Cricket Retro Story: ভারত ৪১৪-৪১১ শ্রীলঙ্কা, আজকের দিনে ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা পাঁচ ঘটনা

Dec 15, 2023 | 10:30 AM

Greatest matches on This Day: ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়ার সেই ম্যাচটা মনে পড়ে? ওই সময়ে ৪৩৪ রান করেও সুরক্ষিত ছিল না অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট ক্রিকেটের কথা হচ্ছে না। ওয়ান ডে ক্রিকেটে তখন ২৭০ প্লাস স্কোর মানেই কার্যত জয় নিশ্চিত। অস্ট্রেলিয়া করেছিল ৪৩৪। ঘরের মাঠে সিরিজে সেই রান তাড়া করে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেট ইতিহাসের অমর এক ম্যাচ। ২০০৯ সালে এমনই একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ভারত ও শ্রীলঙ্কা ওডিআই ম্যাচে।

Cricket Retro Story: ভারত ৪১৪-৪১১ শ্রীলঙ্কা, আজকের দিনে ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা পাঁচ ঘটনা
Image Credit source: AFP

Follow Us

রোজই নানা ঘটনা ঘটে। সব কি মনে থাকে? তবে কিছু বিষয় অবশ্য মনে থেকে যায়। ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে যেমন। অনেক ম্যাচ, কোনও মুহূর্ত, কোনও কিবদন্তির জন্মদিন, এমন অনেক কিছুই স্মরণীয় হয়ে থাকে। ক্রিকেট ইতিহাসে আজকের দিনটাতেও এমন অনেক ঘটনা রয়েছে। সব হয়তো মনে রাখার মতো নয়, আবার কিছু ভুলে যাওয়ার মতোও না। যেমন ৪১৪ বনাম ৪১১’র ম্যাচটা! একটু একটু মনে পড়ছে নিশ্চয়ই? তেমনই আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের এক কিংবদন্তির জন্মদিনও। নাম কার্ল হুপার। জানেন কি তাঁর প্রথম প্রেমিকা ছিলেন ভারতীয়? এমন একটা শহর, যেখানে পাহাড় এবং সমুদ্রের পাশাপাশি অবস্থান। যদিও সেই প্রেমিকার নাম প্রকাশ্যে আসতে দেননি। আজকের দিনে এমন কিছু ঘটনা ফিরে দেখুন, TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।

১৯৯৬-সালে আজকের দিনেই জন্মেছিলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি কার্ল হুপার। কেরিয়ারে একশোর বেশি টেস্ট। ২০০-র বেশি ওডিআই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সব মিলিয়ে ১১ হাজারের ওপর রান। শুধু এটুকুই নয়। টেস্ট-ওডিআই মিলিয়ে ৩০০-র বেশি উইকেটও। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের এই কিংবদন্তি বহু বার ভারতে খেলতে এসেছেন। মন হারিয়েছিলেন এখানেই। তাঁর প্রথম প্রেমিকা ভারতীয়, শুনলে অবাক হওয়ারই কথা। শুরুতেই যা বলা হয়েছিল, পাহাড় ও সমুদ্রের পাশাপাশি অবস্থান সেই শহরে! বিশাখপত্তনমে একজনকে মনে ধরেছিল। সম্পর্ক অনেকটা দূর এগলেও পরিণতি পায়নি তাঁর প্রেম। নামটা কিন্তু কোনওদিনই প্রকাশ করেননি ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি।

৪১৪ বনাম ৪১৩-এ বার একটু ম্যাচে ফেরা যাক। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম অস্ট্রেলিয়ার সেই ম্যাচটা মনে পড়ে? ওই সময়ে ৪৩৪ রান করেও সুরক্ষিত ছিল না অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট ক্রিকেটের কথা হচ্ছে না। ওয়ান ডে ক্রিকেটে তখন ২৭০ প্লাস স্কোর মানেই কার্যত জয় নিশ্চিত। অস্ট্রেলিয়া করেছিল ৪৩৪। ঘরের মাঠে সিরিজে সেই রান তাড়া করে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিকেট ইতিহাসের অমর এক ম্যাচ। ২০০৯ সালে এমনই একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ভারত ও শ্রীলঙ্কা ওডিআই ম্যাচে। আর সেটি আজকের দিনেই।

রাজকোটে ওয়ান ডে-তে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করে ভারত। বীরেন্দ্র সেওয়াগের ১০২ বলে ১৪৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। সঙ্গে সচিন তেন্ডুলকর ও মহেন্দ্র সিং ধোনির বিধ্বংসী হাফসেঞ্চুরি। শেষ দিকে ১৭ বলে ৩০ রানের ক্যামিও রবীন্দ্র জাডেজার। আর সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি সাতে নেমে ১৯ বলে ২৭ করেছিলেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৪১৪ রান করে ভারত। তারপরও জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তিলকরত্নে দিলশান ১২৪ বলে ১৬০ রান, কুমার সাঙ্গাকারা ৪৩ বলে ৯০ রান করেছিল। স্লগ ওভারে জাহির খান এবং আশিস নেহরার স্নায়ুর চাপ সামলে অনবদ্য বোলিং, রান আউটে শ্রীলঙ্কার স্বপ্ন ভঙ্গ। মাত্র ৩ রানে জেতে ভারত।

১৯৫৯- অস্ট্রেলিয়া এবং স্পিন বোলিং। প্রথমেই মনে আসে শেন ওয়ার্নের কথা। কিন্তু এই ঘটনা তারও আগের। অস্ট্রেলিয়ার এক অফ স্পিনার গ্রেগ ম্যাথিউস। বল হাতে অস্ট্রেলিয়াকে কখনও জেতাতে না পারলেও একটি টাই টেস্টের সাক্ষী থেকেছিলেন। আর সেটি ভারতের বিরুদ্ধেই! ১৯৮৬ সালে চেন্নাই টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ১টা রানের জন্য জিততে পারেনি। কপিল দেব, সুনীল গাভাসকরদের জয় হাতছাড়া হয়েছিল আজকের দিনেই জন্ম নেওয়া গ্রেগ ম্যাথিউসের জন্য। ভারতের লক্ষ্য ছিল ৩৪৮ রান। দু-ইনিংসেই পাঁচটি করে উইকেট নেন গ্রেগ। ম্যাচ টাই হয়।

১৯৭৯-পারথে ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ১০ মিনিট বন্ধ ছিল। কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা দুর্ঘটনার জেরে নয়। নেহাৎই প্রতিবাদে! তাও যে সে প্রতিবাদ নয়। ক্রিকেটে ইতিহাস গড়া এক অধ্যায়। অ্যালুমিনিয়ামের গড়া ব্যাট নিয়ে নেমেছিলেন অজি কিংবদন্তি ডেনিস লিলি। প্রতিটি ডেলিভারিতে অদ্ভূত আওয়াজ হচ্ছিল। উইলোর পরিবর্তে ধাতুর তৈরি ব্যাটে এমনই হওয়ার কথা! ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইক ব্রিয়ারলি এর প্রতিবাদ করেন। তাঁর পরিষ্কার বার্তা ছিল, এতে বলের ক্ষতি হচ্ছে। এর পরের বছরই কিন্তু ক্রিকেটের নিয়মে পরিবর্তন হয়। পরিষ্কার বলা হয়, কাঠের তৈরি ব্যাটেই খেলা হবে।

১৯৬৩- টেনিস ও ক্রিকেট। সম্পর্ক কী? সহজ করে বললে, ক্রিকেটাররা শর্টপিচ ডেলিভারির জন্য অনেক সময়ই টেনিস বলে অনুশীলন করে থাকেন। এক্ষেত্রে কিন্তু তা নয়। কেনিয়ার আসিফ করিমকে মনে পড়ে? তিনটে ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলেছেন। ১৯৯৬, ১৯৯৯ এবং ২০০৩। তাঁর পরিচয় শুধু ক্রিকেটেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি কিন্তু কেনিয়াকে ডেভিস কাপ টেনিসেও নেতৃত্ব দিয়েছেন! বাঁ হাতি স্পিনার আসিফ করিম যেমন কেনিয়া ক্রিকেটে কিংবদন্তি তেমনই টেনিসেও। আজ তাঁর জন্মদিন।