
কলকাতা: গুঞ্জন, তবে গুজব নয়। আইপিএলের নিলামের দিন যত এগিয়ে আসছে, সমর্থকদের প্রত্যাশাও। কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রত্যাশা আরও অনেক বেশি! তার কারণও রয়েছে। গৌতম গম্ভীর। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে দু-বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। দু-বারই গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে। গম্ভীর যেন কলকাতার ট্রফি ভাগ্যও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর থেকে ফাইনাল অবধি পৌঁছলেও তৃতীয় ট্রফি যোগ হয়নি কেকেআরের ক্যাবিনেটে। গম্ভীর কেকেআরে ফিরেছেন। মেন্টর হিসেবে। ট্রফিও কি ফিরবে? তার জন্য ভালো স্কোয়াডও চাই। ১৯ ডিসেম্বর সেই লক্ষ্যেই তো নামবে কেকেআর। বোলিং আক্রমণ শক্তিশালী করতে কেকেআরের নজরে থাকবে নিজেদের পেসারই! বিস্তারিত জেনে নিন TV9 Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
কয়েক মাস আগেই হয়েছে উদ্বোধনী মেজর লিগ ক্রিকেট। সেখানে নাইট রাইডার্স ফ্র্যাঞ্চাইজির দলও ছিল। লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্স। সুনীল নারিনের নেতৃত্বে খেলেছে তারা। স্কোয়াডে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি পেসার স্পেন্সার জনসন। জাতীয় দলের হয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মাত্র তিনটি ম্যাচ খেলেছেন। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে হট-কেক স্পেন্সার জনসন। তাঁকে নতুন মিচেল স্টার্কও বলা হয়ে থাকে অস্ট্রেলিয়ায়। স্টার্কের মতোই উচ্চতা, ইয়র্কার দেওয়ার দক্ষতা রয়েছে। মেজর লিগ ক্রিকেটে মাত্র তিন ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। ৩ ম্যাচে ঝুলিতে ২ উইকেট। ইকোনমি ৮-এর নীচে। এটাই গুরুত্বপূর্ণ দিক।
অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম সফল বাঁ হাতি পেসার মিচেল স্টার্ককে আদর্শ মানেন স্পেন্সার। এ বছর ভারতের মাটিতেই ওয়ান ডে অভিষেক হয়। ওয়ান ডে বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তাঁর ওডিআই অভিষেক হয় ইন্দোরে। অভিষেক ক্যাপ তুলে দিয়েছিলেন স্টার্কই। সেই ম্যাচে ৮ ওভার বোলিং করেছিলেন। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান। হতাশায় ভুগছিলেন স্পেন্সার। হোটেলে ফিরে রাত তখন ১টা। মোবাইলের লাইট জ্বলে ওঠে। স্পেন্সারের মোবাইলে স্টার্কের মেসেজ। সেখানে নানা কথার মাঝে বার্তা ছিল, আগামী বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। স্পেন্সার যেন নিজেকে তার জন্য প্রস্তুত করেন। মেজর লিগ ক্রিকেটের অভিজ্ঞতা থাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে ইতিমধ্যেই তাঁর জানা। এখন প্রয়োজন ধারাবাহিক ভালো পারফর্ম করা। আইপিএলে সুযোগ পেলে এবং নজর কাড়তে পারলে নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা হবে।
মেজর লিগ ক্রিকেট কিংবা জাতীয় দলে সীমিত সুযোগ পেলেও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিয়মিত। বিগ ব্যাশ ও ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড টুর্নামেন্টে ভালো পারফর্ম করেছেন। ভবিষ্যতের তারকাও বলা যেতে পারে স্পেন্সারকে। বাকিদের কাছে তুলনামূলক অচেনা হলেও কলকাতা নাইট রাইডার্স ম্যানেজমেন্টের কাছে নয়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে হাজারের ওপর ক্রিকেটার রেজিস্টার করেছিলেন। মাত্র ৩৩৩ জনের নাম শর্টলিস্ট হয়েছে। তাতে রয়েছে স্পেন্সারের নামও। ৫০ লক্ষ টাকার বেস প্রাইসে রয়েছেন।
কলকাতা নাইট রাইডার্স কোনও বিদেশি পেসারকেই রিটেন করেনি। পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে রয়েছেন রাসেল। নিলামে বিদেশি পেসারের জন্য ঝাঁপাবে গৌতম গম্ভীরের টিম, এ বিষয়ে সন্দেহ নেই। শুধুমাত্র কলকাতা নাইট রাইডার্সেই নয়, আইপিএলে বড় চমক হতে পারেন বাঁ হাতি স্পেন্সার জনসন। তাঁর জন্য নিলামের টেবলে খুব বেশি ঝড় নাই উঠতে পারে। সে কারণেই কেকেআর তাঁকে নেওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। আরও সহজ করে বললে, হয়তো ২ কোটির মধ্যে কিংবা বেস প্রাইসেও পাওয়া যেতে পারে স্পেন্সার জনসনকে।