AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বিরাটভাইয়ের জন্যই ক্রিকেট খেলতে পারছি, বলছেন সিরাজ

সামনে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। তারপর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। দুটো মেগা ইভেন্টের জন্য নিজেকে তৈরি করছেন সিরাজ

বিরাটভাইয়ের জন্যই ক্রিকেট খেলতে পারছি, বলছেন সিরাজ
ছবি-টুইটার
| Updated on: May 11, 2021 | 4:25 PM
Share

নয়াদিল্লি: অস্ট্রেলিয়া সফরে অভিনব উত্থান অবাক হয়ে দেখেছিল সারা বিশ্ব। বাবা মারা যাওয়া সত্ত্বেও দেশে ফেরেননি। কঠিন সময়ে ক্রিকেটকেই আঁকড়ে ধরেছিলেন মহম্মদ সিরাজ। ক্রিকেটও তাঁকে উপচে দিয়েছিল সাফল্য। টিম পেইনের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৩ টেস্টে ১৩ উইকেট নিয়েছিলেন তরুণ পেস বোলার। সেই সিরাজই তাঁর টেস্ট কেরিয়ারে দুরন্ত উত্থানের জন্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলিকে।

সামনে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। তারপর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ। দুটো মেগা ইভেন্টের জন্য নিজেকে তৈরি করছেন সিরাজ। তার আগে বলে দিয়েছেন, ‘বিরাটভাই বরাবর বলে, যে কোনও উইকেটে খেলার মতো এবিলিটি তোর আছে। তুই যে কোনও ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারিস। ক’দিন আগে আইপিএলে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর বিরাটভাই আমার কাছে এসে বলেছিল, মিয়াঁ, তোমার মধ্যে দারুণ কিছু বদল এসেছে। এটা অত্যন্ত ভালো দিক। টিমকে এটা সাফল্য এনে দিচ্ছে। ইংল্যান্ড সফরের জন্য তৈরি হও। বিরাটভাইয়ের ওই কথাগুলো আমাকে ভীষণ ভাবে তাতিয়েছে। ‘

অস্ট্রেলিয়ায় অত্যন্ত কঠিন দিনগুলোতে বিরাটের মতো কোচ রবি শাস্ত্রীকেও পাশে পেয়েছেন সিরাজ। তরুণ পেসারের মনের জোর বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ওঁরা দু’জন। কৃতজ্ঞ সিরাজ বলছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া সিরিজের সময় বাবাকে হারিয়েছিলাম। অত্যন্ত ভেঙে পড়েছিলাম ওই ঘটনার পর। মনে আছে, বাবা মারা যাওয়ার খবর শুনে হোটেলের রুমে বসে কাঁদছিলাম। বিরাটভাই আমার রুমে এসে জড়িয়ে ধরে বলেছিল, চিন্তা করো না, তোমার সঙ্গে আছি। বিরাটভাই মনোবল জুগিয়েছিল ওই সময়। আমি ক্রিকেটে যত দূর এগিয়েছি, যা করেছি, সেটা বিরাটভাইয়ের জন্য। ও না থাকলে এই ক্রিকেটটুকুও খেলা হত না আমার।’ একই সঙ্গে কোচ শাস্ত্রীস সম্পর্কেও সমান শ্রদ্ধাশীল ২৭ বছরের সিরাজ। ‘রবিস্যার সব সময় বলেন, তুই আমাদের টিমের চ্যাম্পিয়ন বোলার। পিঠ আর কাঁধ চাপড়ে দেন। ওই কঠিন সময়গুলোতে রবিস্যার আমাকে নেটে বল করার জন্য অনুপ্রাণিত করতেন। এই বয়সেও উনি সব সময় মেজাজে থাকেন।’

আরও পড়ুন:সেপ্টেম্বরে আইপিএল হলে পাওয়া যাবে না মর্গ্যানদের

প্রতিটা সিরিজে নতুন লড়াই। নতুন করে প্রমাণ করতে হয় নিজেকে। ইংল্যান্ড সফরে যদি ভালো পারফর্ম করতে না পারেন, তা হলে লোকে অস্ট্রেলিয়া সফর যে ভুলে যাবে, খুব ভালো করেই জানেন সিরাজ। তাই নিজেকে দিনের পর দিন ধারালো করে তোলার চেষ্টা করছেন। যাতে, যে কোনও পরিস্থিতিতে নিজেকে মেলে ধরতে পারেন।