Bengal vs Baroda: সামিদের স্বপ্নভঙ্গের কারিগর হার্দিক, বাংলাকে হারিয়ে মুস্তাক আলির সেমিতে বরোদা
Syed Mushtaq Ali Trophy: চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুস্তাক আলি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা ও বরোদা। ব্যাট হাতে বাংলাকে চাপে ফেলতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়া। তাতেও চিন্তার জায়গা ছিল না। কারণ বল হাতে কামাল দেখালেন ভারতীয় অলরাউন্ডার।
কলকাতা: এম চিন্নাস্বামীতে মহম্মদ সামিদের স্বপ্নভঙ্গ করলেন হার্দিক-ক্রুণালরা। ফের একবার সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে (Syed Mushtaq Ali Trophy) বাংলার যাত্রা থামল। সেই ২০১০-১১র মরসুমে বাংলা এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। তারপর থেকে বাংলা শিবিরে আসেনি মুস্তাক চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। এ বার চলতি টুর্নামেন্টের অন্যতম বিধ্বংসী টিম বরোদার কাছে আটকে গেল বাংলা। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুস্তাক আলি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলা ও বরোদা। ব্যাট হাতে বাংলাকে চাপে ফেলতে পারেননি হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya)। তাতেও চিন্তার জায়গা ছিল না। কারণ বল হাতে কামাল দেখালেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। বাংলাকে ৪১ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেলেন হার্দিক-ক্রুণালরা।
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির শেষ আটের ম্যাচে টস জিতে বরোদাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলার ক্যাপ্টেন সুদীপ কুমার ঘরামি। প্রথমে ব্যাটিং করে বরোদা তোলে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭২ রান। প্রায় ১০ ওভার অবধি বিনা উইকেটে বরোদার ওপেনিং জুটি দারুণ এগোচ্ছিল। ৯.৪ ওভারে বরোদার ওপেনার অভিমন্যু সিংকে (৩৭) ফেরান সক্ষীম চৌধুরী। এরপর ৯০ রানে ২ উইকেট হারায় বরোদা। ১০০-৩ হতে বেশি সময় লাগেনি। সেখান থেকে ১১৩-৪ করেন কনিষ্ক শেঠ। বরোদার হয়ে সর্বাধিক রান শ্বাশত রাওয়াতের (৪০)। তিনে নেমে হার্দিক ১১ বলে ১০ রান করেন। চারে নেমে বরোদার ক্যাপ্টেন ক্রুণাল করেন ৭ রান। মহম্মদ সামি, কনিষ্ক শেঠ ও প্রদীপ্ত প্রামানিক নেন ২টি করে উইকেট। ১টি উইকেট সক্ষম চৌধুরীর।
সেমির টিকিট পাওয়ার জন্য বাংলার সামনে ছিল ১৭৩ রানের টার্গেট। শুরুতেই বাংলাকে এক ওভারে তিন ধাক্কা দিয়ে বেসামাল করেন লুকমান মেরিওয়াবা। বাংলার ইনিংসের চতুর্থ ওভারে করণ লালের (৬) উইকেট তুলে নেন লুকমান মেরিওয়ালা। সেই ওভারেই ক্যাপ্টেন সুদীপ ঘরামিকে (২) এলবিডব্লিউ করেন মেরিওয়ালা। এরপর ওভারের শেষ বলে ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়কে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন তিনি।
এই খবরটিও পড়ুন
পরপর কয়েকটি উইকেট হারানোর পর ঋত্বিক রয় চৌধুরীর সঙ্গে ওপেনার অভিষেক পোড়েল জুটি বাঁধার চেষ্টা করেন। পঞ্চম ওভারে আউট হন অভিষেক (২২)। ১০ ওভারের শেষ বলে ঋত্বিক রয়কে (২৯) ফেরান হার্দিক। এরপর ১৬তম ওভারে জোড়া ধাক্কা দেন হার্দিক। তোলেন সক্ষম ও সামির উইকেট। বাংলার অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ ৩৬ বলে ৫৫ রানের লড়াকু ইনিংস উপহার দেন। কিন্তু দলকে শেষ অবধি জেতাতে পারেননি। হার্দিকের পাশাপাশি লুকমান ও অতীত শেঠ নেন ৩টি করে উইকেট। ১টি উইকেট অভিমন্যুর। ১৮ ওভারে ১৩১ রান তুলে অলআউট বাংলা। ম্যাচের সেরা লুকমান মেরিওয়ালা (১৭ রানে ৩ উইকেট, ২টি ক্যাচ)।