Mick Jagger: ইংল্যান্ডের সোনালি অধ্যায়ের শেষ দেখতে হাজির কিংবদন্তি মিক জ্যাগার

English pop star at Eden Gardens: ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ। ইডেনে নিয়মরক্ষার ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল জস বাটলারের দল। ম্যাচ নিয়ে বিরাট উৎসাহ ছিল, ক্রিকেট দুনিয়ার। এমনটা নয়। যতটুকু ছিল পাকিস্তানের জন্য, টসের পর সেটুকুও আর ছিল না। কারণ, টস ভাগ্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেতেই সেমিফাইনালের যাবতীয় জটিল অঙ্ক শেষ ওখানেই। মাঠে বেন স্টোকস-জো রুটদের লড়াই উপভোগ করেছে কলকাতার গ্যালারি। তার থেকেও বেশি যেন নজরে ছিল ভিআইপি বক্স!

Mick Jagger: ইংল্যান্ডের সোনালি অধ্যায়ের শেষ দেখতে হাজির কিংবদন্তি মিক জ্যাগার
Image Credit source: OWN Photograph
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 11, 2023 | 9:45 PM

কলকাতা: ইডেনে হাজির মিক জ্যাগার। ৮০ বছরেও প্রাণবন্ত রকস্টার। ইংরেজ রকস্টারকে কাছে পেয়েই ছবি তোলার হিড়িক। মাঠে তখন ইংল্যান্ডের দাপুটে পারফরম্যান্স। আর ভিআইপি বক্সে আলোকিত করে আছেন একজনই, মিক জ্যাগার। বিশ্বখ্যাত ‘রোলিং স্টোনস’ ব্যান্ডের কিংবদন্তি গায়ক। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ অভিযান শেষ। ইডেনে নিয়মরক্ষার ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল জস বাটলারের দল। ম্যাচ নিয়ে বিরাট উৎসাহ ছিল, ক্রিকেট দুনিয়ার। এমনটা নয়। যতটুকু ছিল পাকিস্তানের জন্য, টসের পর সেটুকুও আর ছিল না। কারণ, টস ভাগ্য পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যেতেই সেমিফাইনালের যাবতীয় জটিল অঙ্ক শেষ ওখানেই। মাঠে বেন স্টোকস-জো রুটদের লড়াই উপভোগ করেছে কলকাতার গ্যালারি। তার থেকেও বেশি উপভোগ্য বোধহয় ছিল, যাঁরা ভিআইপি বক্সে বসেছিলেন। হঠাৎ হাজির এক কিংবদন্তি। তিনি মিক জ্যাগার।

মিককে দেখেই ইডেনের ভিআইপি বক্সে তখন উত্তেজনা। কিংবদন্তি একেবারে সামনে! এ বোধ হয় স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি ভিআইপি বক্সের বাকি হুজ হু-রা। রোলিং স্টোন। এ তো রকপ্রিয় বাংলার কাছে একটা নস্ট্যালজিয়া। মিক জ্যাগারের লেখা, গান! আহা। ১৯৬৫-৬৬ তে ‘আই ক্যান্ট ‘ আর ‘পেইন্ট ইট ব্ল্যাক’তো অমর হয়ে গিয়েছে বিশ্বের রক ইতিহাসে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাইকেডেলিক রক থেকে ব্লুজে যাতায়াত শুরু মিক জ্যাগার ও তাঁর ব্যান্ড দ্য রোলিং স্টোনসের।

২০১৬ সালে ব্যান্ডের শেষ অ্যালবাম মুক্তি পেয়েছে। নাম ব্লু অ্যান্ড লোনসাম। তাও তুমুল জনপ্রিয়। আসলে মিক জ্যাগার একটা আবেদনের নাম। আসলে গায়ক, গীতিকার, চিত্রপরিচালকের বাইরেও মিকের এক অন্য আবেদন রয়েছে। তিনি এত সত্ত্বার বাইরে গিয়ে একটা চরিত্র হয়ে উঠেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও উঠে এসেছে বারবার শিরোনামে। জ্যাগার বোধহয় প্রথম রকস্টার যাঁর দুখানা পোশাক সংরক্ষিত হয়েছে। জ্যাগারের বিখ্যাত জাম্পশুট রয়েছে ওহিও-র রক অ্যান্ড রোল হল অব ফেম মিউজিয়ামে। তাঁর সিগনেচার মিলিটারি জ্যাকেট রয়েছে বিশ্বের আরও এক প্রান্ত সিডনির হার্ড রক ক্যাফেতে।

পরিচিত হাসি, মাথায় টুপি। পরনে জিন্স, সাদাকালো ছাপা শার্ট। উপরে একটা পুলওভার। গলায় একটা উত্তরীয়। কে বলবে লোকটার বয়স ৮০ বছর! এখনও যেন তরুণ রকস্টার। মিক জ্যাগারকে সামনে পেয়ে ছবি তুললেন উষা উত্থুপ। জ্যাজ, পপ, রক-বাঙালিকে এই ধরনের জঁর শোনানো তো শুরু করেছিলেন উষা উত্থুপই। উষার অন্যতম প্রিয় গায়কের তালিকায় উপরের দিকেই থাকেন মিক জ্যাগার। মিক জ্যাগারকে পেয়ে ছবি তুললেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় থেকে সচিব নরেশ ওঝা সকলেই। এ দিন ভিআইপি বক্সে ছিলেন প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেট তারকা দিলীপ দোশী। দোশীও এগিয়ে এলেন কিংবদন্তি শিল্পীর সঙ্গে ছবি তুলতে। ইডেনে অস্ট্রেলিয়া বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনাল ম্যাচেও উপস্থিত থাকবেন কিংবদন্তি মিক জ্যাগার।

CAB Officials with Mick Jagger

মিক জ্যাগারের সঙ্গে সিএবি কর্তারা। ছবি: সিএবির সৌজন্যে

মাঠে ২২ পারফর্মারের পারফরম্যান্সে তো নজর ছিলই। কিন্তু পারফর্মার অফ পারফর্মার্স যাঁকে বলা যায় অবলীলায়, তিনি তো এ দিন ছিলেন গ্যালারিতেই। তাঁর থেকে মুখ ফেরানোর সাধ্যি কার!