
কলকাতা: দুই রাউন্ডের ক্লাসিক গেমের নিষ্পত্তি হয়নি। টাইব্রেকারে ব়্যাপিড বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নকেই ফেভারিট ধরা হচ্ছিল। কে জানত, এ বারও পাশা উল্টে দেবেন ১৯ বছরের এক মেয়ে। টুর্মামেন্টে পা রেখেছিলেন ১৮তম বাছাই থেকে। একের পর এক তারকা পতন হয়েছে তাঁর হাতে। ফাইনালেও তাই করে দেখালেন দিব্যা দেশমুখ। ভারতের এক নম্বর দাবাড়ু কনেরু হাম্পিকে হারিয়ে মেয়েদের ফিডে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নিলেন দিব্যা। ব়্যাপিড টাইব্রেকারে তাঁর এই সাফল্য চমকে দেওয়ার মতো। এতেই শেষ নয়, গ্র্যান্ড মাস্টার নর্মও পেয়ে গেলেন বিশ্বকাপ জিতে।
টাইব্রেকারে প্রথম ব়্যাপিড গেমে সাদা ঘুঁটি নিয়ে খেলা দিব্যা ব্যালান্সড ড্র করেছিলেন। দ্বিতীয় গেমে কালো ঘুঁটি নিয়েও চাপে রেখেছিলেন ৩৮ বছরের হাম্পিকে। এখানেই একাধিক ভুল করেন হাম্পি। ছোট-ছোট ভুলেই ভরাডুবি হয়েছে তাঁর। ১৯ বছরের দিব্যা চাপের মুখে মাথা এতটা ঠান্ডা কি করে রাখলেন, তা নিয়ে চর্চা চলছে। আসলে তাঁর স্ট্যাটেজিতে ছিল হাম্পিকে তাঁর জালেই জড়িয়ে ফেলা। ফাইনাল জেতার পর ভারত তো বটেই আন্তর্জাতিক দাবা দুনিয়াতেও মুহূর্তে তারকা হয়ে গিয়েছেন দিব্যা।
বিশ্বকাপে পা রেখেছিলেন আর পাঁচটা সাধারণ দাবাড়ু হিসেবে। কেউই তাঁকে খেতাব জয়ের হিসেবে রাখেননি। প্রজ্ঞানন্দ, গুকেশরা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ধারাবাহিক ভাবে সাফল্য পাচ্ছেন। ভারতের নতুন প্রজন্মের দাবাড়ুরা যে কোনও প্রতিপক্ষকে চমকে দিতে পারেন, তা প্রমাণ করে দিলেন। দিব্যা মাত্র ১৯ বছর বয়সেই ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিলেন। ম্যাচ জেতার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন দিব্যা। চোখের জল সব সময় কষ্ট দেয় না। কষ্টের অসংখ্য মুহূর্ত পেরিয়ে আসাকেও মনে করিয়ে দেয়। দিয়ে যায় এক মুঠো আনন্দ। বিশ্বকাপ জেতার পর আনন্দ, সুখ, তৃপ্তি যেন গলে গলে পড়ছিল দিব্যার।
Divya’s hug to her mom says everything ❤️#FIDEWorldCup @DivyaDeshmukh05 pic.twitter.com/jeOa6CjNc1
— International Chess Federation (@FIDE_chess) July 28, 2025