ইংল্যান্ড সিরিজের সেই ম্যাচ মনে পড়ে? টিম হাডলে ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি বলেছিলেন, বাকি থাকা ৬০ ওভার ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা যেন বুঝতে পারে, ওরা নরকে রয়েছে! সেই ম্যাচে বিধ্বংসী বোলিং করেছিলেন জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সামি ও মহম্মদ সিরাজ। বেঙ্গালুরুতে রোহিত শর্মাও কি এমন কিছু বলেছিলেন? হতে পারে। বল পুরনো হলে স্পিনাররা রয়েছেন। তার আগে জসপ্রীত বুমরা, মহম্মদ সিরাজকে সামলাতে হত। বোর্ডে মাত্র ১০৬ রানের পুঁজি। বুমরা প্রথম ওভারেই যে খেল দেখালেন, তাতে লাইট অফার করতেই দ্রুত মাঠ ছাড়েন নিউজিল্যান্ডের ক্যাপ্টেন টম ল্যাথাম ও আর এক ওপেনার ডেভন কনওয়ে।
দীর্ঘ সময় আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। সবে চার বল হয়েছিল। তাতেই নরক যন্ত্রণার সামনে পড়লেন কিউয়ি ক্যাপ্টেন টম ল্যাথাম। তেমনই অস্বস্তিতে পড়লেন উইকেট কিপার ধ্রুব জুরেলও। দুর্দান্ত তিনটি গ্র্য়াব ধ্রুবর। ভারতের পিচে, তাও আবার চতুর্থ দিন! ইনসুইং, আউট সুইং। জসপ্রীত বুমরা সেই যন্ত্রণাই দিচ্ছিলেন। ধ্রুব জুরেল একটি বল ধরলেন প্রথম স্লিপে ডাইভ দিয়ে।
স্পিনার আনলে কি খেলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল? আম্পায়ারদের হয়তো সেই প্রস্তাবই দিয়েছিলেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। কিন্তু বুমরার ওভারের তখনও দুটি ডেলিভারি বাকি। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের ঘরের মাঠে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পেসার ক্রিস ওকস অফ স্পিন করেছিলেন! যা ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়েছিল। বুমরাকে কি এমন কিছুই দেখা যেত? সেক্ষেত্রে উল্টো প্রান্ত থেকে বোলিং করতে পারতে অশ্বিন। তারপরের ওভারে কুলদীপ কিংবা রবীন্দ্র জাডেজা। যদিও কিউয়ি ব্যাটাররা মাঠ ছাড়ার পরই আলো আরও কমে আসে। বৃষ্টিও নামে। সে কারণেই বন্ধ হয় ম্যাচ। বৃষ্টির কারণে
আজ ম্যাচের ভাগ্য এখন ভারতের স্পিনত্রয়ীর হাতেই। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বাঁ হাতি রিস্ট স্পিনার কুলদীপ যাদব জানিয়েছিলেন, পিচে টার্ন রয়েছে। নিউজিল্যান্ডের টার্গেট যদিও ছোট্ট। ম্যাচের পঞ্চম দিন ভারতের স্পিনত্রয়ী যদি সেই নরকযন্ত্রণা দিতে পারেন, এই ছোট্ট টার্গেটও কঠিন হতে পারে।