বাস্তুশাস্ত্র (Vastu Sashtra) অনুযায়ী, বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় আয়না লাগালে বাস্তু দোষ (Vastu Dosh) দূর হয়। কিন্তু কোথায় কোন আকারের আয়না রাখবেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই অনুযায়ী গৃহে সুখ-শান্তি বজায় থাকে। বাস্তুমতে, সবকিছুরই নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। সব কিছুকে যথাস্থানে রাখারও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু আমরা প্রায়ই এই জিনিসগুলি ভুলে যাই এবং সেই জিনিসগুলিকে সঠিক জায়গায় রাখি না। যার ফলে ঘরের মধ্যেই তৈরি হয় নেতিবাচক (Negetivity) প্রভাব। রোজকার অশান্তি ও ঝামেলা যদি লেগেই থাকে, তাহলে ঘরের আয়নার অবস্থান পরিবর্তন করতে পারেন। তাতে ঘরের আশেপাশে পজিটিভ প্রভাব বিস্তার করে। তাই জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি লাভের জন্য বাড়ির বাস্তুদোষ যতটা সম্ভব তাড়াতাড়ি দূর করা খুবই জরুরি।
অনেকেই বাড়িতে বিভিন্ন আকারের ও কাস্টমাইজড আয়না রাখতে পছন্দ করেন। ঘরে বিভিন্ন অংশে এবং বিভিন্ন আকারের এগুলি রাখলে তাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে আয়না রাখার সঠিক জায়গা এবং আকার কী? আর এগুলি বাস্তুশাস্ত্রে এর গুরুত্বও অনেক। যদি আপনার বাড়ির বেসমেন্ট বা দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে বাথরুম বা টয়লেট থাকে, তবে আপনার পূর্ব দিকের দেওয়ালে একটি বর্গাকার আকৃতির আয়না লাগাতে পারেন। তাতে বাড়ির বাস্তু দোষ শীঘ্রই দূর হয়ে যাবে।
আপনার ঘরের কোনও অংশ যদি অস্বাভাবিক আকৃতির বা অন্ধকার হয়, তাহলে বড় মাপের আয়না লাগাতে পারেন। এমন আকারের আয়না বসিয়ে গৃহের শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন। আপনার বাড়ির বাইরে যদি কোনও বৈদ্যুতিক খুঁটি, উঁচু দালান, অবাঞ্ছিত গাছ তবে আপনি বাড়ির মূল দরজায় একটি প্যাকুয়া মিরর রেখে সমস্যার সমাধান করতে পারেন। পাকুয়া মিরর হল একটি অষ্টভুজাকার কাঠের ফ্রেমে তৈরি আয়না। যার উপর সুতো দিয়ে কারুকার্যও করা আয়নাও পাওয়া যায়। এই ফ্রেম বেশিরভাগই লাল, সবুজ, হলুদ এবং সোনালি রঙের হয়ে থাকে।