
কলকাতা: নিলামের আগেই চরম নাটক। সেটা যদিও কলকাতা নাইট রাইডার্সে নয়। তবে এমন চিত্র তো কেকেআরেও দেখা যেতে পারে! আগামী আইপিএলের জন্য কোন দল কাদের রেখেছে বা ছেড়ে দিয়েছে সেই তালিকা প্রকাশ হয়েছে। গত কালের মধ্যেই তা জমা দেওয়ার সময়সীমা ছিল। রবিবার বিকেল ৫টা নাগাদই চিত্রটা প্রায় পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে তালিকায় বেরনোর পরও চমক। বিকেলেও যিনি ছিলেন গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক, রাতে সেই হার্দিক পান্ডিয়াকেই ট্রেডিংয়ে নিয়ে নিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। নিলামের আগে ট্রেডিংয়ের রাস্তা খোলা রয়েছে। কলকাতাও কি এমন কিছু করবে? তবে নিলামে যে ফাঁক গুলি ঢাকতে চাইবে কলকাতা নাইট রাইডার্স, সেটাই খোঁজার চেষ্টা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
কেকেআর যাঁদের রিটেন করেছে, সেই তালিকাটা এক বার দেখে নেওয়া যাক- নীতীশ রানা, রিঙ্কু সিং, রহমানুল্লা গুরবাজ, শ্রেয়স আইয়ার, জেসন রয়, সুনীল নারিন, সূয়াশ শর্মা, অনুকূল রায়, আন্দ্রে রাসেল, ভেঙ্কটেশ আইয়ার, হর্ষিত রানা, বৈভব অরোরা, বরুণ চক্রবর্তী। এ বার সেই অনুযায়ী একটা একাদশ গড়া যাক। ওপেনিংয়ে রহমানুল্লা গুরবাজ ও জেসন রয়। তবে ডান বাঁ হাতি কম্বিনেশনের জন্য, ভেঙ্কটেশ আইয়ারকেও ওপেন করানো যেতে পারে। আবার অতীতে ওপেন করা সুনীল নারিনের কথাও বাদ দেওয়া যায় না। তিন ও চারে শ্রেয়স আইয়ার, নীতীশ রানা। পাঁচে রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেল।
ব্যাটিং নিয়ে সেই অর্থে বোধ হয় চিন্তার জায়গা নেই। এ বার আসা যাক, অলরাউন্ডার পজিশনে। স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে রয়েছেন সুনীল নারিন। অনূকুল রায়কে অলরাউন্ডার বলা হলেও গত মরসুমে কোনও ম্যাচেই তাঁকে সেই অনুযায়ী পারফর্ম করতে দেখা যায়নি। বরং, তাঁকে বোলিংয়ের জন্য একাদশে রাখা হত না ব্যাটিংয়ের, সেটাই যেন পরিষ্কার ছিল না। আন্দ্রে রাসেলকে দিয়ে প্রতি ম্যাচে চার ওভারের কোটা পূরণ করা যাবে, নিশ্চয়তা নেই। তেমনই দ্রুত কয়েক উইকেট হারালে এবং রাসেলকে যদি ৫ ওভারের বেশি ব্যাটিং করতে হয়, সেটাও সমস্য়া হয়ে দাঁড়াতে পারে। রাসেলের ফর্ম বোঝা দায়। ছন্দে থাকলে যে কোনও ম্য়াচের রং বদলে দিতে পারেন, আবার কয়েক বল খেলে আউট হলেও অবাক হওয়ার নেই।
কেকেআরের সবচেয়ে বড় গ্যাপ দক্ষ পেস বোলিংয়ে। দুই বিদেশি পেসার টিম সাউদি ও লকি ফার্গুসনকে রিলিজ করা হয়েছে। ভারতীয় পেসারদের মধ্যে রয়েছেন হর্ষিত রানা ও বৈভব অরোরা। এই দু-জনের মধ্যে হর্ষিতের ওপর কিছুটা ভরসা করা যায়। গত মরসুমেই আইপিএল অভিষেক হয়েছে। সীমিত সুযোগে নজর কেড়েছেন হর্ষিত। তেমনই ভারত এ দলের হয়ে এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলেছেন। তাঁর ব্যাটিংয়ের হাতও মন্দ নয়। কিন্তু অভিজ্ঞতা খুবই কম। ট্রেডিং হোক বা নিলাম, কেকেআরের মূল ভাবনা থাকবে পেসার নেওয়ার দিকেই।
আরও একটা পজিশন নিয়েও ভাবতে হবে। কিপার। যে প্লেয়ারদের রাখা হয়েছে তাদের মধ্যে স্পেশালিস্ট কিপার রহমানুল্লা গুরবাজ। কোনও ম্যাচে যদি বিদেশি কোটার জন্য গুরবাজকে বসাতে হয়, কিপিংয়ে ব্যাক আপ নেই।