Kojagari Lakshmi Puja: অল্পেই তুষ্ট দেবী লক্ষ্মী, সমৃদ্ধি-ঐশ্বর্য বৃদ্ধির জন্য পুজোর সময় পড়ুন এই একটি মন্ত্র
Lakshmi Mantra: হিন্দুশাস্ত্র মতে, দেবদেবীদের পুজোয় মন্ত্র উচ্চারণ করা ও রীতিনীতি মেনে সুষ্ঠভাবে পুজো করার অধিকার রয়েছে নারী-পুরুষ উভয়েরই। তাই লক্ষ্মীর কৃপা পেতে আলাদা করে পুরোহিতের দরকার পড়বে না। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়া আবশ্যিক।

সুখ-শান্তি, সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য আজ ঘরে ঘরে লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন চলছে। শাস্ত্র মতে, দেবীলক্ষ্মী ধনসম্পদ ও সৌভাগ্যের প্রতীক। তাই কোজাগরীর পূর্ণিমায় তাঁকে মর্ত্যে আহ্বান জানানোর জন্য বিশেষ আচারবিধি মেনে পুজো করা হয়। শুধু গৃহের নয়, সমাজেরও কল্যাণের কারণে দেবী লক্ষ্মীকে পূর্ণ মর্যাদায় আরাধনা করা রীতি রয়েছে। তাই এই পুজোকে অত্যন্ত পবিত্র ও শুদ্ধ বলে মনে করা হয়। সাধারণত লক্ষ্মীপুজোর জন্য বিশাল আয়োজনেরও প্রয়োজন নেই। কারণ অল্পতেই তুষ্ট এই মহাদেবী। যার যেমন সাধ্য , সে তেমন পুজোর আয়োজন করতে পারেন। পুজোর সময় পরিষ্কার রাখা, আলপনা দেওয়া, ঘট প্রতিষ্ঠা করা, সারা বাড়িতে ধূপ-ধুনো, প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা উচিত। প্রতিটি ঘরের দরজার সামনে, পুজোর জায়গায় লক্ষ্মীর পা এঁকে আলপনা দেওয়া উচিত।
সব পুজোরই আলাদা আলাদা রীতি ও আচার অনুষ্ঠান থাকে। শুধু তাই নয়, প্রতিটি দেবদেবীর আরাধনার জন্য রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মন্ত্র। সাধারণত পুজো-পার্বণে ব্রাহ্মণ বা পুরোহিত ডেকে আনা হয়। কিন্তু মন্ত্র যদি সঠিক উপায়ে উচ্চারণ করা হয়, সঠিক সময়ে পালন করা হয়, তাহলে পুরোহিতের প্রয়োজন হবে না। হিন্দুশাস্ত্র মতে, দেবদেবীদের পুজোয় মন্ত্র উচ্চারণ করা ও রীতিনীতি মেনে সুষ্ঠভাবে পুজো করার অধিকার রয়েছে নারী-পুরুষ উভয়েরই। তাই লক্ষ্মীর কৃপা পেতে আলাদা করে পুরোহিতের দরকার পড়বে না। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোয় লক্ষ্মীর পাঁচালি পড়া আবশ্যিক। তেমনি বেশ কিছু মন্ত্র রয়েছে, যেগুলি ধনসম্পদ, সুখ-শান্তি, ঐশ্বর্যলাভের আশায় বেশ কিছু মন্ত্র উচ্চারণ করতে পারেন।
কোজাগরী লক্ষ্মীর স্তোত্র
লক্ষ্মীস্তং সর্বদেবানাং যথাসম্ভব নিত্যশঃ।
স্থিরাভাব তথা দেবী মম জন্মনি জন্মনি।।
বন্দে বিষ্ণু প্রিয়াং দেবী দারিদ্র্য দুঃখনাশিনী।
ক্ষীরোদ সম্ভবাং দেবীং বিষ্ণুবক্ষ বিলাসিনীঃ।।
প্রণাম মন্ত্র
ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে।
সর্বতঃ পাহি মাং দেবী মহালক্ষ্মী..
পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র
নমস্তে সর্বদেবানাং বরদাসি হরিপ্রিয়ে।
যা গতিস্তং প্রপন্নানাং সা মে ভূয়াত্বদর্চবাৎ।।
কোজাগরী লক্ষ্মী স্তোত্রম্
ত্রৈলোক্য পূজিতে দেবী কমলে বিষ্ণুবল্লভে।
যথাস্তং সুস্থিরা কৃষ্ণে তথা ভবময়ি স্থিরা।।
ঈশ্বরী কমলা লক্ষ্মীশ্চলা ভূতি হরিপ্রিয়া।
পদ্মা পদ্মালয়া সম্পদ সৃষ্টি শ্রীপদ্মধারিণী।।
দ্বাদশৈতানি নামানি লক্ষ্মীং সম্পূজ্য যঃ পঠেত।
স্থিরা লক্ষ্মীর্ভবেৎ তস্য পুত্রদারারদিভিংসহ।।
কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আহ্বান মন্ত্র
এস মা লক্ষ্মী, কমল বরণী, কমলালতিকা দেবী কমলিনী-
কমল আসনে, বিরাজ কমলা, কমলময়ী ফসলবাসিনী।।
কমল বসন, কমল ভূষণ, কমনীয় কান্তি অতি বিমোহন।
কোমল করে, শোভিছে কমল, ধাল সিঁদুরে শোভে দেখি শিরে।
কোমল কন্ঠে কমল হারে, কোমল বদন দেখি যে সুন্দরে।।
কমল চরণে কমল নূপুর, কমল অলক্ত মরি কি সুন্দর।
দীন মধুসূদনের সন্তাপ হর তুমি নারায়ণী শান্তিপ্রদায়িনী।।
