ENG vs NZ, ODI: বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে বড় ধাক্কা ইংল্যান্ডের, ফাইনালের পুনর্মিলনে কিউয়িদের বদলা!
Cricket World Cup: বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি হ্যারি ব্রুকের। ইংল্যান্ডের এই তরুণ ওপেনারের কাছে এই সিরিজই শেষ সুযোগ। ভালো পারফর্ম করতে পারলে শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপে সুযোগ মিলতেও পারে। এই ম্যাচে ৪১ বলে ২৫ রান, বিশ্বকাপের দরজা খোলার জন্য যথেষ্ট নয়। অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটার জো রুট ১৫ বলে করলেন মাত্র ৬ রান। প্রত্যাবর্তন ম্যাচে বেন স্টোকসের অবদান ৬৯ বলে ৫২ রান।
কার্ডিফ: ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চার ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজ। ইংল্যান্ড শিবিরে নজর ছিল বেশ কিছু বিষয়ে। ২০১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল এই দু-দল। চার বছরে এই প্রথম ওয়ান ডে ফরম্যাটে ফের মুখোমুখি হল তারা। সহজেই জয় নিউজিল্যান্ডের। ফাইনালের বদলা হয়তো বলা যায় না। তবে বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে বড় রকমের ধাক্কা খেল ইংল্যান্ড শিবির। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
অ্যাসেজ সিরিজের জন্য টেস্ট ক্রিকেটে অবসর ভেঙে ফিরেছিলেন মইন আলি। ঠিক একই ভাবে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের জন্য এই ফরম্যাটে অবসর ভেঙে ফিরেছেন বেন স্টোকস। চোটের জন্য এই ম্যাচে পাওয়া যায়নি জনি বেয়ারস্টোকে। এক বছরের বেশি সময় পর এই ফরম্য়াটে ফিরলেন জো রুট। প্রত্যাবর্তন ম্যাচ সুখকর হল না।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম ল্যাথাম। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি হ্যারি ব্রুকের। ইংল্যান্ডের এই তরুণ ওপেনারের কাছে এই সিরিজই শেষ সুযোগ। ভালো পারফর্ম করতে পারলে শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপে সুযোগ মিলতেও পারে। এই ম্যাচে ৪১ বলে ২৫ রান, বিশ্বকাপের দরজা খোলার জন্য যথেষ্ট নয়। অভিজ্ঞ মিডল অর্ডার ব্যাটার জো রুট ১৫ বলে করলেন মাত্র ৬ রান। প্রত্যাবর্তন ম্যাচে বেন স্টোকসের অবদান ৬৯ বলে ৫২ রান। অধিনায়ক জস বাটলার ৭২ এবং লিয়াম লিভিংস্টোন ৫২ রান করেন। দু-জনেরই স্ট্রাইকরেট স্বস্তির। ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯১ রান করে ইংল্যান্ড। বাঁ হাতি স্পিনার রচিন রবীন্দ্র ৩ উইকেট নেন।
রান তাড়ায় অনবদ্য নিউজিল্যান্ড। উইল ইয়ংকে জমি ধরিয়ে বোল্ড করেন আদিল রশিদ। তিনে নামা হেনরি নিকোলস করেন ২৬ রান। তবে ওপেনার ডেভন কনওয়ের সঙ্গে বিধ্বংসী জুটি গড়েন অলরাউন্ডার ড্যারেল মিচেল। তৃতীয় উইকেটে ১৫২ বলে ১৮০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে তাঁরা। কনওয়ে ১১১ এবং মিচেল ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ৪৫.৪ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই জয় নিউজিল্যান্ডের। সাত বোলার ব্যবহার করেও ম্যাচ ক্লোজ করতে ব্যর্থ ইংল্যান্ড। চার ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল কিউয়িরা।