ক্রিকেট মাঠও যে দর্শনীয় স্থান হতে পারে, তার অন্যতম উদাহরণ ধরমশালা স্টেডিয়াম। হিমাচলে কেউ ঘুরতে গেলেও একবার স্টেডিয়াম দর্শন করে আসেন। ক্রিকেটারদের কাছে এই মাঠের গুরুত্বটা তাহলে কেমন হতে পারে, সহজেই অনুমেয়। কিন্তু এখানকার পিচ-পরিস্থিতি যেন বুঝে ওঠা কঠিন। ধরমশালা স্টেডিয়ামের পিচ এবং এখানকার পরিবেশ সাধারণত পেসারদের সহায়তা করে থাকে। এই পরিস্থিতিতে নজর কাড়ল বাংলাদেশের স্পিন জুটি। বাঁ হাতি স্পিনার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং অফস্পিনার মেহদি হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় জনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স, জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল বাংলাদেশ। তামিম অধ্যায় থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা ধাপ পেরিয়ে গেলেন সাকিবরা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
আফগানিস্তানের পাওয়ার হিটিং বিশ্ব ক্রিকেটে অন্যতম চর্চার বিষয়। বিশ্বের নানা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আফগান ক্রিকেটারদের দেখা যায়। তেমনই বোলিংয়েও রশিদ খানের পাশাপাশি উঠে এসেছেন অনেকেই। জাতীয় দলের হয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভালো পারফর্মও করে। কিন্তু আফগান টিমের ক্ষেত্রে একটা বিষয় প্রচলিত রয়েছে, ওরা বড় মঞ্চে সাফল্য পায় না। সদ্য এশিয়া কাপই তার অন্য়তম উদাহরণ। এ বারের বিশ্বকাপে বাড়তি নজর আফগান টিমের ওপর। শুরুতেই অবশ্য ধাক্কা। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার হিটিং শুরুও করেছিল আফগানিস্তান। যা দীর্ঘস্থায়ী হল না। রহমানুল্লা গুরবাজ বিধ্বংসী শুরু করলেও ফিরলেন ৪৭ রানে। তিনি ফিরতেই যাবতীয় দাপট শেষ।
বাংলাদেশের বাঁ হাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান ও মেহদি হাসান মিরাজ তিনটি করে উইকেট নেন। অভিজ্ঞ বাঁ হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান মাত্র এক উইকেট নিলেও অনবদ্য বোলিং করেন। মাত্র ১৫৬ রানেই আফগান ইনিংসের ইতি। রান তাড়ায় শুরুতেই ‘জুনিয়র’ তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লিটন দাসও নজর কাড়তে ব্যর্থ। দুই ওপেনার ফিরতে দায়িত্ব নেন মেহদি হাসান মিরাজ ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দু-জনেই হাফসেঞ্চুরি করেন। মাত্র ৪ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছয় বাংলাদেশ।