Indian Cricket Team: ভারতের জার্সিতে কোনও ম্যাচ না খেলেই বিশ্বজয়ী, এই ক্রিকেটারকে মনে আছে?
ICC World Cup Retro Story: প্রথম দুই বিশ্বকাপ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৮৩ সালে বিশ্বজয়ের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে নেমেছিল ক্লাইভ লয়েডের টিম। যদিও আন্ডারডগ ভারত সব হিসেব উল্টে দেয়। কপিল দেবের নেতৃত্বে সেই বিশ্বকাপে রূপকথা তৈরি হয়েছিল। ভারতের অতি বড় ক্রিকেট সমর্থকও এমন কিছু প্রত্য়াশা করেনি। সত্যি বলতে, ক্রিকেট নিয়ে এখনকার মতো ১০ শতাংশও উন্মাদনা ছিল না। তবে কপিল দেবের সেই টিম কিন্তু কামাল করেছিল।

কলকাতা: সুনীল ভালসন। তাঁকে ঠিক কী বলা যায়! সৌভাগ্যবান না হতভাগ্য ক্রিকেটার? সত্যিই বলা কঠিন। আরও একটা ওয়ান ডে বিশ্বকাপ খেলল ভারত। ফাইনালে উঠলেও তৃতীয় বার চ্যাম্পিয়ন হওয়া হল না। স্বাভাবিক ভাবেই অতীতে ডুব দিচ্ছেন ক্রিকেট প্রেমীরা। এক যুগ আগে ঘরের মাঠেই শেষ বার ওয়ান ফরম্যাটে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেই মুহূর্তগুলোই মনে করছেন ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীরা। তবে প্রথম বিশ্বকাপ জয় কি ভোলা যায়? আর সেই দলে তো আরও এক রেকর্ড হয়েছিল! বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
প্রথম দুই বিশ্বকাপ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৮৩ সালে বিশ্বজয়ের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে নেমেছিল ক্লাইভ লয়েডের টিম। যদিও আন্ডারডগ ভারত সব হিসেব উল্টে দেয়। কপিল দেবের নেতৃত্বে সেই বিশ্বকাপে রূপকথা তৈরি হয়েছিল। ভারতের অতি বড় ক্রিকেট সমর্থকও এমন কিছু প্রত্যাশা করেনি। সত্যি বলতে, ক্রিকেট নিয়ে এখনকার মতো ১০ শতাংশও উন্মাদনা ছিল না। তবে কপিল দেবের সেই টিম কিন্তু কামাল করেছিল। ফাইনালে দু-বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে ট্রফি জেতে ভারত। লর্ডসের গ্যালারির সেই ছবি ভারতীয় ক্রিকেটের নস্ট্যালজিয়া। ভারতের সেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডে ছিলেন এক বাঁ হাতি পেসার। একটি ম্যাচেও সুযোগ পাননি। শুধু তাই, কোনও দিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাননি। কোনও ম্যাচ না খেলেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
সাতের দশকের শেষ দিকে দিল্লির হয়ে রঞ্জি ট্রফি অভিষেক হয় সুনীল ভালসনের। ১৯৮২-৮৩ ঘরোয়া মরসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। সেই পারফরম্যান্সের জেরেই বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা হয়। ভারতের পেস বোলিং লাইন আপে কপিল দেব, রজার বিনি, বলবিন্দর সিং সান্ধু, মদন লালদের মতো প্লেয়াররা ছিলেন। ইংল্যান্ডের পরিস্থিতিতে কোনও এক বোলারের পারফরম্যান্স খারাপ হলে কিংবা চোট লাগলে! বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছিল সুনীল ভালসনকে। যদিও ভারতের প্রথম সারির বোলাররা অনবদ্য পারফর্ম করায় সুনীল ভালসনের আর খেলার সুযোগ হয়নি। পুরো বিশ্বকাপে সাইড লাইনেই কাটাতে হয়েছিল। ৮৩’র বিশ্বজয়ী দলের সদস্য। পরবর্তীতে কপিল দেবের টিম যখনই মিলিত হয়েছেন, সতীর্থদের সঙ্গে উপস্থিত হতেন সুনীলও।
হতাশার বিষয়, বিশ্বকাপ জয়ের পর ঘরের মাঠে সিরিজ ছিল ভারতের। ঘরের মাঠে বাড়তি পেসারের প্রয়োজন ছিল না। তাই স্কোয়াডে আর জায়গা হয়নি। দীর্ঘদিন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেললেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুযোগ হয়নি। দেশের হয়ে একটি ম্যাচও না খেললেও তাঁর নাম উজ্জ্বল ৮৩-র বিশ্বজয়ী টিমে।
