Virat Kohli : বিরাট ফিটনেসের নেপথ্যে জকোভিচের ট্রেনিং!

Virat Kohli Kohli Fitness: ২০১৫-২০১৯ সাল ভারতীয় দলে দায়িত্বে ছিলেন শঙ্কর বাসু। বিরাটও বলেছিলেন, একজন ক্রিকেটার নয়, অ্যাথলিটের মতোই তাঁকে দেখতে। কোহলিকে পাল্টা বলেছিলেন, তাহলে নোভাক জকোভিচের মতো ট্রেনিং করতে হবে। শঙ্কর বাসুর কথায়, 'এই কথাটা বলতে আমি কখনোই ক্লান্ত হব না, বিরাটের মতো মানুষ দেখিনি। ওকে স্যালুট।'

Virat Kohli : বিরাট ফিটনেসের নেপথ্যে জকোভিচের ট্রেনিং!
Image Credit source: Instagram
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 21, 2023 | 5:14 PM

বেঙ্গালুরু : সারা বছরই ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের কারও না কারও চোট লেগেই রয়েছে। বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেটে অ্যাকাডেমিতে রিহ্য়াব চলছে এখনও অনেকের। সেটা সিনিয়র ক্রিকেটার হোক কিংবা জুনিয়র। তথ্য বলছে, ২০১৮ সাল থেকে জাতীয় দলের প্রায় প্রতিটা ক্রিকেটারকেই চোট সারাতে যেতে হয়েছে এনসিএ-তে। ব্যতিক্রম? বিরাট কোহলি। তিনি কি কোনওদিন চোট পান না? তা একে বারেই নয়। অনেক বড় সমস্যায় পড়েছিলেন বিরাট কোহলি। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু তাঁর চোটের পরিমাণ অনেক অনেক কম। শুধুমাত্র ভারতীয় ক্রিকেট কিংবা বিশ্ব ক্রিকেটই নয়, এশিয়ার অ্যাথলিটদের মধ্যে ফিটনেসের দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে বিরাট কোহলি। তাঁর নেপথ্যে রয়েছেন একজনই। রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোরের স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ শঙ্কর বাসু। বিরাটের ফিটনেসে উন্নতিতে তাঁর কতটা ভূমিকা! বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

বর্তমানে আরসিবির স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং হেড কোচ হলেও একটা সময় ভারতীয় দলে এই দায়িত্বে ছিলেন শঙ্কর বাসু। বিরাট কোহলির মুখে বারবার শোনা গিয়েছে এই নাম। বিশেষ করে ২০১৪ সালের প্রসঙ্গ ভোলার নয়। আরসিবির এই গুরুত্বপূর্ণ সাপোর্ট স্টাফ বলেন, ‘বিরাটকে আমি দেখছি ২০০৯ সাল থেকে। ২০১৩ সালে ও আমার কাছে আসে, কথা হয় আমাদের। ২০১৪ সালে পিঠের সমস্য়ায় চাপে ছিলেন বিরাট। তার ঠিক দেড় মাসের মধ্যে আবারও বিরাট দেখা করে বলে-তোমার আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়া উচিত।’

২০১৪ সালে শঙ্কর বাসু যেন বিরাটের কেরিয়ারের অন্য়তম টার্নিং পয়েন্ট। ক্রিকেট টেকনিক, মানসিকতা এসবের যেমন প্রয়োজন, তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ফিটনেস। সেটা শুধু মাত্র ক্রিকেটের ক্ষেত্রেই নয়। ফিটনেসের দিক থেকেও সেরা হওয়ার লক্ষ্যে শঙ্কর বাসুর কাছে বারবার ছুটেছেন বিরাট কোহলি। সেই প্রসঙ্গে আরও যোগ করেন, ‘২০১৪ সালে ওকে বলি, আমি যদি দায়িত্ব নিই, বেশ কিছু বিষয়ে পরিবর্তন করতে হবে। তুমি যে ধরনের ট্রেনিং করছ, সেটা দিয়ে হবে না। ট্রেনিংয়ে একটা বড় পরিবর্তন প্রয়োজন। টেকনিকাল দিক থেকে বিরাট প্রচুর প্রশ্ন করেছিল। অবশেষে ও বলে, তুমি যে ভাবে বলবে, সেই অনুযায়ীই ট্রেনিং করব। ওকে অ্যাথলেটিক ট্রেনিং শুরু করাই।’

২০১৫-২০১৯ সাল ভারতীয় দলে দায়িত্বে ছিলেন শঙ্কর বাসু। বিরাটও বলেছিলেন, একজন ক্রিকেটার নয়, অ্যাথলিটের মতোই তাঁকে দেখতে। কোহলিকে পাল্টা বলেছিলেন, তাহলে নোভাক জকোভিচের মতো ট্রেনিং করতে হবে। শঙ্কর বাসুর কথায়, ‘এই কথাটা বলতে আমি কখনোই ক্লান্ত হব না, বিরাটের মতো মানুষ দেখিনি। ওকে স্যালুট।’