
হিন্দু ধর্মে বাস্তুশাস্ত্রের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাস্তুশাস্ত্রে উল্লিখিত নিয়মগুলি সঠিকভাবে মেনে চললে জীবনে কোনও দুঃখকষ্ট থাকে না। আর যদি নিয়ম মেনে সুখী হয়। সেই সঙ্গে নিয়ম না মানলে সংসারে আসতে পারে নানা সমস্যার ঝড়, ধনী থেকে একেবারে দারিদ্র্যেও নেমে আসতে পারে। বাস্তুশাস্ত্রে দৈনন্দিন জীবনের সঙ্গে জড়িত অনেক নিয়মের কথা বলা হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল , খাবার খাওয়া। হিন্দু ধর্মে খাবার কীভাবে খাবেন, কেমন ভঙ্গিতে বসে খাবার খাবেন, তার উল্লেখ রয়েছে। বাস্তু ও জ্যোতিষশাস্ত্র মতে খাবার খাওয়ার সঠিক উপায় ও খাওয়ার সময় কী করা উচিত নয় তা জেনে রাখা উচিত। খাবার খাওয়ার সময় ছোট্ট একটি ছোট ভুলেই আসতে পারে সমস্যার ঝড়। তাই, খাবার খেতে গিয়ে কোন কোন বিষয়ের উপর নজর রাখা উচিত, তা জানুন…
বাস্তুশাস্ত্রে দিকনির্দেশকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। বাস্তুতে বলা হয়েছে যে খাবার খাওয়ার সময় সর্বদা উত্তর বা পূর্ব দিকে মুখ করে বসে থাকা উচিত। এর বাইরে যদি কোনও ব্যক্তি দক্ষিণ দিকে মুখ করে খাবার খান তবে তা তার স্বাস্থ্যের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
বাড়িতেও বর্তমানে খাবারের টেবিলে বসেই খাওয়া হয়ে থাতে। তবে বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে খাবার টেবিল কখনওই খালি রাখা উচিত নয়। তাজা ফল, মিষ্টি বা খাদ্যদ্রব্য সব সময় তার ওপর রাখতে হবে। মনে করা হয়, বাড়িতে সমৃদ্ধি বয়ে আসে এতেই। তবে খাবারের টেবিলে বসে খাবার না খেলে, তা খালি রাখতে পারেন।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বিছানায় বসে খাবার খেলে তা মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। মনে করা হয় যে বিছানায় বসে খাবার খেলে অন্যের উপর ঘৃণা বাড়ে। অর্থ সংক্রান্ত সমস্যাও তৈরি হয়।
খাবারে লবণ যোগ করতে পছন্দ করেন অনেকেই। অনেকেই ভাত খাওয়ার প্লেটে এক চামচ নুন না নিলে ভাত হজম হয় না। খাবার খাওয়ার পরেও যদি পাতে নেওয়া নুন পড়ে থাকে, তাহলে তা কখনও ফেলে দেওয়া উচিত নয়। তাতেকিছু জল যোগ করতে পারেন। লবণ ফেলে দিলে বা লবণ দান করলে ঘরে দারিদ্র্য ঘুচে যায়। রোজকার অশান্তিরও অবসান ঘটে।
রাতে খাওয়ার পর রান্নাঘরে বাসনপত্র এঁটো অবস্থায় রাখা উচিত নয়। মনে করা হয়, দেবী অন্নপূর্ণা ও দেবী লক্ষ্মীকে অপমান করা হয়। এর জেরে বাড়িতে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।