WTC Final: সমালোচনা আমাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে : রাহানে

আট বছরেরও বেশি সময় ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলে চলেছেন রাহানে। এতদিনের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁর কাছে পরিস্কার, সমালোচনা পিছু ছাড়বে না। কিন্তু সেটা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করে কোনও লাভ নেই। এগিয়ে যেতে হবে।

WTC Final: সমালোচনা আমাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে : রাহানে
WTC Final: সমালোচনা আমাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে : রাহানে
Follow Us:
| Updated on: Jun 16, 2021 | 10:44 PM

সাউদাম্পটন: ক্রিকেট যেমন সম্মান দেয়, তেমনই দেয় সমালোচনাও। রান পেলে, দলকে জেতালে যেমন মেলে বাহবা, তেমনই রান না পেলে, দল হারলে অনেকের সমালোচনার মুখোমুখিও হতে হয়। ২২ গজে বল যেমন বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে দেন ভারতের টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে (Ajinkya Rahane), তেমনই সমালোচনাকেও ছেঁটে ফেলেন জীবন থেকে। তাঁর কথায় সমালোচনার কারণেই আমি এই জায়গায় এসে পৌঁছেছি।

গত দু’বছরের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ টুর্নামেন্টে (WTC Final) বিরাটের ডেপুটির ঝুলিতে এসেছে ১০৯৫ রান। টিম ইন্ডিয়ার সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক জিঙ্কসই। দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করে বিশেষ অনুভূতি হয়। এমনটাই বলছেন রাহানে। তবে এক সময় রাহানের রান না পাওয়া নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। রাহানের কথায়, “সমালোচনা মেনে নিতে কোনও আপত্তি নেই, খুশি খুশি তা মেনে নিই আমি। আমার মনে হয়, আজ আমি যে জায়গায় দাঁড়িয়ে রয়েছি, তা সমালোচনার জন্যই। তবে, লোকে আমাকে নিয়ে সমালোচনা করুক আর না করুক আমি কিন্তু আমার সেরাটা দেওয়ার সব সময় চেষ্টা করি।”

আট বছরেরও বেশি সময় ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলে চলেছেন রাহানে। এতদিনের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁর কাছে পরিস্কার, সমালোচনা পিছু ছাড়বে না। কিন্তু সেটা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করে কোনও লাভ নেই। এগিয়ে যেতে হবে। তাঁর কথায়, “আমি সত্যি বলতে কী সমালোচনা নিয়ে অত ভাবি না। লোকেরা যদি আমাকে সমালোচনা করে, তা হলে এটা তাদের ব্যাপার এবং ওটা তাদের কাজই। আমার পক্ষে কিন্তু এই সব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আমি সব সময় নিজের কাজের প্রতি মনোযোগ দিই। কঠোর পরিশ্রম করি, তার ফল পাই।”

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নামার আগে ভারতের সহ অধিনায়ক বলছেন, “আমরা প্রত্যেকেই ফাইনাল খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। ধারাবাহিকতা দেখিয়ে WTC ফাইনালে এসেছি। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরুর প্রথম দিন থেকেই ধারবাহিকতা দেখিয়েছি আমরা। তারই ফল হিসেবে আমরা ফাইনালে উঠেছি। ইংল্যান্ডে ব্যাটসম্যানদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়। আকাশ মেঘলা থাকলে বোলাররা বাড়তি সুবিধে পায়। যে দল ব্যাটিং ভালো করে তারাই ইংল্যান্ডে জেতে। ফাইনালে আমাদের ব্যাটিং ইউনিটকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা মাঠে নামছি।”

দলকে সাহায্য করতে পারলেই জিঙ্কস বেশি খুশি হন। তাঁর কথায়, “আমি আমার স্বাভাবিক খেলাটাই খেলি এ বারও সেরকমই খেলব। আমি শতরান করলাম কিনা তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ দলকে জেতাতে পারলাম কিনা। আমি নিজের ওপর খুব বেশি চাপ দিতে চাই না। যদি আমি ৩০ বা ৪০ রান করতে পারি দলের জন্য তা হলেই আমি খুশি হই।”

নিজেও স্বাভাবিকভাবে খেলতে চান। অপরকেও তেমন চাপ দিতে চান না। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করলেও, সে সব নিয়ে ভাবতে চান না রাহানে। তাঁর মতে, সে সব এখন অতীত। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নতুন চ্যালেঞ্জ নেওয়াই এখন মূল লক্ষ্য। বিরাটব্রিগেডের হয়ে ঋষভ পন্থ ও শুভমন গিল গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে চলেছেন। দুই তরুণ তারকার সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেও, কখনোই চাপ দেন না রাহানে। তাঁর কথায়, “ব্যাক্তিগতভাবে আমি ওদের কিছু বলি না। ওরা ওদের গেম-প্ল্যান জানে। তবে এই সময়টায় ওদের স্বাধীনভাবে খেলতে দেওয়া দরকার। ওদের ওপর ভরসা রেখেছি আমরা। কোনরকম বিভ্রান্তি তৈরি করতে চাই না আমরা।”

আরও পড়ুন: WTC Final: যে ভাবে WTC ফাইনালে বিরাট-পন্থরা