
কলকাতা: তিন আফগান ক্রিকেটারকে নিয়ে সমস্যায় আইপিএলের তিন ফ্র্যাঞ্চাইজি। এর মধ্যে দু-জনকে রিটেন করেছিল তাদের দল। একজনকে এ বারই মিনি অকশনে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তিন আফগান প্লেয়ার হলেন নবীন উল হক, মুজিব উর রহমান এবং ফজলহক ফারুকি। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে সমস্যা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশের নয় বরং ব্যক্তিগত স্বার্থে খেলছে। সেকারণে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। যার জেরে মাথায় হাত কলকাতা নাইট রাইডার্স সহ আইপিএলের তিন ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আগামী আইপিএলের জন্য আফগান পেসার নবীন উল হককে রিটেন করেছে তাঁর দল লখনউ সুপার জায়ান্টস। গত আইপিএলে পারফরম্যান্সের চেয়েও বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল বেশি। এ বার ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ভালো পারফর্ম করেছেন নবীন। তেমনই বিরাট কোহলির সঙ্গে বিবাদও মিটিয়ে নিয়েছেন। বিশ্বকাপের আগেই নবীন উল হক ঘোষণা করেছিলেন, টুর্নামেন্ট শেষে ওয়ান ডে ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন। ভালো পারফর্ম করলেও সিদ্ধান্ত বদলাননি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকেই গুরুত্ব দিতে শুরু করেন নবীন। বিভিন্ন দেশের ফ্র্য়াঞ্চাইজি লিগে খেলেন। কিছু দিন আগেই আইএল টি-টোয়েন্টি চুক্তি জনিত কারণে নবীন উল হককে নির্বাসিত করেছে। এ বার তৈরি হল আগামী আইপিএলে খেলা নিয়েও ব্যাপক অনিশ্চয়তা।
আফগানিস্তানের বাঁ হাতি পেসার ফজলহক ফারুকিকে রিটেন করেছে তাঁর দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। অন্যদিকে, এ বারের মিনি অকশনে শেষ দিকে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমানকে দলে দেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। তার অন্যতম কারণ, হোম অ্যাডভান্টেজ। ইডেন গার্ডেন্সে এ বারের বিশ্বকাপের ম্যাচগুলিতে স্পিনসহায়ক পিচই দেখা গিয়েছে। আইপিএলেও সেই সম্ভাবনা। পরিকল্পনা যাই হোক, আদৌ মুজিবকে আইপিএলে পাওয়া যাবে কিনা, এই নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা।
আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী দু-বছরের জন্য বিশ্বের কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই খেলার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না এই তিন ক্রিকেটারকে। আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ওদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সই করার কথা বলেছিল। যদিও ব্যক্তিগত স্বার্থে এই তিন প্লেয়ার বোর্ডের চুক্তিতে সই করেনি। দেশের চেয়ে অর্থ উপার্জনেই ওদের ঝোঁক বেশি। আগামী বছরও এই তিন প্লেয়ারকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা দেওয়া হবে না। দু-বছরের জন্য কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলারও ছাড়পত্র দেওয়া হবে না।
পরিস্থিতি যদি না বদলায়, আইপিএলের পরবর্তী দুটি সংস্করণেই এই প্লেয়ারদের পাওয়া যাবে না। প্লেয়ারদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্কে বরফ গলে কিনা, সেটাই এখন দেখার। না হলে এদিক-ওদিক, সবদিক থেকেই সমস্যায় পড়বেন এই তিন ক্রিকেটার, তেমনই তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজিকেও নতুন ভাবে পরিকল্পনা সাজাতে হবে।