Kohli vs Gambhir : ‘আইপিএল খেলতে এসেছি, গালি খেতে নয়’, কেন বলছেন বিরাট-গম্ভীর ঝামেলার ‘আসল ভিলেন’?
Naveen Ul Haq: আফগান ক্রিকেটার যতই প্রতিভাবান হোন না কেন, মাঠে এর আগেও ঝামেলায় জড়িয়েছেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা শাহিদ আফ্রিদির সঙ্গে সেই ঝামেলা এখনও ভুলতে পারেননি অনেকে।
কলকাতা : যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে জন্ম তাঁর। বাবা চিকিৎসক হলেও ছেলেকে অসুস্থ পরিবেশে বড় করতে চাননি। কাবুল থেকে চলে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের রিফিউজি ক্যাম্পে। সেখানেই কেটেছে শৈশব। বেড়ে ওঠা তাঁর। পরিবেশ শান্ত হওয়ার পর কাবুলে ফিরে গিয়েছিলেন তাঁরা। ছেলেবেলা থেকেই ক্রিকেট প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটে। ১১ বছর বয়সে খেলেছিলেন অনূর্ধ্ব ১৬ আফগানিস্তান টিমের হয়ে। ১৫ বছর বয়সে অনূর্ধ্ব ১৯ জাতীয় টিমের হয়ে খেলেন। আর ১৭ বছর বয়সে সেই তাঁরই আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। সেই নবীন উল হক এখন আইপিএলের দুনিয়ায় সবচেয়ে আলোচিত নাম। পারফরম্যান্সের জন্য নয়, বিরাট কোহলির (Virat Kohli) সঙ্গে ঝামেলার কারণে। আরসিবি-লখনউ ম্যাচে (IPL 2023) বিরাট কোহলি-গৌতম গম্ভীর জড়িয়ে পড়েছিলেন কথা কাটাকাটিতে। প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে চলে গিয়েছিল পরিস্থিতি। ওই ঝামেলার ‘আসল ভিলেন’ কিন্তু নবীন (Naveen Ul Haq)। আফগান ক্রিকেটার যতই প্রতিভাবান হোন না কেন, মাঠে এর আগেও ঝামেলায় জড়িয়েছেন। পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা শাহিদ আফ্রিদির সঙ্গে সেই ঝামেলা এখনও ভুলতে পারেননি অনেকে। তারই মধ্যে বিরাটের সঙ্গে তাঁর বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়া দেখে অবাক হচ্ছেন অনেকেই। আফগান ক্রিকেটারদের কাছে আইপিএলে খেলার সুযোগ পাওয়াটা বিরাট ব্যাপার। আর্থিক ভাবে লাভজনক যেমন, তেমনই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও নিজেকে মেলে ধরার দারুণ সুযোগ পান। সেই সুযোগ পেয়েও কেন হেলায় হারাচ্ছেন নবীন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, মাঠে ওই ঝামেলার পর বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত ছিলেন না নভিন। বরং তিনি ড্রেসিংরুমে ফিরেও একই রকম আগ্রাসন দেখিয়েছেন। বিরাট কোহলির সঙ্গে ঝামেলার প্রসঙ্গে এক সতীর্থকে এও বলেছেন, তিনি আইপিএল খেলতে এসেছেন, গালাগালি খেতে নয়।’ ম্যাচের সময় দু’বার বিরাটের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। বিরাটের উদ্দেশে পরদিন ইন্সটাগ্রাম পোস্টে নবীন লিখেছেন, ‘যা তোমার প্রাপ্য তাই পাবে। এমনই হয়ে আসছে, এমনই হবে।’
ঝামেলার এই ইতিহাস নতুন নয় নবীনের ক্ষেত্রে। শাহিদ আফ্রিদির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন এর আগে। তখন তিনি বলেওছিলেন, ‘কেউ যদি আমাকে কিছু বলে তো আমিও তাকে ছাড়ব না। আমি ছেলেবেলা থেকে এমনই। এই স্বভাব আমার ডিএনএতে রয়েছে। যদি আমি বলি, আগামী কাল থেকে আমি নিজেকে পাল্টে ফেলব, তা ঘটবে না কখনও।’
আফগানিস্তানের হয়ে ছোট কেরিয়ারে শাহিদ আফ্রিদি, মহম্মদ আমির, বিরাট কোহলিদের মতো তারকাদের উইকেট পুরেছেন ঝুলিতে। সাফল্য এলেও যে তিনি পাল্টাবেন না, সন্দেহ নেই। নিজেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘লোকে বলে মাঠের বাইরে আমি অন্যরকম মানুষ। মাঠের বাইরে অনেক বেশি হাসি। বন্ধুদের সঙ্গে মজা-ঠাট্টা-রসিকতা করি। কিন্তু মাঠে নামলেই আমি সিরিয়াস হয়ে যাই। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলি আর দেশের হয়ে, কেউ যদি আমাকে কিছু বলে, আমি ছাড়ব না তাকে।’