Ranji Trophy Final: স্কোরবোর্ডে ‘মাইনাস’ ৬১, হাতে ৬ উইকেট, হাল ছাড়তে নারাজ বঙ্গশিবির
Bengal vs Saurashtra: রঞ্জি ফাইনাল থেকে অনেকটাই দূরে বাংলা শিবির। লড়াইয়ে আছে ঠিকই, তবে আশায় নেই। যদিও বাংলা শিবির এখনও আশা ছাড়ছে না।

কলকাতা: মাইনাস ৬১, হাতে ৬ উইকেট। রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলার স্কোর এটাই। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সৌরাষ্ট্রের চেয়ে এখনও ৬১ রানে পিছিয়ে বাংলা দল। প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন ওপেনার সুমন্ত গুপ্ত, অভিমন্যু ঈশ্বরন, সুদীপ ঘরামি আর অনুষ্টুপ মজুমদার। এই মরসুমে যে ক্রিকেটারের ব্যাট সবচেয়ে বেশি ভরসা জুগিয়েছে বাংলা শিবিরকে, সেই অনুষ্টুপই ফিরে গিয়েছেন প্যাভিলিয়নে। উনাদকাট, সাকারিয়াদের পেস অ্যাটাকের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে বুক চিতিয়ে লড়ছিলেন। অনেকটা প্রতিরোধ গড়ে তুলছিলেনও। উনাদকাটের একটা বল ড্রাইভ করতে গিয়ে গালিতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ব্যক্তিগত ৬১ রানে আউট হন অনুষ্টুপ। এরপর দুহাত তুলে ইডেনের বাইশ গজে সেলিব্রেশন করেন সৌরাষ্ট্র অধিনায়ক জয়দেব উনাদকাট। বাংলার অর্ধেক ম্যাচ ওখানেই শেষ হয়ে যায়। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারির সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছিলেন অনুষ্টুপ। তবে শেষরক্ষা করতে পারলেন না। ৩৮ বছরের অভিজ্ঞ ব্যাটার এখনও বাংলা দলের শেষ আশা ভরসা। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla–র এই প্রতিবেদনে।
রঞ্জি ফাইনাল থেকে অনেকটাই দূরে বাংলা শিবির। লড়াইয়ে আছে ঠিকই, তবে আশায় নেই। যদিও বাংলা শিবির এখনও আশা ছাড়ছে না। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বলে গেলেন, ‘একটা জিনিস ছোট থেকে দেখে বড় হয়েছি। যতক্ষণ না খেলা শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত খেলায় কিছু বলা যায় না। যতক্ষণ না কেউ জেতে বা যতক্ষণ না কেউ হারে ততক্ষণ খেলায় কোনও ফয়সালা হয় না। আমরা লড়াই চালাচ্ছি। ওরাও লড়াই চালাচ্ছে। দুটো দলই খেলার মধ্যে আছে। রঞ্জি ট্রফি ফাইনাল ৫ দিনের খেলা। গতকালও বলেছিলাম, সবে মাত্র ২টো দিন শেষ হয়েছে। আজও বলছি এখনও ২টো দিন বাকি। সকালে বোলাররা ভালো লড়াই করেছে। ব্যাটিংয়ে মনোজ আর অনুষ্টুপ দুর্দান্ত লড়াই চালায়। মনোজ এখনও ক্রিজে আছে। চতুর্থ দিনের সকালটা অবশ্যই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
ম্যাচে অনেক খারাপ ফিল্ডিং হয়েছে বাংলার। এমনকি শট নির্বাচনেও দক্ষতা দেখাতে পারেননি সুমন্ত গুপ্ত, অভিমন্যু ঈশ্বরনরা। যদিও সে ব্যাপারে মুখ খুলতে চাইলেন না লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বলে গেলেন, ‘গাড়ির চাকা খারাপ হয়ে গেলে অজান্তেই তা খারাপ হয়ে যায়। এটা খেলারই অঙ্গ। সব কিছুকে পজিটিভ ভাবেই নেওয়া উচিত।’ তৃতীয় দিনের বিকেলে মনোজ-শাহবাজ জুটি ক্রিজ ছাড়ার সময় কিছুটা হলেও গ্যালারিতে থাকা সমর্থকদের চোখে মুখে আত্মবিশ্বাস দেখা গেল। চতুর্থ দিনের লাঞ্চ পর্যন্ত মনোজ-শাহবাজ জুটি টিকে গেলে, ম্যাচের মোড় ঘুরতেই পারে!
