দাঁড়ান, আগে শুনে নিই। সঞ্চালক হর্ষ ভোগলের এই কথায় হাসি মহেন্দ্র সিং ধোনির মুখেও। চিপকে ম্যাচ। ধোনি মাঠে যাই করুন, সর্ষে ক্ষেতের মতো সুন্দর গ্যালারির গর্জন থামানো কঠিন। প্রথম কোয়ালিফায়ারে মাত্র এক বারই গ্যালারি স্তব্ধ হয়েছিল। তার আগের গর্জন ছিল গগনভেদী। মহেন্দ্র সিং ধোনি ব্যাট করতে নামলেন। কিন্তু দ্বিতীয় বলে তিনি আউট হতেই পিন পড়ার শব্দ শোনা যাবে এমন পরিস্থিতি। তা মিটতে বেশিক্ষণ লাগল না। সিএসকে ফিল্ডিংয়ে নামল। মাহি সবার আগে। দু-পাশে আতসবাজির ফুলকি। বোর্ডে ১৭২ রানের পুঁজি। গ্যালারির ভরসা ছিল মাহির মস্তিষ্ক। ভরসা রাখলেন। সিএসকে জিতল ১৫ রানের ব্যবধানে। আইপিএলে প্রথম বার গুজরাট টাইটান্সকে হারাল চেন্নাই সুপার কিংস। সরাসরি ফাইনাল নিশ্চিত হল, সিএসকের। রেকর্ড দশম বার ফাইনালে সিএসকে। কিন্তু যে প্রশ্নের উত্তর শোনার জন্য অপেক্ষা করছিল চিপকের গ্যালারি। মাহি কি এই মাঠে আর খেলবেন? বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
হর্ষ ভোগলে হাসতে হাসতে তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, সমর্থকরা কি এখানে আপনাকে আরও খেলতে দেখবেন? গ্যালারি অধীর আগ্রহে অপেক্ষায়। মরসুমের শুরুতেই ধোনি জানিয়েছিলেন, এটাই তাঁর শেষ পর্ব। আরও একবার তেমনই উত্তর দিলেন। কিছুটা সময় নিয়ে বললেন, ‘সেটা এখনও জানি না। আমার হাতে ৮-৯ মাস সময় থাকবে ভাবার জন্য। সহজ কথায়, সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় রয়েছে। পরবর্তী নিলাম ডিসেম্বরে। আমি সবসময়ই সিএসকে-তে থাকতে চাই। জানুয়ারি থেকেই বাড়ির বাইরে। মার্চে প্রস্তুতি শুরু করেছি।’
এর থেকেও অবশ্য ধোঁয়াশা কাটল না। বরং ধোনি যেন আরও ধোঁয়াশা বাড়ালেন পরবর্তী মন্তব্যে। বলছেন, ‘পরের মরসুমে আমি চেন্নাই জার্সিতে খেলবো কীনা জানি না। হতে পারে অন্য কোথাও বসতে পারি। তবে যে ভূমিকাতেই থাকি, আইপিএলে চেন্নাইয়ের সঙ্গেই যুক্ত থাকব।’ ধোঁয়াশা না কাটলেও, চেন্নাই সমর্থকরা বেশ কিছুটা আশ্বস্ত হলেন, যে ভূমিকাতেই হোক, ‘থালা মাহি’ তাদেরই থাকছেন।