
আকাশের মতো বড় জয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের। এলিমিনেটর ম্যাচে ৮১ রানের জয়কে এর চেয়ে ভালো আর কী ভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে? প্রতি আইপিএলেই দেখা যায় কচ্ছপের গতিতে শুরু করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। তারপর গতি নেয়। গত মরসুমে তা হয়নি। একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারকে সুযোগ দিয়েছিল। সাফল্য না এলেও এ বার সেই ফল পাচ্ছে। তবে সিলেবাসের বাইরের প্রশ্ন সামলাতে হল লখনউ সুপার জায়ান্টসকে। আকাশ মাধওয়াল। ইঞ্জিনিয়ারিং গ্র্যাজুয়েট। কিন্তু প্যাশনকেই ফলো করার সিদ্ধান্ত আকাশের। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে প্রবেশ ২৫ বছর বয়সে। সেই অর্থে বলতে গেলে অনেকটাই দেরিতে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স টিমের সঙ্গে অনেক দিনই রয়েছেন। এ বার স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন। কেরিয়ারের সপ্তম আইপিএল ম্যাচেই রেকর্ড গড়লেন। আইপিএলের ইতিহাসে প্লে-অফে মাত্র ৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট। প্লে-অফে এটাই সেরা বোলিং ফিগার। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
জসপ্রীত বুমরা চোটের কারণে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন। বড় রকমের চিন্তা ছিল ডেথ বোলিং নিয়ে। সেই খামতি যেন পুরণ করছেন আকাশ। ম্যাচের সেরা আকাশ মাধওয়াল বলছেন, ‘আমি কখনওই বুমরা ভাইয়ের জায়গা নিতে পারব না। ও ওর জায়গায়, আমি আমার জায়গায়।’ এত দেরিতে পেশাদার ক্রিকেটে প্রবেশের পর দ্রুত কী ভাবে এত বড় সাফল্য! হর্ষ ভোগলের প্রশ্নে দারুণ উত্তর। আকাশ বলছেন, ‘স্যার, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের স্টুডেন্ট। বুঝতেই পারছেন, দ্রুত শিখে নিতে পারি। ক্রিকেটই প্যাশন। গ্র্যাজুয়েশনের পর প্যাশনকেই বেছে নিয়েছি।’ তাঁর উত্তরে হাসি আটকাতে পারলেন না হর্ষ ভোগলে। তিনিও যে ইঞ্জিনিয়ার!
একটা সময় টেনিস বল ক্রিকেট খেলতেন। ক্রিকেটটাই প্যাশন ছিল। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চাপেও প্যাশন হারিয়ে যেতে দেননি। মুম্বই শিবিরেও এই মরসুমের আগে অবধি অনুশীলন করা ছাড়া কোনও কাজই ছিল না। সেই পরিশ্রমের ফল পাচ্ছেন এ মরসুমে। পাঁচ উইকেটের মধ্যে সেরা কোনটি? ভাবতে ১ সেকেন্ডও সময় লাগল না আকাশের। বলেন, ‘নিকোলাস পুরানের উইকেটটাই সেরা।’ উত্তরাখণ্ডে আকাশের পরিবারে এখন শুধুই উচ্ছ্বাস। গত ম্যাচে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। এ বার প্লে-অফে পাঁচ উইকেট।