যুব প্রতিভা বাঁচাতে নতুন সিস্টেম চালু করতে চলেছে বোর্ড

এ বারের বিশ্বকাপজয়ী টিমের কেউ কেউ প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও হয়তো হারিয়ে যেতে পারেন। তা যাতে না হয়, তার জন্য অনূর্ধ্ব পরবর্তী প্লেয়ারদের জন্য নতুন সিস্টেম চালু করতে চলেছে বোর্ড। সফলদের পাশাপাশি এই সব ক্রিকেটারদের দিকেও সমান নজর রাখা হবে। যাতে ভবিষ্যতের দিকে তাঁদের এগিয়ে দেওয়া যায়।

যুব প্রতিভা বাঁচাতে নতুন সিস্টেম চালু করতে চলেছে বোর্ড
যুব প্রতিভা বাঁচাতে নতুন সিস্টেম চালু করতে চলেছে বোর্ড
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 08, 2022 | 9:00 AM

নয়াদিল্লি: কামাল পাসি কয়েক বছর আগে পঞ্জাবের হয়ে খেলেছিল। রবিকান্ত সিং এখন ক্রিকেট থেকে অনেক দূরে। অনূর্ধ্ব ১৯ (U19) ক্রিকেটে এমন কামাল, রবিকান্তের উদাহরণ আকছাড়। যাঁরা যুব বিশ্বকাপে কিংবা ভারতীয় টিমের হয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেও হারিয়ে গিয়েছেন একসময়। এই সব প্রতিভার প্রতি কি আরও যত্নশীল হওয়া উচিত ছিল না? এই প্রশ্নের মুখে এতদিন দাঁড়িয়ে থাকা বিসিসিআই (BCCI) এ বার উদ্যোগী হচ্ছে। যুব টিম থেকে সিনিয়র টিমে পা দেওয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে খুব বেশি ভাবনার জায়গা নেই। হালফিলের যশ ধূল, রবি কুমার, রাজ বাওয়ারা নিশ্চিত ভাবেই পরবর্তী পর্যায়ে পা দেবেন। সফলও হবেন। কিন্তু এ বারের বিশ্বকাপজয়ী টিমের কেউ কেউ প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও হয়তো হারিয়ে যেতে পারেন। তা যাতে না হয়, তার জন্য অনূর্ধ্ব পরবর্তী প্লেয়ারদের জন্য নতুন সিস্টেম চালু করতে চলেছে বোর্ড। সফলদের পাশাপাশি এই সব ক্রিকেটারদের দিকেও সমান নজর রাখা হবে। যাতে ভবিষ্যতের দিকে তাঁদের এগিয়ে দেওয়া যায়।

যুব টিম থেকে রঞ্জি দলে প্রতিভাবানদের জায়গা করে দেওয়ার জন্য বোর্ড যত্নশীল হবে। এক কর্তা বলছেনও, ‘জুনিয়র থেকে সিনিয়র টিমে পৌঁছনোর জন্য একটা নির্দিষ্ট সিস্টেম ফলো করা হয়। অনূর্ধ্ব ১৬ থেকে অনূর্ধ্ব ১৯। সেখান থেকে ইমার্জিং টিম, যা অনূর্ধ্ব ২৫ ভারতীয় টিম। তারপর হল এ টিম। এর সঙ্গে এ বার ‘নিইন্টিন প্লাস’ একটা প্ল্যান চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। এই সিস্টেমে ১৯ পার করা ক্রিকেটারদের রাখা হবে।’

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের আমলে জাতীয় অ্য়াকাডেমিকে ঢেলে সাজানোর পিছনে এটা একটা বড় কারণ। বেঙ্গালুরুতে এনসিএ-তে চারটে বড় মাঠ তৈরি করা হয়েছে। যাতে জাতীয় অ্যাকাডেমির অনূর্ধ্ব ১৯ টিম নিয়মিত খেলতে পারে। এ বার থেকে যাঁরা যুব টিম থেকে রঞ্জি টিমে সুযোগ পাবেন না, তাঁদেরও যাতে কোচেরা নজরে রাখতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হবে। আর তাই ‘নাইন্টিন প্লাস’এর জন্য নীলনকশা বানাতে চাইছে বোর্ড। যাতে সাপ্লাই লাইনকে আরও জোরদার করা যায়।

বোর্ডের ওই সিনিয়র কর্তা বলছেন, ‘অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হলে আমরা দারুণ উচ্ছ্বসিত হই। কিন্তু এর পিছনে বিসিসিআইয়ের দুরন্ত ক্রিকেট কাঠামোটা কেউ বোঝার চেষ্টা করে না। ২০১২ সালের কথা যদি বলা হয়, হনুমা বিহারী ছাড়া ওই টিমের বাকিরা কোথায় গেল, কেউ জানে না। তবে এই সিস্টেমটা চালু করা গেলে কিন্তু প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট আরও ভালো হয়ে যাবে।’

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা