Asad Rauf: ছিলেন আইসিসি-র আম্পায়ার, এখন জুতো বেচে চালাচ্ছেন সংসার!
ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়ানোয় ব্যান করেছিল বিসিসিআই। পাকিস্তানি মডেলকে ধর্ষণের কলঙ্ক লেগেছিল গায়ে। আইসিসির এলিট প্যানেলে নাম থাকা আম্পায়ার, পাকিস্তানের আসাদ রউফ এখন জুতো বেচছেন লাহোরের বাজারে!
লাহোর: কিছুদিন আগেই শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী খেলোয়াড় রোশন মহানামাকে পেট্রল পাম্পের বাইরে চা, পাঁউরুটি বিলি করতে দেখা গিয়েছিল। শ্রীলঙ্কার বর্তমান সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পথে নেমেছিলেন ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ তারকা। সেই ছবি ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছিল। এবার সামনে এল পাকিস্তানের খ্যাতনামা আম্পায়ার (Pak Umpire) আসাদ রউফের (Asad Rauf) ছবি। লাহোরের বাজারে জুতো, জামাকাপড়ের দোকান খুলেছেন ৬৬ বছরের রউফ। যাঁর হাতের ইশারায় ছোট, বড় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হত, সেই রউফ এখন জুতো, জামাকাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেন খদ্দেরদের অপেক্ষায়।
আসাদ রউফ নামটা ক্রিকেটপ্রেমীদের অজানা নয়। ২০০০ সাল থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ১৭০টি ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন। তার মধ্যে ৪৯টি টেস্ট, ৯৮টি ওডিআই এবং ২৩টি টি-২০। আইসিসি-র এলিট প্যানেলে থাকা এই আম্পায়ার দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে কাজ করেছেন। সেই আসাদ রউফ এখন টিভিতে ক্রিকেট ম্যাচের দিকে তাকিয়েও দেখেন না। বাইশ গজের প্রতি সব মোহ ভঙ্গ হয়ে গিয়েছে তাঁর। ২০১৩ সালের পর থেকে ক্রিকেটকে জীবন থেকে মুছে ফেলেছেন। ওই বছরই আইপিএলে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ ওঠে। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি আসাদ রউফকে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁর বিরুদ্ধে বুকিদের কাছ থেকে দামি উপহার নেওয়ার অভিযোগ ছিল। ম্যাচ গড়াপেটায় অভিযুক্ত রউফকে ২০১৬ সালে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিসিসিআই।
পরিস্থিতি বদলে যায় রাতারাতি। বর্তমানে সংসার চালাতে লাহোরের বাজারে জুতো-জামাকাপড় বেচছেন রউফ। পাকিস্তানের একটি সংবাদমাধ্যম রউফকে নিয়ে খবর করার পরই শিরোনামে তিনি। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এটাই এখন আমার কাজ। আমার স্টাফদের জন্য বেতনের খরচ তুলছে দোকান দিয়েছি। সারাজীবন ধরে আম্পায়ারিং করেছি। প্রচুর দেশে ঘুরেছি। এমন কিছুই বাকি নেই যা এই জীবনে আমি পাইনি।” বুকিদের সঙ্গে সংযোগের অভিযোগ নিয়ে বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে আমি যুক্ত ছিলাম না। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওরাই নিয়েছে। এসবের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই।”
ওঠে ধর্ষণের অভিযোগ
মুম্বইয়ের এক মডেল ২০১২ সালে প্রাক্তন পাক আম্পায়ারের উপর যৌন হেনস্থার অভিযোগ তোলেন। মডেলের অভিযোগ ছিল, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেছেন রউফ। যদিও সব অভিযোগ খারিজ করে দেন তিনি। ধর্ষণের অভিযোগ তাঁর কেরিয়ারে প্রভাব ফেলেনি। আইপিএলের পরের মরসুমেও আম্পায়ারিংয়ের ডাক পেয়েছিলেন।