Image Credit source: twitter
দেশের হয়ে খেলা যে কোনও ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন। তবে ভারতে দেশের হয়ে খেলা খুবই কঠিন। অনেকেই সুযোগ পান, কেউ বা টিকে যান, আবার কেউ হারিয়েও যান। কিন্তু এক ম্যাচ খেলেই! ভারতীয় ক্রিকেটে এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা এক ম্যাচ খেলেই হারিয়ে গিয়েছেন। হাতে গোনা কয়েকজনের কাছেই সুযোগ রয়েছে ফেরার। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
এক নজরে দেখে নেওয়া সেই ‘হতভাগ্য’ ক্রিকেটারদের বিষয়ে
- ফৈজ ফয়জল– ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্যতম সেরা টপ অর্ডার ব্যাটার। বিদর্ভের এই ক্রিকেটার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছিলেন। ২০১৬ সালে জিম্বাবোয়ে সফরে গিয়েছিল ভারত। হারারেতে দেশের জার্সিতে অভিষেক হয়। ৩০-র কোটায় অভিষেক ভারতীয় ক্রিকেটে তাঁর আগে ১৬ বছর দেখা যায়নি। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে অনবদ্য পারফরম্যান্সের জেরেই সুযোগ পেয়েছিলেন। যদিও জিম্বাবোয়েতেই দেশের হয়ে প্রথম এবং শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়ে দাঁড়ায় ফয়জলের জন্য।
- ইকবাল সিদ্দিকি– ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ছিলেন ইকবাল সিদ্দিকি। ২০০১ সালে টেস্ট অভিষেক হয় তাঁর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে উইকেটও নিয়েছিলেন। প্রথম ইনিংসে ১০ নম্বরে নেমে ২৪ রান করেছিলেন। যদিও এরপর আর জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাননি।
- মায়াঙ্ক মার্কন্ডে– গত আইপিএলে সীমিত সুযোগে দারুণ পারফর্ম করেন মায়াঙ্ক। দেশের এই তরুণ ক্রিকেটার জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন। এই তরুণ লেগস্পিনার ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টিতে খেলেন। আইপিএলে পারফরম্যান্সের জেরেই টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা করেছিলেন। দেশের জার্সিতে সেই একটি ম্যাচই খেলেন মায়াঙ্ক। ফের কোনওদিন খেলার সুযোগ পাবেন কীনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
- শ্রীনাথ অরবিন্দ– কর্ণাটকের পেসার শ্রীনাথ অরবিন্দ। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর জার্সিতে আইপিএলেও খেলেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জেরে সুযোগ পেয়েছিলেন জাতীয় দলে। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি খেলেন। তার চার বছর আগেই অবশ্য ওডিআই টিমে সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু সেবার চোটের কারণে খেলা হয়নি। ২০১৫ সালে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়। এরপর আর দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পাননি।
- এ তো গেল এই শতাব্দীর কয়েকজনকে নিয়ে কথা। তার আগেও এমনটা হয়েছে। ১৯৪৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে হোমটাউন কলকাতায় টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সুধাংশু ব্যানার্জির। সেটাই তাঁর শেষ ম্যাচ। ১৯৩৩-৩৪ ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ ছিল ভারতের। কলকাতা টেস্টে অভিষেক হয়েছিল এমজে গোপালনের। এরপর আর খেলেননি। ১৯৯৬ সালে টাইটান কাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে খেলেছিলেন। সেটাই তাঁর শেষ ম্যাচ। আরও অনেকেরই এমন পরিস্থিতি হয়েছিল। এক ম্যাচ খেলেই হারিয়ে গিয়েছিলেন।