ফেসবুক-হোয়াটসাঅ্যাপ খুললেই চারিদিকে খালি একটাই বার্তা, ‘শুভ বিজয়া’। দশমী চলে আসা মানেই উমাকে বিদায় জানানোর পালা। প্রতিমা বিসর্জনের শেষে বিজয়া করার পালা। বড়দের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে বা ছোটদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আমরা বলি ‘শুভ বিজয়া’। কিন্তু মা চলে গেলে তো সবার মনেই থাকে বিষাদের সুর। তাহলে কেন শুভ বিজয়া বলা হয়? কী এর পৌরাণীক ব্যাখ্যা?
পুরাণ অনুসারে মহিষাসুরের সঙ্গে ন’দিনের ভীষণ যুদ্ধের শেষে দশম দিনে অত্যাচারী অসুররাজকে বধ করেছিলেন দশভুজা দেবী দুর্গা। দশম দিনে নারী শক্তির জয়লাভকেই বিজয়া বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাই এই দিন ‘শুভ বিজয়া’ বলার চল।
অনেকের মতে আশ্বিন মাসে চার ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাপের বাড়িতে আসেন দেবী। চারদিনের শেষে পঞ্চম দিনে আবার বাপের বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি কৈলাসে ফিরে যান দেবী দুর্গা। বিশ্বাস আশ্বিন মাসের শুক্ল দশমী তিথিতে বাপের বাড়ি ছেড়ে শ্বশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিনি। তাই এই তিথিকে বিজয় দশমী বলা হয়।
এই সমন্ধে আরও একটি মত রয়েছে। শ্রী চণ্ডীর কাহিনী অনুসারে দেবীর আবির্ভাব হয় আশ্বিন মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথিতে। আর মহিষাসুরকে বধ করেন শুক্লা দশমী তিথিতে। তাই এই দিন বিজয়া বলে পরিচিত।
মতান্তরে, আরও কাহিনী রয়েছে। রামায়ণ অনুসারে, আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের দশমী তিথিতে রাবণ বধ করেছিলেন রাম। গোটা দেশ তাই এই দিন দশেরা রূপে পালিত হয়। সেই থেকেও এই দিন শুভ বিজয়া বলার চল বলে মনে করেন অনেকেই।