CWC Retro Story: স্কোরবোর্ড সত্যিই গাধা, কপিল দেব সেদিন প্রমাণ করে দিয়েছিলেন…

Greatest World Cup matches: কিংবদন্তি কপিল দেবের ক্যাপ্টেন্স নকের কারণেই নির্ধারিত ৬০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৬ অবধি পৌঁছয় ভারত। ও হ্যাঁ, আর একটা অংশ তো বলাই হয়নি। ৮৩-র বিশ্বজয়ী টিমের ম্যানেজার মান সিংয়ের সঙ্গে একদিন দীর্ঘ সময় কথা হয়েছিল। তিনিই বলেছিলেন, কপিল দেবের ব্যাটিংয়ের সময় টিমের কাউকে জায়গা থেকে নড়তে দেননি। নানা অনুষ্ঠানে বিশ্বজয়ী দলের ক্রিকেটাররাও এই তথ্য তুলে ধরেছেন।

CWC Retro Story: স্কোরবোর্ড সত্যিই গাধা, কপিল দেব সেদিন প্রমাণ করে দিয়েছিলেন...
Image Credit source: X
Follow Us:
| Updated on: Sep 26, 2023 | 4:44 PM

কলকাতা: বিশ্বকাপ বলতে আপনার চোখের সামনে কী ভেসে ওঠে? বর্তমান প্রজন্ম হয়তো বলবে, ২ এপ্রিলের রাতে মহেন্দ্র সিং ধোনির সেই ছয়! দীর্ঘ ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছিল সেই রাতে। কিন্তু তাঁর মঞ্চ তৈরি হয়েছিল আরও অনেক অনেক আগে। ২০১১-র বিশ্বজয়ী দলের সদস্যরা বারবার স্বীকার করে নিয়েছেন। এগারোর আগে ওয়ান ডে ফরম্যাটে একটাই বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। লর্ডসের ব্যালকনিতে কপিল দেবের হাতে ট্রফি। ভারতীয় ক্রিকেটের প্রথম আইকনিক ছবি। আর সেই পথেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম একটা সেরা ম্যাচ দেখেছিলেন ক্রিকেট প্রেমীরা। তবে সেই ম্যাচ দেখার সুযোগ হয়েছিল মাঠে উপস্থিত থাকা দর্শকদেরই। আরও একটু ব্যাখ্যা করলে কেমন হয়? বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

লন্ডনের অদূরে টুনব্রিজ ওয়েলসের সেই মাঠে এখন আর ক্রিকেটের জায়গা হয় না। ওই মাঠেই জড়িয়ে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটের রূপকথার আঁতুরঘর। ও যেটা বলতে বলতে থেমে গিয়েছিলাম। সেই ম্যাচটা কেন সকলের দেখা হয়নি! বিবিসির ধর্মঘট চলছিল সে সময়। সে কারণেই সেই ম্যাচটি সম্প্রচার হয়নি। এই আক্ষেপ কোনওদিনই মেটার নয়।

এ বার পরবর্তী প্রসঙ্গে আসা যাক। মানে, শিরোনাম! নেভিল কার্ডাসকে চেনেন না, এমন ক্রিকেট প্রেমী খুঁজে পাওয়া কঠিন। ক্রিকেটের প্রতিবেদনে যিনি রোম্যান্স এনেছিলেন। সেই ক্রিকেট সাংবাদিক, নেভিল কার্ডাস। এটা তো গেল তাঁর একটা পরিচয়। তিনি প্রাক্তন ক্রিকেটার, ধারাভাষ্যকার। তিনি লিখেছিলেন, ‘স্কোরবোর্ড একটা গাধা, কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই একটা রূপকথা ঢাকা পড়ে যায়’। সত্যিই তো! যদি লেখা হয়, ভারত ২৬৬-৮ এবং জিম্বাবোয়ে ২৩৫। আপনি শুধু এটুকুই বুঝতে পারবেন, ভারত ৩১ রানে ম্যাচটা জিতেছিল। রূপকথা তো ঢাকাই পড়ে যাবে, তাই নয় কি?

ইংল্যান্ডের আবহাওয়া সুইং বোলিংয়ের আদর্শ। এ আর নতুন কী তথ্য। সমস্যা হল, সেখানকার ঠান্ডা আবহাওয়াতেও গতি এবং সুইংয়ে অনেক ব্যাটারেরও ঘাম ছুটে যায়। ভারতীয় টিমের সেই ম্যাচে এমনই পরিস্থিতি হয়েছিল। ৮৩-র বিশ্বকাপে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে মাত্র ১৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছিল ভারত। ক্যাপ্টেন কপিল দেব অন্য মেজাজেই ছিলেন, ব্যাটিংয়ে নামেন, মাত্র ১৩৮ বলে ১৭৫ রানের ইনিংস। ১৬টি বাউন্ডারি এবং ৬টি ওভার বাউন্ডারি।

কিংবদন্তি কপিল দেবের ক্যাপ্টেন্স নকের কারণেই নির্ধারিত ৬০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৬ অবধি পৌঁছয় ভারত। ও হ্যাঁ, আর একটা অংশ তো বলাই হয়নি। ৮৩-র বিশ্বজয়ী টিমের ম্যানেজার মান সিংয়ের সঙ্গে একদিন দীর্ঘ সময় কথা হয়েছিল। তিনিই বলেছিলেন, কপিল দেবের ব্যাটিংয়ের সময় টিমের কাউকে জায়গা থেকে নড়তে দেননি। নানা অনুষ্ঠানে বিশ্বজয়ী দলের ক্রিকেটাররাও এই তথ্য তুলে ধরেছেন।

ভারত সে দিন জিতেছিল, আর জিতেছিল ক্রিকেট, ভারতীয় ক্রিকেটের ইচ্ছাশক্তি। যা পৌঁছে দিয়েছিল শিখরে। লন্ডনের লর্ডসে রেড লেটার ডে তৈরি হয়েছিল। যার ভিত তৈরি হয়েছিল, ‘১৭৫’-এ। বিশ্বকাপের আলোচনায়, এই ম্যাচকে কি কোনও ভাবে বাদ দেওয়া যায়?