
কলকাতা: ১১ বছর আগে শেষবার দেখা গিয়েছিল এমন। ২০১২ সালে জেতা অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের খেতাব পরের বছরও ধরে রেখেছিলেন ভিক্টোরিয়া আজারেঙ্কা। বেলারুসের টেনিস সুন্দরী যা করেছিলেন, তাঁরই দেশের মেয়ে করে দেখালেন আবার। এ বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে মেয়েদের টেনিসে চ্যাম্পিয়ন আরিয়ানা সাবালেঙ্কা। গত বারের মতো এ বার খেতাব থাকল তাঁরই হাতে। চিনের কিনওয়েন জেংকে হারাতে সময় লেগেছে ৭৫ মিনিট। স্ট্রেট সেটে ফাইনালে জিতে প্রমাণ করলেন, অভিজ্ঞতা, শট নির্বাচন, আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা— এ সব ছোট ছোট অনুষঙ্গ সামলে খেলতে পারেন। সাবালেঙ্কার ৬-৩, ৬-৩ জয়ের মধ্যে দিয়ে তৈরি হল নতুন এক যুগ। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বাবা সর্গেই ছিলেন আইস হকি প্লেয়ার। তাঁর মেয়ের টেনিস এসে পড়াটা ছিল কাকতালীয়। সাবালেঙ্কাই বলেছেন এক ইন্টারভিউতে, ‘বাবার সঙ্গে কোথাও একটা বেড়াতে যাচ্ছিলাম। রাস্তায় যেতে যেতে হঠাৎই একটা টেনিস কোর্ট দেখে বাবা। গাড়ি থামিয়ে সেখানেই নিয়ে যান আমাকে। সেখানে টেনিস খেলে আনন্দ পেয়েছিলাম। সেই যে শুরু করেছি, আজও চলছে।’
২০১৭ সাল পর্যন্ত টেনিস দুনিয়ায় তেমন পরিচিতিই পাননি। বেলারুসের ফেড কাপ টিম রানার্স হয়েছিল সে বার। ২০১৯ সালে মেয়েদের ডাবলসে ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন হন। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন আবার জেতেন জুটিতে। তাতেও স্বপ্নপূরণ হচ্ছিল না। ২০২৩ সাল থেকে সাবালেঙ্কাকে আর থামানো যায়নি। ওই বছরটা ছিল স্বপ্নের মতো। উইম্বলডন ও ফরাসি ওপেনের সেমিতে ওঠেন। যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে পৌঁছন। আর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন হন। এ বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লামও নিজের দখলে নিলেন ২৫ বছরের মেয়ে।
ফাইনালের প্রথম সেট থেকে ম্যাচ মুঠোয় রেখেছিলেন সাবালেঙ্কা। ২১ বছরের জেংকে মাথা তোলার সুযোগই দেননি। অ্যাটাকিং টেনিস খেলে চাপে রাখেন শেষ পর্যন্ত। রড লেভার এরিনায় চিনা সমর্থকরা ছিলেন ঠিকই, জেংকে তাতাচ্ছিলেনও। কিন্তু আগ্রাসী সাবালেঙ্কাকে থামাতে পারেননি জেং।