অবিবাহিত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ কি করা উচিত? একমাত্র কাদের রয়েছে অধিকার?

পুত্র তার পিতার শ্রাদ্ধ করে পিতাকে জন্ম-মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি দেয়। কিন্তু যদি কোনো পুত্র অবিবাহিত থাকা অবস্থায় প্রাণ হারায়, তবে তাঁর স্ত্রী বা সন্তান কেউ থাকে না। এমতাবস্থায় শাস্ত্রীয় বিধান অনুযায়ী, পুত্রের শ্রাদ্ধ কর্ম করার প্রাথমিক দায়িত্ব ও অধিকার রয়েছে তাঁর পিতার। পুত্রের আত্মার শান্তি ও মোক্ষ লাভের জন্য পিতাই এখানে প্রধান কর্তার ভূমিকা পালন করবেন।

অবিবাহিত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ কি করা উচিত? একমাত্র কাদের রয়েছে অধিকার?

|

Dec 25, 2025 | 2:14 PM

হিন্দু ধর্মে মৃত্যুর পরবর্তী আচার-অনুষ্ঠান বা পারলৌকিক কর্ম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। শাস্ত্রীয় বিশ্বাস অনুসারে, যথাযথ শ্রাদ্ধ ও তর্পণের মাধ্যমেই বিদেহী আত্মা শান্তি লাভ করে। কিন্তু অনেকের মনেই একটি প্রশ্ন জাগে—যদি কোনো ব্যক্তি অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন, তবে তাঁর শ্রাদ্ধ করার অধিকার কার রয়েছে? হিন্দু ধর্মের ১৮টি মহাপুরাণের অন্যতম ‘গরুড় পুরাণ’-এ এই বিষয়ে সুস্পষ্ট ও বিস্তারিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।

 

পিতাই প্রধান কর্তা সাধারণত শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, পুত্র তার পিতার শ্রাদ্ধ করে পিতাকে জন্ম-মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্তি দেয়। কিন্তু যদি কোনো পুত্র অবিবাহিত থাকা অবস্থায় প্রাণ হারায়, তবে তাঁর স্ত্রী বা সন্তান কেউ থাকে না। এমতাবস্থায় শাস্ত্রীয় বিধান অনুযায়ী, পুত্রের শ্রাদ্ধ কর্ম করার প্রাথমিক দায়িত্ব ও অধিকার রয়েছে তাঁর পিতার। পুত্রের আত্মার শান্তি ও মোক্ষ লাভের জন্য পিতাই এখানে প্রধান কর্তার ভূমিকা পালন করবেন।

পিতার অনুপস্থিতিতে বিকল্প নিয়ম যদি মৃত ব্যক্তির পিতা জীবিত না থাকেন অথবা অসুস্থতার কারণে শ্রাদ্ধ করতে অপরাগ হন, তবে পিতার পর সেই দায়িত্ব এসে পড়ে মৃতের ছোট বা বড় ভাইয়ের ওপর। যদি মৃত ব্যক্তির কোনও ভাই না থাকে, তবে তাঁর পিতৃব্য বা কাকা এই শ্রাদ্ধ কর্ম সম্পন্ন করতে পারেন। এছাড়া পরিবারের ঘনিষ্ঠ কোনও আত্মীয়ের অনুপস্থিতিতে বংশের যেকোনও পুরুষ সদস্য এই পবিত্র কাজ করতে পারেন।

অবিবাহিত আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ বিধান শাস্ত্র মতে, অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুকে একটি ‘অপূর্ণ জীবন’ হিসেবে গণ্য করা হয়। গরুড় পুরাণ অনুযায়ী, এই ধরণের অতৃপ্ত আত্মার শান্তির জন্য সাধারণ শ্রাদ্ধের পাশাপাশি কিছু বিশেষ অনুষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে। যদি অকাল মৃত্যু ঘটে, তবে ‘নারায়ণ বলি’ পুজো করানোর বিধান রয়েছে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই পুজোর মাধ্যমে আত্মা প্রেত যোনি থেকে মুক্ত হয়ে পিতৃলোকে স্থান লাভ করে। গয়ায় ও হরিদ্বারে এই পুজো আলাদা করে করানো হয়।

এই প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্যাদি ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল। এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। টিভি৯ বাংলা এই তথ্যের সত্যতা যাচাই বা নিশ্চিত করেনি।