দ্রাবিড় যুগের অবসান। খুব তাড়াতাড়িই ভারতীয় ক্রিকেটে শুরু হতে চলেছে গৌতম গম্ভীর অধ্যায়। তরুণ ভারতীয় দল জিম্বাবোয়েতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে। এরপরই শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে ভারতীয় দল। ২৭ জুলাই শুরু সিরিজ। তিনটি করে ওয়ান ডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারত। তার আগেই টিমের দায়িত্ব নেবেন গৌতম গম্ভীর। জাতীয় দলের হয়ে তাঁর কোচিং কেরিয়ার সাফল্যের হবে, এমনটাই প্রত্যাশা। ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর দুটো বিশ্বকাপ জিতেছেন। ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ। এ ছাড়াও নানা সাফল্য়। তাঁর ক্রিকেট কেরিয়ার কেমন ছিল, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর অভিষেক ওয়ান ডে ফরম্যাট দিয়েই। ২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে অভিষেক হয় গৌতম গম্ভীরের। ওয়ান ডে কেরিয়ারে ১৪৭টি ম্যাচ খেলেছেন গম্ভীর। করেছেন ৫২৩৮ রান। সর্বাধিক স্কোর অপরাজিত ১৫০। শতরান করেছেন ১১টি এবং ৩৪টি অর্ধশতরান।
গৌতম গম্ভীরের টেস্ট অভিষেক হয় পরের বছর অর্থাৎ ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। কেরিয়ারে ৫৮ টেস্টে ১০৪ ইনিংসে করেছেন ৪১৫৪ রান। সর্বাধিক স্কোর ২০৬। ব্য়াটিং গড় প্রায় ৪২। টেস্টে ৯টি সেঞ্চুরি এবং ২২টি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে। টেস্টে টানা ১১ ম্যাচে হাফসেঞ্চুরির কীর্তিও রয়েছে গম্ভীরের।
আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ৩৭টি। করেছেন প্রায় হাজার রান। ২০০৭ সালে উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। ফাইনালে অনবদ্য ইনিংস খেলেন। শুধু তাই নয়, ২০১১ ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ফাইনালেও দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন গৌতম গম্ভীর।
ঘরোয়া ক্রিকেটেও তাঁর বর্ণময় কেরিয়ার। সেটা প্রথম শ্রেনির ক্রিকেট হোক বা লিস্ট এ কিংবা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ক্যাপ্টেন হিসেবে দু-বার চ্যাম্পিয়ন করেছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। মেন্টর হিসেবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দু-মরসুম কাটিয়েছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসে। দু-বারই প্লে-অফে উঠেছিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। গত মরসুমে তিনি মেন্টর হিসেবে ফেরেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। দীর্ঘ ১০ বছর পর আইপিএল ট্রফি জেতে কেকেআর। এ বার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোচিংয়ের বড় চ্যালেঞ্জ গম্ভীরের।