Durga Puja Rituals: শ্যামবর্ণা দেবী দুর্গা, এখানে পূজিত হন কালী রূপে!

Oct 09, 2024 | 4:59 PM

Durga Puja Rituals: হরিদেব ভট্টাচার্য ছিলেন কালী ভক্ত। দুর্গা পুজো শুরুর বহু আগে থেকেই তার বাড়িতে মা কালীর আরাধনার চল ছিল। কথিত মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়েই দুর্গা পুজো শুরু করেন ভট্টাচার্য মশাই।

Durga Puja Rituals:  শ্যামবর্ণা দেবী দুর্গা, এখানে পূজিত হন কালী রূপে!

Follow Us

কলকাতার পুজোর একটা বড় অংশ হল বনেদি বাড়ির দুর্গাপুজো। এই সব বাড়ির পুজোতে আছে নানা ধরনের রীতিনীতি। বনেদি বাড়ির পুজো মানে তার জাঁকজমকই আলাদা। কোথাও পূজিত হন একচালার দুর্গা, কোথাও মা আসেন তাঁর সখী জয়া-বিজয়ার সঙ্গে। কোথাও আবার পুজোয় আছে কামান দাগার চল। সেই সব রীতিনীতি জানলে চোখ কপালে ওঠে। তেমনই বেলেঘাটার রামকৃষ্ণ লেনের ভট্টাচার্য বাড়ির দুর্গাপুজো। যাঁর গল্প শুনলে চমকে উঠবেন আপনিও। এখানে দেবীর পুজোয় আছে বিশেষ উপাচার।

বাংলাদেশের পাবনা জেলার স্থলবসন্তপুরে নাটোরে রাজত্ব করতেন রানি ভবানি। তাঁর আমলেই শুরু হয় এই বাড়ির পুজো। পুজো শুরু করেন হরিদেব ভট্টাচার্য। দেখতে দেখতে পুজো পেরিয়েছে ২৯০ বছরের গন্ডিও। শোনা যায়, নাটোরের রানি হরিদেব ভট্টাচার্যকে জমি দান করেছিলেন। তারপর থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন সেখানকার জমিদার।

হরিদেব ভট্টাচার্য ছিলেন কালী ভক্ত। দুর্গা পুজো শুরুর বহু আগে থেকেই তার বাড়িতে মা কালীর আরাধনার চল ছিল। কথিত মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়েই দুর্গা পুজো শুরু করেন ভট্টাচার্য মশাই। মায়ের আদেশেই মূর্তির রং স্থির হয় কালো।

এই খবরটিও পড়ুন

কিন্তু মূর্তি কেন কৃষ্ণ বর্ণ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন জাগে মনে। হরিদেব ভট্টাচার্য কথা বলেন, বহু পণ্ডিতের সঙ্গে কিন্তু কেউ তাকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। শেষে একদিন গঙ্গার ঘাটে খুঁজে পান উত্তর। এক সাধুকে তার মনের সব কথা জানালে, তিনি নাকি বলেন মা পূজিতা হতে চান ভদ্রকালী রূপে। তাই এই কালো বর্ণের আদেশ।

এরপর সেই সাধুই তালপাতায় লেখা একটি পুঁথি দেন হরিদেব ভট্টাচার্যকে। সেই পুঁথিতে লেখা নিয়ম অনুসারেই আজও পুজিত হন মা। সেই বাড়ির একটি শাখা পুজো চালিয়ে চলেছে আজও। তবে মায়ের গায়ের রং কালো হলেও সন্তানদের রং কিন্তু গৌর বর্ণ, আর অসুরের রং হয় সবুজ।

এ বাড়িতে পুজো হয় কালিকা মতে। পুরোহিতের গায়ে থাকে লাল বস্ত্র। তন্ত্র মতে পুজো করেন দেবীর। ভোগে সকালে থাকে নিরামিষ আর সন্ধে বেলা আমিষ। সন্ধি পুজোতে থাকে মাছ ভাজা, দশমীতে পান্তা ভাত এবং দই কলা। নিয়ম মেনেই বিসর্জন হয় দশমীতে।

Next Article