CWG 2022: চোট নিয়ে খেলেই সোনা প্রাপ্তি সিন্ধুর, ফাঁস করলেন তাঁর বাবা
Commonwealth Games 2022: এই প্রথম মহিলাদের সিঙ্গলসে সোনা পেলেন পুসারলা। দু'বারের অলিম্পিকজয়ী সিন্ধু কিন্তু গোড়ালির চোট নিয়েই এনইসি কোর্টে দাপট দেখালেন।
বার্মিংহ্যাম: বার্মিংহ্যাম কমনওয়েলথ গেমসের (Commonwealth Games 2022) আগে বেশ কয়েকদিন ধরে পিভি সিন্ধু (PV Sindhu) নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন না। কিন্তু শপথ নিয়েছিলেন বার্মিংহ্যামে নিজেকে উজাড় করে দেবেন। যা করে দেখালেন। বার্মিংহ্যাম সাক্ষী রইল সিন্ধুগর্জনের। কমনওয়েলথ গেমস থেকে এই নিয়ে পিভি সিন্ধু পঞ্চম পদক পেলেন। এবং দ্বিতীয় সোনাও এল তাঁর ঝুলিতে। মহিলাদের সিঙ্গলসে এর আগে ২০১৪ সালে কমনওয়েলথে সালে ব্রোঞ্জ ও ২০১৮ সালে রুপো ছিল। সেখানে এ বার জুড়ল সোনাও। এই প্রথম মহিলাদের সিঙ্গলসে সোনা পেলেন পুসারলা। দু’বারের অলিম্পিকজয়ী সিন্ধু কিন্তু গোড়ালির চোট নিয়েই এনইসি কোর্টে দাপট দেখালেন। কানাডার মিশেল লি-কে স্ট্রেট গেমে উড়িয়ে দিয়ে সোনা এনে দিয়েছেন দেশকে।
মেয়ের সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই গর্বিত তাঁর বাবা পিভি রমনা। সিন্ধুর সোনা জয়ের পর তিনি বলেন, “আমি ভীষণ খুশি। ও এর আগে সিঙ্গলসে একটা ব্রোঞ্জ, একটা রুপো জিতেছিল। এ বার ও পদকের রং বদলাতে পেরেছে। আমার বাড়িতে এ বার তিনটে রংয়েরই পদকই থাকবে। আমি সত্যিই ওর জন্য ভীষণ গর্বিত। তবে আমি ওর গোড়ালির চোট নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। গতকাল এবং তার আগের দিনও ও গোড়ালির চোটে ভুগছিল। তবে আমি স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের ফিজিও থাকার পরও, ওখানে ওর জন্য আলাদা করে ফিজিওর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তাঁরা ওর ভালো খেয়াল রেখেছে। ফিটনেস ট্রেনারও ওকে সাহায্য করেছে। ও যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তার জন্য আমরা তো খুশি এবং পুরো দেশও ওর জন্য গর্বিত।”
অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন সিন্ধু। তবে তিনি যে চোট নিয়ে ফাইনালে খেলেছিলেন, তার জন্য চিন্তিত ছিলেন তাঁর বাবা। তিনি বলেন, “আমি ভেবেছিলাম কিছুটা কঠিন ম্যাচ হবে। বাবা হিসেবে, একজন প্লেয়ার হিসেবে আমি চিন্তিতও ছিলাম। তবে সত্যি ও দেশের প্রত্যাশার মান রেখেছে। দেশের পতাকা সবার উচুতে যখন ওড়ে, জাতীয় সংগীত বাজে তার সঙ্গে সেটাই যে কোনও অ্যাথলিট, যে কোনও ভারতবাসীর কাছে গর্বের। ওই একটা মুহূর্তেই ও দেশকে গর্বিত করেছে।”
সিন্ধুর বিরুদ্ধে এর আগের ৬ বারের সাক্ষাতেও মিশেল হেরেছিলেন। এ বারও তার অন্যথা হল না। কমনওয়েলথে মহিলাদের সিঙ্গলসে সোনা জেতার পর সিন্ধু বলেন, “আমি এই সোনার জন্য অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম এবং অবশেষে আমি এটা পেয়েছি। আমি ভীষণ খুশি। দর্শকদের ধন্যবাদ জানাই। তারা আমাকে জিততে উদ্বুদ্ধ করেছে। কমনওয়েলথ গেমস ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এটা চারবছর পর পর একবার করে হয়। আর এটা তাই আমাদের কাছে বিশেষ। কারণ, আমরা দেশের হয়ে এখানে প্রতিনিধিত্ব করি। এবং দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার একটা আলাদাই অনুভূতি। আর যখন দেখতে পাই আমাদের তেরঙ্গা সব থেকে উঁচুতে উড়ছে এবং আমাদের জাতীয় সংগীত বাজছে সেটাই হয় সেরা মুহূর্ত। যা আমি বলে বোঝাতে পারব না।”