হার্দিক পান্ডিয়া
আইপিএলের (IPL) সবচেয়ে আলোচিত নাম হার্দিক পান্ডিয়া। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) হয়ে উত্থানের সময় থেকেই সুরাটের ছেলের ছয় মারার দক্ষতা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল। ব্যাট হাতে যেমন টিমকে টানতে জানেন, তেমনই বল হাতে এনে দিতে পারেন উইকেট। যে কারণে সব প্রতিপক্ষই তাঁর মতো কার্যকর অলরাউন্ডকে নিয়ে পরিকল্পনা করেই মাঠে নামে। মুম্বই থেকে উত্থান হলেও হার্দিক গুজরাট টাইটান্সের হয়ে খেলেছেন দুটো বছর। ক্যাপ্টেন হিসেবে উত্থান তখন থেকেই। প্রথম বারই IPLএ ট্রফি জিতিয়েছিলেন GTকে। পরের বার রানার্স হয় তাঁর টিম। সেই পুরস্কার পেয়ে গিয়েছেন। মুম্বই তাঁকে আবার ফিরিয়েছে আইপিএল টিমে। এ বার সরাসরি ক্যাপ্টেন করে। আর তা নিয়েই চরমে উঠেছে বিতর্ক। রোহিত শর্মা পাঁচবার আইপিএল জিতিয়েছেন মুম্বইকে। তাঁকে সরিয়ে হার্দিককে নেতা করা একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না ভক্তরা। এ নিয়ে বিক্ষোভও হয়েছে। তবে মুম্বইয়ের তরফে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে, ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়েই ক্যাপ্টেন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে হার্দিককে।
আইপিএলে উত্থানের পরই দ্রুত জাতীয় টিমে জায়গা পেয়ে যান হার্দিক। তিন ফর্ম্যাটেই কেরিয়ার শুরু করলেও এখন আর টেস্ট ক্রিকেট খেলেন না। শুধু সাদা বলের ক্রিকেট অর্থাৎ, ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টিতেই খেলেন দেশের হয়ে। দেশের সহ অধিনায়কও। হার্দিক বেশ কিছু ম্যাচে ভারতীয় টিমকে স্মরণীয় জয় এনে দিয়েছেন। কিন্তু চোট প্রবণতা বারবার ডুবিয়েছে তাঁকে। ২০২৩ সালে ভারতের মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সময়ও চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন। অনেকেই কপিল দেবের (Kapil Dev) সঙ্গে তুলনা করে তাঁর। কিন্তু নিজের প্রতিভার প্রতি কতটা সুবিচার করেছেন হার্দিক, সে প্রশ্ন আজও থেকে গিয়েছে।