Abu Dhabi T10 League: ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত ৮, রয়েছেন ৩ ভারতীয়ও

Abu Dhabi T10 Fixing: আইসিসি ম্যাচ ফিক্সিং জাতীয় বিষয়ে বরাবর কড়া মনোভাবই তুলে ধরেছে। এ ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যাটিং কোচ আজহার জাইদি, আমিরশাহির ঘরোয়া ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামান ও টিম ম্যানেজার শাদাব আহমেদকে সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিন ভারতীয় সহ বাকি অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। দুর্নীতিদমন শাখার অফিসাররা তদন্তের পর কী সিদ্ধান্ত জানান, সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সবাই।

Abu Dhabi T10 League: ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত ৮, রয়েছেন ৩ ভারতীয়ও
Image Credit source: X
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 19, 2023 | 10:21 PM

নয়াদিল্লি: আবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের কালোছায়া ক্রিকেটে। এ বার কলঙ্কিত হল আবু ধাবির টি-টেন ক্রিকেট লিগ (Abu Dhabi T10 League)। ৮ ক্রিকেটার ও কর্তার বিরুদ্ধে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। যার মধ্যে রয়েছেন তিন ভারতীয়ও। বেশ কয়েক বছর আগে আইপিএলে উঠেছিল ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ। রীতিমতো ভারতীয় ক্রিকেটের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিল সেই ঘটনা। ওই ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিলেন একাধিক কর্তা ও ক্রিকেটার। এই ঘটনার জেরও সে দিকে যায় কিনা, তাই দেখার। তবে টি-টেন লিগ ঘিরে এমন ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ কিন্তু আইসিসিও (ICC) স্বীকার করে নিয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। TV9Bangla Sportsএ বিস্তারিত।

ম্যাচ ফিক্সিং কাণ্ডে বাংলাদেশি প্লেয়ার নাসির হোসেনের নাম সামনে এসেছে। দুই ভারতীয় কর্তা কৃষ্ণণ কুমার চৌধুরি ও পরাগ সাংভিও জড়িয়েছেন এই ঘটনায়। তৃতীয় ভারতীয় হিসেবে রয়েছে ব্যাটিং কোচ সানি ধিলোঁ। এক বিবৃতিতে আইসিসি বলেছে, ‘২০২১ সালের টি-টেন লিগের কিছু ম্যাচ ফিক্সিং করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে তা কার্যকর হয়নি। ইসিবির দুর্নীতিদমন শাখার অফিসারদের নিয়োগ করেছে আইসিসি। তাঁরা খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত জানাবেন।’

পরাগ, কৃষ্ণণ ও সানির বিরুদ্ধে অভিযোগ বেশ জোরালো। ম্যাচের ফলাফল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছেন। তদন্তে অসহযোগিতা করেছেন। সত্য গোপন করেছেন। সব মিলিয়ে এই তিন জন বেশ চাপে পড়ে গিয়েছেন। বাংলাদেশের প্লেয়ার নাসিরের বিরুদ্ধে আবার দামি উপহার নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তদন্তকারী অফিসারদের কাছে তা গোপন করার চেষ্টাও করেছিলেন। বাংলাদেশ জাতীয় টিমের হয়ে ১৯টা টেস্ট খেলেছেন নাসির। সেই সঙ্গে ৬৫টা ওয়ান ডেও খেলেছেন।

আইসিসি ম্যাচ ফিক্সিং জাতীয় বিষয়ে বরাবর কড়া মনোভাবই তুলে ধরেছে। এ ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যাটিং কোচ আজহার জাইদি, আমিরশাহির ঘরোয়া ক্রিকেটার রিজওয়ান জাভেদ, সালিয়া সামান ও টিম ম্যানেজার শাদাব আহমেদকে সঙ্গে সঙ্গে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিন ভারতীয় সহ বাকি অভিযুক্তদের ১৪ দিনের জন্য নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। দুর্নীতিদমন শাখার অফিসাররা তদন্তের পর কী সিদ্ধান্ত জানান, সে দিকে তাকিয়ে রয়েছেন সবাই।