
ব্রিসবেনে দিন-রাতের টেস্ট রুদ্ধশ্বাস। নড়বড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের চ্যালেঞ্জ করবে! প্রত্যাশিত না হলেও এমনটাই হল। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চাপে রাখতে মেন্টাল গেম অস্ট্রেলিয়ার। প্রশ্ন হচ্ছে, এই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে যাবে না তো! প্যাট কামিন্সের ইনিংসের প্রশংসা হলেও সংশয় রাখছে তাঁর সিদ্ধান্ত। ম্যাচের সবে দ্বিতীয় দিন শেষ হয়েছে। ব্রিসবেনে যেন নানা রোমাঞ্চ অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার নড়বড়ে ব্যাটিংয়ের পর। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টপ অর্ডার ব্যর্থ হলেও পরস্থিতি সামলে দিয়েছিল মিডল ও লোয়ার অর্ডার। গোলাপি বলে দিন রাতের টেস্টে প্রতিটা ডেলিভারিই স্পেশাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই কাউকে এগিয়ে বা পিছিয়ে রাখা যায় না। ব্রিসবেন টেস্টেও তাই। কাভেম হজ, জোসুয়া ডি সিলভা, কেভিন সিনক্লেয়ারের হাফসেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ৩১১ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টপ অর্ডার রান পেলে এই স্কোর বাড়তেই পারত। বোলাররাও সঙ্গ দিলেন।
ডেভিড ওয়ার্নারের অবসরের পর অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ড চমকে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেট হোক বা টেস্ট ক্রিকেট, দীর্ঘ ফরম্যাটে কখনও ইনিংস ওপেন করেননি স্টিভ স্মিথ। ১০৬টি টেস্ট খেলার পর ওপেনিংয়ের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন স্টিভ স্মিথ। ওয়ার্নারের জায়গায় এখন স্মিথই টেস্ট ওপেনার। নতুন পজিশনে এখনও অবধি ভরসা দিতে ব্যর্থ স্মিথ। গোলাপি টেস্টে তাঁর অবদান ৬ রান। এখানেই শেষ নয়। আলজারি জোসেফ, কেমার রোচের বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটা দুর্দান্ত হয়। মাত্র ৫৪ রানে ৫ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
উল্টোদিক থেকে উইকেট পড়লেও একদিক আগলে রাখেন উসমান খোয়াজা। অ্যালেক্স ক্যারির সঙ্গে ৯৬ এবং ক্যাপ্টেন প্যাট কামিন্সের সঙ্গে ৮১ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়েন খোয়াজা। অষ্টম উইকেট হিসেবে তিনি আউট হলে দায়িত্ব নেন কামিন্স। নাথান লিয়ঁর সঙ্গে ৪৭ রানের জুটি। ২৮৯-৯ স্কোরে নাথান লিয়ঁ আউট হতেই ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন প্যাট কামিন্স। ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। এই সিদ্ধান্তই অবাক করে।
দিনের শেষে একটা উইকেট প্রাপ্তি তাঁর সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতেই পারে। দ্বিতীয় দিনের শেষে ১ উইকেটে ১৩ রান তুলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সব মিলিয়ে ৩৫ রানের লিড। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটাররা যদি ৩০০ অবধি স্কোর নিয়ে যেতে পারেন, চাপ বাড়বে অজি শিবিরেই।