Sachin Tendulkar-Virat Kohli: সচিনের রেকর্ড অক্ষত, বিরাট আক্ষেপ কোহলির!
Most ODI Century: ইনিংসের ৪৭তম ওভারে বোল্টের বোলিংয়ে অনবদ্য় একটা ওভার বাউন্ডারি। গ্যালারি ফের তেতে ওঠে। সচিনের স্টাইলে কোহলি...কোহলি...ধ্বনি ধরমশালার গ্য়ালারিতে। কোহলি তখন ৮৮ রানে। বাউন্ডারি মেরে পৌঁছন ৯২-তে। একেকটা রানে গ্যালারির উন্মাদনা বাড়তে থাকে। সিঙ্গলে ৯৫ অবধি পৌঁছন। দলেরও প্রয়োজন আর ৫ রান। তখনও ২ ওভারের বেশি সময় বাকি। ডাগআউটে সতীর্থরা প্রত্যাশায়, বিরাটের সেঞ্চুরিতেই জয় আসবে।

সচিন…সচিন…। ধ্বনিটা ভারতীয় ক্রিকেটে আজীবন থাকবে। তবে এর রূপান্তরও দেখা গিয়েছে। সচিন পরবর্তী সময়ে বিশ্ব ক্রিকেটে আইকন বিরাট কোহলি। তাঁর অনেক রেকর্ডই ভেঙে দিতে পারেন কোহলি, এমন বিশ্বাস মাস্টারব্লাস্টারেরও। প্রায় তিন বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেঞ্চুরির খরা চলছিল বিরাট কোহলির ব্যাটে। সে সময় অবশ্য অনেকেই মনে করেছিলেন, বিরাট কোহলি ফিনিশ। তেইশের বিশ্বকাপে বিরাটের জায়গায় নতুনদের সুযোগ দেওয়া নিয়েও সওয়াল করেছিলেন অনেকেই। তবে সেঞ্চুরির খরা কাটতেই ঝুলি ভরতে থাকে কিং কোহলির। এ বার সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ডে ভাগ বসানোর সুযোগ। হয়তো এই বিশ্বকাপে খুব তাড়াতাড়ি রেকর্ড ভেঙেও দেবেন। যদিও অল্পের জন্য রেকর্ড অক্ষতই থাকল। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
বিশ্ব ক্রিকেটে বিরাট কোহলি পরিচিত চেজমাস্টার হিসেবেও। ধরমশালায় রান তাড়ায় ফের বিপদে পড়ে দল। হাল ধরেন বিরাট কোহলি। চেজমাস্টার এমনিতেই বলা হয় না তাঁকে। গত ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রান তাড়ায় সেঞ্চুরি করেছিলেন। এ বারের বিশ্বকাপে তার আগে দুটো হাফসেঞ্চুরির ইনিংসও রয়েছে। দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন কোহলি। এ দিনও তাঁর সেঞ্চুরির প্রত্যাশায় চাপ তৈরি হয়। দলের প্রয়োজন ২৩, কোহলির তখন দরকার মাত্র ২০। জাডেজার সঙ্গে স্ট্রাইক রোটেট করছিলেন। ম্যাচ জেতা বেশি জরুরি, তিনি যে ব্যক্তিগত রেকর্ডের জন্য খেলেন না, সেটাও বোঝানো প্রয়োজন ছিল যেন।
ইনিংসের ৪৭তম ওভারে বোল্টের বোলিংয়ে অনবদ্য একটা ওভার বাউন্ডারি। গ্যালারি ফের তেতে ওঠে। সচিনের স্টাইলে কোহলি…কোহলি…ধ্বনি ধরমশালার গ্যালারিতে। কোহলি তখন ৮৮ রানে। বাউন্ডারি মেরে পৌঁছন ৯২-তে। একেকটা রানে গ্যালারির উন্মাদনা বাড়তে থাকে। সিঙ্গলে ৯৫ অবধি পৌঁছন। দলেরও প্রয়োজন আর ৫ রান। তখনও ২ ওভারের বেশি সময় বাকি। ডাগআউটে সতীর্থরা প্রত্যাশায়, বিরাটের সেঞ্চুরিতেই জয় আসবে। ম্যাট হেনরির ডেলিভারি একেবারে স্লটে। বড় শট খেলেন। বল হাওয়ায়। যেন কোনও সিনেমার দৃশ্য। সকলেই বলের ল্যান্ডিং দেখার অপেক্ষায়। গ্লেন ফিলিপ্সের হাতে বল জমা পড়তেই গ্যালারিতে হতাশা।
শট নেওয়ার পর বিরাটের ব্যাট ঘুরে যায়। সেটা না হলে ছয়, সেঞ্চুরি এবং জয় একই শটে। বিরাটও আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন। সেটা শতরান হাতছাড়া হওয়ার! ম্যাচ ফিনিশ না করে আসতে পারার জন্যও হতে পারে। ওডিআই কেরিয়ারে ৪৯তম সেঞ্চুরিটা কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে এলোমেলো হয়ে গেল। সচিনের থেকে এক কদম দূরেই রইলেন কোহলি।
