Shakib Al Hasan: রাজনীতির মাঠে নেমে প্রথম দিনই ‘হলুদ কার্ড’ দেখলেন সাকিব
Bangladesh General Election: জনদুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাকিব। বুধবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় অনেকেই অতি-উৎসাহী হয়ে কিছু করে ফেলেন। তবে আমি সবাইকে অনুরোধ করব, সবাই যেন সংযত থাকেন। পোস্টার লাগানো, লিফলেট লাগানো, মাইক বাজানো-সবকিছুই যেন করা হয়, তবে এটা মাথায় রাখতে হবে, মানুষের যেন কষ্ট না হয়। সবাইকে আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন সাকিব।
রাজনীতির ময়দানে নেমেছেন সদ্য। আর শুরুতেই হলুদ কার্ড খেলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তথা জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে শোকজ করা হয়েছে। আগামী কাল শুক্রবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মাগুরা-১ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে সশরীর উপস্থিত হয়ে শোকজের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার পর গতকাল বুধবার প্রথম নির্বাচনী এলাকায় যান সাকিব আল হাসান। মাগুরায় পৌঁছে তিনি একাধিকবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার মাগুরা-১ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রধান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ সত্যব্রত শিকদারের চিঠিতে বলা হয়েছে, সাকিব আল হাসান ফরিদপুরের কামারখালী এলাকা থেকে কনভয় নিয়ে মাগুরা শহরে ঢোকেন। তিনি নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এতে যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে ব্যাপারে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ বিশাল কনভয় নিয়ে ঢাকা থেকে সড়কপথে মাগুরায় যান সাকিব। তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে সকাল থেকে মাগুরা ও ফরিদপুরের সীমান্ত গড়াই সেতু এলাকায় উপস্থিত ছিলেন হাজারও নেতাকর্মী ও সমর্থক। কামারখালীর গড়াই সেতু থেকে মাগুরা শহরে ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সাকিবের প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এ সময় সেতু এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়।
সংসদ নির্বাচনের আচরণ বিধিমালা অনুসারে, কোনও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তাদের মনোনীত প্রার্থী বা তাদের পক্ষে অন্য কোনও ব্যক্তি কোনও ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল বা অন্য কোনও যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল বের করতে পারবেন না। মহড়াও করা যাবে না।
এদিকে, জনদুর্ভোগের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন সাকিব। বুধবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে তিনি বলেন, অনেক সময় অনেকেই অতি-উৎসাহী হয়ে কিছু করে ফেলেন। তবে আমি সবাইকে অনুরোধ করব, সবাই যেন সংযত থাকেন। পোস্টার লাগানো, লিফলেট লাগানো, মাইক বাজানো-সবকিছুই যেন করা হয়, তবে এটা মাথায় রাখতে হবে, মানুষের যেন কষ্ট না হয়। এ সময় সাকিব সবাইকে আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ করেন। সাকিব বলেন, এটা আমাদের দল, যদি আচরণবিধি মেনে না চলি, আমাদেরই সমস্যা হবে।