
আবহাওয়ার খামখেয়ালিতে রোগভোগের শিকার হন শিশু থেকে প্রবীণরা। কিন্তু সারাবছর ধরে বাড়ির কেউ না কেউ কোনও না কোনও অসুখে পড়ছেন। কখনও কঠিন রোগে, আবার কখনও আবার সাধারণ অসুখে ভোগেন বাড়ির সদস্যরা। একটু পিছনের দিকে তাকালে দেখা যাবে, করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় অনেকেই প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। সেই সময় থেকে স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সুস্থ ও ফিট থাকতে সুষম আহার ও স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নেওয়ার বিষয়ে বেশি আগ্রহী হয়েছেন। তবুও রোগের কোনও শেষ নেই। একের পর এক অসুখ লেগেই রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষ নিজের ভাগ্যকেই দোষারোপ করে থাকেন। কিন্তু ভাগ্যকে আর দোষ না দিয়ে বাড়ি থেকে বাস্তুদোষ দূর করা প্রয়োজন।
কে কখন কোন রোগে অসুস্থ হবেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন কেউই। কিন্তু পরিবারের মধ্যে একের পর এক ক্যান্সার, ব্রেন স্ট্রোক বা অন্য কোনও গুরুতর রোগে ভুগতে থাকেন, তাহলে শুধু লাইফস্টাইলে নয়, ঘরের কোনও ভুল প্রান্তে বা বাথরুমের ভুল দিক রয়েছে কিনা তাও দেখা উচিত। বাড়ির বাস্তুদোষের কারণে একটি বাড়ি রোগের আঁতুড়ঘরে পরিণত হতে পারে। বাস্তুবিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও বাড়ির একটি কোণে কখনও প্রসারিত হয়, আবার কোনঠাসা হয়ে থাকে। বাড়ির কিছু অংশ উঁচু ও কিছু অংশ নিচু থাকে। এই কারণে, বাড়িতে ইতিবাচক ও নেতিবাচক শক্তির মধ্যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। তার জের সরাসরি প্রভাব বাড়ির সদস্যদের উপরেই পড়ে।
বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে বাথরুম তৈরি হলে, সেখানে স্যাঁতসেঁতে ভাব বজায় থাকে। যদি এমনটা আপনার বাড়িতে হয় থাকে, তাহলে ঘরের মধ্যে রোগের বাড়াবাড়ির মধ্যে নিয়তির কোনও দোষ নেই। নিজের অজান্তে গুরুতর রোগ বা অজানা অসুখ ঘরে আসার আমন্ত্রণ দেওয়া হয়েছে।
রোগের শিকার হওয়া থেকে যদি কোনও বিরতি না পড়ে তাহলে বুঝবেন পিতৃদোষের কবলে পড়েছেন। পিতৃদোষ দূর করতে শুক্রবার সন্ধ্যায় পিপল গাছে এক ঘটি জলে কিছু চিনি বা অন্য মিষ্টি মিশিয়ে পিপল গাছের গোড়ায় রাখুন। পিপল গাছে সমস্ত পিতৃপুরুষের বসবাসের কারণে পূর্বপুরুষরা অসন্তুষ্ট হলে তা দূর হয়ে যায়।
বাড়ির দেওয়াল রঙ করার সময় বি্শেষ খেয়াল রাখুন। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, কোনও বাড়ির দেওয়ালে নীল রঙ করা হলে সেই বাড়ির সদস্যদের ব্যবসা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। দেওয়ালে লাল বা অন্য কোনও রঙের পেন্ট করলে তা শুভ বলে মনে করা হয়।
বাড়ির তরুণদের অন্তত নীল বা কালো রঙের পোশাক পরা উচিত। পার্টিতে নীল-কালো রঙের পোশাক পরা যেতে পারে, তবে সাধারণ দিনে এই রঙের পোশাক পরিধান করা থেকে বিরত থাকা উচিত। সেই কারণে উন্নতি ও সাফল্যের পথে বাঁধা তৈরি হতে পারে।