Mohammed Shami: আমাকে হিংসে করা লোকের সংখ্যা বেড়েছে, কেন এমন বললেন সামি?

ব্যর্থতায় পড়লে পরিস্থিতি যে আরও জটিল হয়ে ওঠে, সে প্রসঙ্গও ফিরে ফিরে আসছে। জটিল আবর্ত থেকে বেরিয়ে আবার সাফল্যে পৌঁছনোর জন্য তখন কী করেন তারকা প্লেয়ার? এই প্রশ্নই করা হল মহম্মদ সামিকে (Mohammed Shami)। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে (ICC World Cup 2023) প্রথম চারটে ম্যাচ খেলার সুযোগ মেলেনি। কিন্তু টিমে ফিরেই দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন। যা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলে।

Mohammed Shami: আমাকে হিংসে করা লোকের সংখ্যা বেড়েছে, কেন এমন বললেন সামি?
আমাকে হিংসে করা লোকের সংখ্যা বেড়েছে, কেন এমন বললেন সামি?

| Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Nov 25, 2023 | 2:23 PM

নয়াদিল্লি: মানসিক সমস্যা কতটা কোণঠাসা করে ফেলে, কীভাবে হারিয়ে যান কেউ, খেলার দুনিয়ায় এই প্রসঙ্গ ইদানীং সবচেয়ে চর্চিত। সাফল্য পাচ্ছেন কোনও এক তারকা, তার মানে এই নয় যে, মানসিক ভাবে তিনি চাঙ্গা রয়েছেন। ব্যর্থতায় পড়লে পরিস্থিতি যে আরও জটিল হয়ে ওঠে, সে প্রসঙ্গও ফিরে ফিরে আসছে। জটিল আবর্ত থেকে বেরিয়ে আবার সাফল্যে পৌঁছনোর জন্য তখন কী করেন তারকা প্লেয়ার? এই প্রশ্নই করা হল মহম্মদ সামিকে (Mohammed Shami)। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে (ICC World Cup 2023) প্রথম চারটে ম্যাচ খেলার সুযোগ মেলেনি। কিন্তু টিমে ফিরেই দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন। যা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছেন সকলে। বিশ্বকাপে ২৪টা উইকেটের পিছনের গল্প কিন্তু সবাই জানেন না। যা সামনে এনেছেন খোদ সামিই। TV9Bangla Sports এ বিস্তারিত।

একটি নামী জুতো প্রস্তুতকারী সংস্থার ইউটিউব চ্যানেলে ইন্টারভিউ দেওয়ার সময় প্রশ্ন আসে, আপনার জীবনে কঠিন সময় বারবার এসেছে। ওটা হয়তো আপনার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়। কী ভাবে সামলেছিলেন পরিস্থিতি? সামি উত্তর দিয়েছেন, ‘শুরুতে খুব মুশকিল ছিল। কারণ আমার পরিবারে এর আগে এমন কিছু ঘটেনি। আমরা খুব সাধারণ পরিবার। সেই কারণে খুব ঘেঁটে গিয়েছিলাম ওই সময়। কিন্তু, আমি যদি মিথ্যুক হন, তা হলে পালিয়ে যাবেন। যদি নিজেকে ভুল বলে মনে হয়, তা হলে কারও চোখে চোখ রেখে কথাই বলতে পারবেন না। তখন মনে হয়েছিল, সত্যি বলে যদি কিছু থাকে, সেটা ঠিক সামনে আসবে।’

পেশাদার জীবন তো বটেই, ব্যক্তিগত জীবনও অনেকটাই এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল সামির। হাসিন জাহানের সঙ্গে সমস্যা চরমে পৌঁছেছিল। তীব্র চাপে পড়ে গিয়েছিলেন সামিও। ওই সময় ভেঙে পড়েছিলেন বাংলার পেস বোলার। সামি বলে দিচ্ছেন, ‘পাঁচ-ছ’টা দিন আমি খুব চাপে ছিলাম। পরিবার পাশে দাঁড়িয়েছিল। তখন মনে হয়েছিল, যাই হোক না কেন আমাকে আবার শূন্য থেকে শুরু করতে হবে। জীবনে উত্থান-পতন থাকে। আপনার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেরা সব সময় সবটা বুঝতে পারবে, তা নাও হতে পারে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছিল, তাও মিথ্যে। অকারণে ভাবতে যাব কেন?’

যখন পুরোপুরি বিপর্যস্ত সামি, তখন দুর্ঘটনার কবলেও পড়েছিলেন। সামি বলেছেন, ‘ওই কঠিন সময়ে আবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলাম। কী যে করব বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু পালিয়ে যাইনি। আমার পরিবারকে পাশে পেয়েছি। লোকে যা ইচ্ছে বলেছে, কিন্তু ওদের কথা শুনে আমি নিজেকে থামাব কেন? ইদানীং একটা জিনিস দেখছি, যদি সাফল্য পান, আপনাকে টেনে নামানোর লোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে। সাপোর্ট কম পাবেন। আমাকে হিংসে করার লোকের সংখ্যা বেড়েছে। তাতে অবশ্য আমার কিছু যায় আসে না।’