিত করে না।)