
গুয়াহাটি: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ এগিয়ে নেমেছিল ভারত। বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে আজ তৃতীয় ম্যাচ জিতলেই সিরিজ জিতে নিতেন সূর্যরা। মঞ্চও প্রস্তুত ছিল। গত দু-ম্যাচের মতোই ব্যাটিং বিভাগ অনবদ্য। আলাদা করে বলতে হয় ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের কথা। গত ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করলেন। তাঁর কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। ভারতের প্রথম ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির কীর্তি। অস্ট্রেলিয়াকে ২২৩ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় ভারত। এই রানও যথেষ্ঠ হল না। সৌজন্যে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। মাত্র ৪৮ বলে ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৫ উইকেটের জয়ে সিরিজ জিইয়ে রাখল অজিরা। ভারত-অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আপডেটের জন্য নজর রাখুন TV9 Bangla Sports-এর এই লাইভ ব্লগে।
গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের কাছে পরিস্থিতি যেন একই দাঁড়াল। ওয়াংখেড়েতে একাই দুশো করে দলকে জিতিয়েছিলেন। ভারতের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে একাই একশো। বিস্তারিত পড়ুন: ওয়াংখেড়ের স্মৃতি ফিরল! বিশাল স্কোর নিয়েও ম্যাক্সির কাছে হার ভারতের
উল্টোদিক থেকে পরপর উইকেট তুলছে ভারতীয় বোলাররা। তবে ম্যাক্সওয়েল এখনও ক্রিজে। হাফসেঞ্চুরির পথে ম্যাক্সি।
টানা তৃতীয় ম্যাচে ২০০ প্লাস স্কোর ভারতের। তাও অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম সেঞ্চুরি ঋতুরাজের। প্রথম ভারতীয় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরির রেকর্ড। ৩ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান তুলল ভারত। ৫৭ বলে ১২৩ রানের অপরাজিত ইনিংস ঋতুরাজের।
ইনিংসের শুরু থেকে সতর্ক ব্যাটিং ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের। হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩২ বলে। সূর্যকুমার যাদব ফিরতেই বিধ্বংসী মেজাজে ঋতুরাজ। ৫২ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছলেন ঋতুরাজ। প্রথম ভারতীয় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি।
এখনও দু-ওভারের বেশি বাকি। ৯৩ রানে ব্যাট করছেন ঋতুরাজ। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা প্রবল।
গত ম্যাচেও অ্যাঙ্কর ইনিংস খেলেছিলেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। অনবদ্য একটা হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি ভাইস ক্যাপ্টেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের। বাকি দুই ম্যাচে অবশ্য তিনি ভাইস ক্যাপ্টেন থাকবেন না। ওপেনার ঋতুরাজ অনবদ্য ব্যাটিং করছেন, এ বিষয়ে দ্বিমত নেই। ৩২ বলে হাফসেঞ্চুরিতে ঋতুরাজ।
সূর্যকুমার যাদব এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড় জুটি ভিত মজবুত করেছিলেন। এই জুটি ভাঙল। কট বিহাইন্ড সূর্য। রিঙ্কুর আগে পাঠানো হল তিলক ভার্মাকে।
সূর্যকুমার যাদব এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের জুটির হাফসেঞ্চুরি। ৪০ বলে ৫০ রানের পার্টনারশিপ। সেটা পেরিয়েও গেল এই জুটি।
পাওয়ার প্লে-র শুরুতেই জোড়া উইকেট হারায় ভারত। গত দুই ম্যাচেই হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন ঈশান। গত ম্যাচে অর্ধশতরান যশস্বীর। ছন্দে থাকা দুই ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে। সূর্য রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায়। পাওয়ার প্লে-তে ২ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান ভারতের। পাওয়ার প্লে শেষ হতে লেগস্পিনার তনভীর সাঙ্ঘাকে আক্রমণে আনলেন অজি অধিনায়ক। বাউন্ডারিতে স্বাগত জানালেন সূর্য।
গত ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করেছিল ভারতের টপ থ্রি। যশস্বী অপ্রয়োজনীয় শট খেলে উইকেট উপহার দিয়েছিলেন। ঈশানও ধৈর্য দেখাতে পারলেন না। বাড়তি বাউন্স সামলাতে পারলেন না। অফ ড্রাইভে উইকেট। ক্রিজে ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব।
হাইস্কোরিং পিচ হলেও শুরুতে সুইং থাকবে, পিচ রিপোর্টে এমনটাই ছিল। শুরুতে সতর্ক ব্যাটিং করতে হত। বাঁ হাতি পেসার জেসন বেহরেনডর্ফের সেকেন্ড ডেলিভারিতেই স্টেপ আউট করেছিলেন যশস্বী। যদিও ব্যাটের কানায় লেগে কিপারের হাতে। একটু সময় নিলে হয়তো বড় ইনিংস খেলতে পারতেন। ক্রিজে ঈশান কিষাণ।
ডান হাতি ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের জন্য স্লিপ ছিল। যদিও শেষ বলে স্লিপ সরিয়ে নেওয়া হয়। ঋতুরাজের ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে ক্যাচ উঠলেও বাউন্ডারি।
ক্রিজে ভারতের ওপেনিং জুটি। বাঁ হাতি যশস্বী জয়সওয়াল এবং ডান হাতি ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। নতুন বলে কেন রিচার্ডসন। সুইয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত অজি অধিনায়ক ম্যাথিউ ওয়েডের। রান তাড়া নিয়ে চিন্তিত নন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। মুকেশ কুমারের বিয়ে। সূর্য বলেন, জীবনের সেরা ম্যাচে নামছে মুকেশ। এর জন্য শুভেচ্ছা। তাঁর পরিবর্তে একাদশে আবেশ খান। চতুর্থ ম্যাচের আগে স্কোয়াডে যোগ দেবেন মুকেশ। আপাতত ব্যাক আপ হিসেবে রয়েছেন দীপক চাহার।
ভারতের একাদশ-সূর্যকুমার যাদব, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়, যশস্বী জয়সওয়াল, ঈশান কিষাণ, তিলক ভার্মা, রিঙ্কু সিং, অক্ষর প্যাটেল, রবি বিষ্ণোই, অর্শদীপ সিং, আবেশ খান, প্রসিধ কৃষ্ণ
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: অ্যারন হার্ডি, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিশ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টইনিস, টিম ডেভিড, ম্যাথিউ ওয়েড, কেন রিচার্ডসন, নাথান এলিস, জেসন বেহরেনডর্ফ, তনবীর সাঙ্ঘা
অস্ট্রেলিয়ার একঝাঁক ক্রিকেটার দেশে ফিরেছেন। পরিবর্তে নতুনরা এসেছেন। সামনেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ। সে কারণেই তরুণদের পাঠানোর সিদ্ধান্ত
বড় মাঠ। স্ট্রেট বাউন্ডারি ৮৩ মিটার! সিরিজ হাইস্কোরিং, এই মাঠও। পিচ রিপোর্টে ম্যাথিউ হেডেন বলছেন, শিশিরের প্রভাব শুরু থেকেই থাকবে। হার্ড পিচ। কালো মাটির পিচ। ঘাস নেই বললেই চলে। এই ম্যাচও হাইস্কোরিং প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তবে নতুন বল কাজে লাগাতে পারলে বোলারদের জন্যও সুবিধা রয়েছে।
এই সিরিজে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে নজর কেড়েছে কে? সাইমন কাটিচ বেছে নেন রবি বিষ্ণোইকে। তবে ভারতের প্রাক্তন পেসার তথা গুজরাট টাইটান্সের মেন্টর আশিস নেহরার নজরে মুকেশ কুমার। শুধু এই সিরিজেই নয়, আইপিএল সহ যেটুকু সুযোগ পেয়েছেন, নতুন বল হোক বা পুরনো, ইনিংসের শুরু হোক কিংবা স্লগ ওভার, মুগ্ধ আশিস নেহরা।
গুয়াহাটি বর্ষাপাড়া স্টেডিয়ামে গড় প্রথম ইনিংস স্কোর ১৬০। এই মাঠে ১৩ ম্যাচের মধ্যে প্রথমে ব্যাট করা দল ৯ ম্যাচে জিতেছে। রান তাড়ায় জয় মাত্র ৪ ম্যাচে। টস জিতলে কি ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত?